Wednesday, July 17, 2013

দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো মুসলিম নিদর্শন বাংলাদেশে! সাড়ে তেরো শ বছর আগের মসজিদ। পাল্টে যাবে দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিমদের আগমনের ইতিহাস

দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো মুসলিম নিদর্শন বাংলাদেশে! সাড়ে তেরো শ বছর আগের মসজিদ। (পাল্টে যাবে দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিমদের আগমনের ইতিহাস)

- কাজল রশীদ ও ইফতেখার মাহমুদ 


দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ। এক পাশে দু-এক ঘর করে ফাঁকা জনবসতি। মোটেই ঘনবসতিপূর্ণ নয় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রাম। অথচ এখানেই আবিষ্কৃত হয়েছে ৬৯ হিজরিতে নির্মিত মসজিদ। সামনে ফসলের মাঠটি একদা ছিল চকচকার বিল। এলাকার প্রবীণ মানুষের কাছে স্থানটি আজও সাগরের ছড়া নামে পরিচিত, যার অনতিদূরে তিস্তা নদীর অবস্থান। ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা অববাহিকাকে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম অববাহিকাগুলোর একটি। কাজেই এই অববাহিকায় ৬৯ হিজরি বা ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দে একটি মসজিদ নির্মাণের ঘটনা বিস্ময় জাগানিয়া হলেও একেবারে অস্বাভাবিক নয়। শৌখিন ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক টিম স্টিলও তেমনটাই মনে করেন। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলজুড়ে যে প্রাচীন সভ্যতা খ্রিষ্টপূর্ব সময় থেকে গড়ে উঠেছিল, তার সঙ্গে প্রাচীন রোমান ও আরব-সভ্যতার সম্পর্ককে ইতিহাসের স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখেন টিম স্টিল। সভ্যতার সঙ্গে সভ্যতার এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই আরব বণিকেরা লালমনিরহাটের ওই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেনএমনটাই মনে করেন তিনি

স্থানীয় অধিবাসী এবং ইতিমধ্যে গঠিত হারানো মসজিদ কমিটির সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়তাঁদের দাবি অনুযায়ী এই মসজিদটি নির্মাণ করেছেন মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর একজন সাহাবা। যিনি এই অঞ্চল দিয়ে চীনে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এবং চীনের বিস্মৃত কোয়াংটা নদীর ধারে কোয়াংটা শহরে তাঁর নির্মিত মসজিদ ও সমাধি রয়েছে। ওই সাহাবির নাম আবু আক্কাছ (রা.) ৬৯ হিজরিতে তৈরি মসজিদের ধ্বংসাবশেষের ওপরই গড়ে উঠেছে বর্তমানের মসজিদ কমপ্লেক্স

মোস্তের আড়া বা মজদের আড়া
বর্তমানের হারানো মসজিদ কমপ্লেক্স যে স্থানে অবস্থিতসেই স্থানটি একদা পরিচিত ছিল মোস্তের আড়া বা মজদের আড়া নামে। স্থানীয় অধিবাসী দেলওয়ার হোসেন জানানস্থানটি টিলার মতো ছিল। ওখানে কেউ যেত না। তবে অনেকেই আগরবাতিমোমবাতিফুলধুপ ইত্যাদি ওই স্থানে রেখে আসত। এখানে মসজিদমন্দির না অন্য কিছু আছে কিছুই জানত না তারা। উল্লেখ্যস্থানীয় ভাষায় আড়া শব্দের অর্থ হলো জঙ্গলময় স্থান। দীর্ঘদিনের পতিত এই জঙ্গলে স্থানীয় লোকজন হিংস্র জীবজন্তুসাপ-বিচ্ছু ইত্যাদির ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করত না

জানা যায়রামদাস এলাকায় বর্তমানে যাঁরা বসবাস করছেনতাঁদের পূর্ব পুরুষরা ২০০ বছর আগে এখানে বসতি শুরু করেন। হারানো মসজিদ কমপ্লেক্স যা আগে আড়া নামে পরিচিত ছিলতার একদা মালিক ছিলেন পচা দালাল। তাঁর কাছে থেকে কিনে নেন ইয়াকুব আলী। আনুমানিক সময়কাল ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দ। পরবর্তী সময়ে উত্তরাধিকার সূত্রে জায়গাটির মালিক হন নবাব আলী। হারানো মসজিদ আবিষ্কারের পর তিনি জায়গাটা হারানো মসজিদ কমপ্লেক্সের নামে দিয়ে দেন

যেভাবে আবিষ্কার
৬৯ হিজরির হারানো মসজিদ তায়ালিমুল কোরআন নূরানি মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ নূর আলম জানানমজদের আড়ায় চাষাবাদ করার জন্য খোঁড়া শুরু হয় ১৯৮৩-৮৪ সালের দিকে। টিলাটি সমতল করার জন্য খোঁড়া শুরু হলে এখানে প্রচুর ইট পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজনের ধারণাপুরোনো কোনো জমিদার কিংবা রাজরাজড়ার বাড়ি হয়তো এখানে ছিল। এ কারণে তারা এ নিয়ে কোনো রূপ সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেনি। যে যার মতো ভাঙা ইটের টুকরো নিয়ে গেছে এবং বেশির ভাগই তারা নিজেদের বাড়িঘরের কাজে লাগিয়েছে। কিন্তু একটা ঘটনায় পাল্টে যায় পুরো ঘটনাচক্র

ছটকে পড়া’ ইট
একটা ইটের ছিটকে পড়ার ঘটনাস্থানীয় ভাষায় ছটকে পড়ার মধ্য দিয়েই মজদের আড়ায় আবিষ্কৃত হয় ৬৯ হিজরি বা ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দের হারানো মসজিদ। স্থানীয় অধিবাসী আফছার আলী বলেন, ‘আমরা ঘটনাটিকে অলৌকিক বলেই মনে করি। ঘটনাটা হলোআইয়ুব আলী নামে রামদাসের একজন বাসিন্দা অন্য অনেকের মতো মজদের আড়া থেকে ইট কুড়িয়ে নিয়ে যানযা পরিষ্কার করার সময় দেখতে পানইটের গাদা থেকে একটা ইট যেন আলাদাভাবে ছিটকে পড়ল। তিনি আশ্চর্য হন এবং কৌতূহল বোধ করেন। ছিটকে পড়া ইটটার ওপর কী যেন লেখা দেখতে পান। টিউবওয়েলের পানিতে ইটটা ভালো করে ধুয়ে নেন। তারপর ইটটা অন্যদের দেখালে সবাই দেখতে পানওই ইটটি একটি প্রাচীন শিলালিপিযার আকার ৬XXওপরে স্পষ্টাক্ষরে লেখালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ হিজরি সন ৬৯। এই ঘটনায় স্থানীয় লোকদের মনে দৃঢ় প্রত্যয় জন্মেএটা কোনো হারানো মসজিদের ধ্বংসাবশেষ

অলৌকিক কাহিনি
ওই ঘটনার পর তখনো মজদের আড়ায় নামাজ পড়া শুরু হয়নি। এক রাতে আফছার আলী শুনতে পান একজন বলছেন (কণ্ঠটা ঠিক তাঁর ভায়রা নওয়াব আলীর মতো) চলোআমরা মজদের আড়ায় নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ার জন্য তিনি বেরিয়েও পড়েন। একসময় পৌঁছে যান ভায়রার বাড়িতে। অপেক্ষা করেনকিন্তু ভায়রা আর ভেতর থেকে বের হন না। পরে ডাকাডাকি শুরু করেন এবং বলেন নামাজ পড়ার জন্য ডেকে নিয়ে এসে তুমি আর বেরোচ্ছ না কেনএ কথা শুনে নওয়াব আলী তাজ্জব বনে যান। ঘটনাটা এলাকায় জানাজানি হলেসবাই মিলে ওই দিন থেকেই নামাজ পড়া শুরু করেন। এলাকাবাসীর মতেসেটা ৮৬ সালের ঘটনাওই দিন ছিল মহররমের ১০ তারিখ। পরবর্তী সময়ে এখানেই নির্মাণ করা হয় হারানো মসজিদ কমপ্লেক্স এবং একটি নূরানী মাদ্রাসা
উল্লেখ্যএর আগে এলাকাবাসী নামাজ পড়ত তিন কিলোমিটার দূরের সুবেদার মুনছুর খাঁ নিদাঁড়িয়া মসজিদেযা একই ইউনিয়নের নয়ারহাট পাড়ায় অবস্থিত। এই মসজিদটি মোগল আমলের স্থাপত্যকীর্তির সাক্ষ্য বহন করছে। অবশ্য এটিও দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল। স্থানীয় লোকজন গরু খুঁজতে গিয়ে এই মসজিদটি জঙ্গলের ভেতর খুঁজে পায়। অবশ্য এলাকাবাসী তারও আগে ছয় থেকে সাত কিলোমিটার দূরের রতিপুরের কেরামতিয়া বড় মসজিদে নামাজ পড়তে যেত

সাক্ষী শিলালিপি
যে শিলালিপির আলোকে হারানো মসজিদকে ৬৯ হিজরির বলা হচ্ছেসেই শিলালিপি এখন নানা হাত ঘুরে রংপুরের তাজহাট জমিদারবাড়ির জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। শিলালিপিটি রামদাসবাসীর কাছ থেকে নিয়ে যান কুড়িগ্রামের একজন সাংবাদিক। তাঁর কাছ থেকে পরবর্তী সময়ে সংগ্রহ করে সংরক্ষণের জন্য রাখা হয় তাজহাট জমিদারবাড়ি জাদুঘরে। উল্লেখ্য১৯৯৩ সালে রংপুুরের টাউন হলে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। যার বিষয় ছিল হিজরি প্রথম শতাব্দীতে ইসলাম ও বাংলাদেশ। এতে সভাপতিত্ব করেন কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস। প্রবন্ধকার ও সব আলোচক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে৬৯ হিজরি অর্থাৎ ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সাহাবায়ে কেরামগণ কর্তৃক এই হারানো মসজিদ নির্মাণ করা মোটেই অসম্ভব নয়
একজন টিম স্টিল
কর্মসূত্রে টিম স্টিল তখন বাংলাদেশের টাইগার ট্যুরিজম নামের একটি পর্যটন উন্নয়নবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা। সাউথ ওয়েলসে স্ত্রী ক্রিস্টিন ও দুই মেয়ের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন তিনি। ছুটে গেলেন লালমনিরহাটে। খুঁজে বের করলেন প্রাচীন মসজিদটি। তিনি বাংলা ও উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস তন্ন তন্ন করে খুঁজতে শুরু করলেন। ৬৪৮ খ্রিষ্টাব্দে কে কেন লালমনিরহাট এলাকায় ওই মসজিদ নির্মাণ করল তা খুঁজতে নেমে গেলেন তিনি। যোগাযোগ করলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সঙ্গে। তারা আগ্রহ দেখাল না। বেশির ভাগ প্রত্নতাত্ত্বিক ও ইতিহাসবিদ বললেন এত আগে ওই অঞ্চলে মসজিদ নির্মিত হওয়ার কথা না। বাংলার ইসলাম বিস্তারের ইতিহাসের প্রভাবশালী ধারা বলে ১০০০ শতকে চট্টগ্রামে সুফিদের প্রথম আগমন ঘটে। ১১০০ থেকে ১২০০ শতকে সুফিদের হাত ধরে পূর্ববাংলায় ইসলামের প্রচার ও প্রসার শুরু। তাঁদের হাতেই এই অঞ্চলে প্রথম মসজিদ নির্মাণ হয়। পরে সুলতান ও মোগলদের হাত ধরে তার আরও প্রসার ঘটে

মসজিদের ইট হাতে টিম স্টিল

লালমনিরহাটের এক প্রত্যন্ত গ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ রয়েছেএটা প্রমাণের জন্য টিম স্টিল সহায়তা নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্নতাত্ত্বিকদের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিওলজিস্টের। সেখানকার ইসলামের ইতিহাস ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে গবেষণা করেন এমন সব গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। তাঁরা বললেন হ্যাঁহতে পারে। কেননারোমান ও জার্মান অনেক ইতিহাসবিদের লেখায় আরব ও রোমান বণিকদের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় নৌ-বাণিজ্যের সূত্রে আসা-যাওয়ার কথা লিপিবদ্ধ আছে। আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিওলজি টিম স্টিলকে জানায়তাদের বেশ কয়েকটি চলমান গবেষণায় ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা অববাহিকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নৌপথ হিসেবে ব্যবহূত হওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে
টিম জানতে পারলেনব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পাড় ধরে সিকিম হয়ে চীনের ভেতর দিয়ে আরব বণিকদের বাণিজ্যবহরের যাতায়াতের অনেক প্রমাণও টিমের হাতে আসে। টিমের গবেষণায় আরও প্রমাণ মেলে খ্রিষ্টপূর্ব সময় থেকে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা দিয়ে চীন ও ভারতবর্ষ থেকে রোমান ও আরবরা পণ্য নিয়ে যেত। রোমানদের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগের আরও প্রমাণ তিনি পান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফুির রহমানের ওয়ারি-বটেশ্বর সভ্যতা নিয়ে গবেষণায়। নরসংদী থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে প্রাচীন নগর-সভ্যতার যে নিদর্শন মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেনতাতে এটা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে পড়ছেদক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা বাংলাদেশ ভূখণ্ডে গড়ে উঠেছিল। পঞ্চগড়ের ভিটাগড়ে প্রাচীন নগরের নিদর্শন পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক অধ্যাপক শাহনেওয়াজের গবেষণা থেকেও সহায়তা পান টিম। বগুড়ার মহাস্থানগড় বা নওগাঁর প্রাচীন মসজিদ এই সবকিছুকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে গড়ে ওঠা প্রাচীন-সভ্যতার ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখতে চান টিম স্টিল
এই শৌখিন প্রত্নতাত্ত্বিক ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে জীবনের আরেক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। লালমনিরহাটে দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন মসজিদের খোঁজ পেয়ে এই অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার যে নেশা তাঁকে পেয়ে বসেছে তা থেকে মুক্ত হতে চান না তিনি। তাই তো নিজ উদ্যোগে ও খরচে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর শখের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা
বাংলাদেশের ওই হারানো মসজিদের ওপর আরও গবেষণা হওয়া উচিত এই আকুতি রেখে টিম বলেনওই মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস খুঁজে পেলে হয়তো বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্ব সভ্যতার সম্পর্কের আরেক ইতিহাস জানার পথ খুলে যাবে। রোমানচৈনিকআরব আর বাংলাএই চার অঞ্চলের প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্ক জানা গেলে হয়তো পৃথিবীর ইতিহাস অন্যভাবে লিখতে হবে। টিম স্টিলের গবেষণায় প্রতীয়মান হচ্ছেএটি এক হাজার তিন শ চৌষট্টি বছর আগের মসজিদ! যার সূত্র ধরে পাল্টে যাবে দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিমদের আগমনের ইতিহাস

Source: প্রথম আলোতারিখ: ১৯-১০-২০১২



See This Video:

 

Browse this link please For aljazeera Report with video:

Ancient mosque unearthed in Bangladesh 


''Sign of Rasulullah'' Label's Other Link:


মুসলমানরাই বাংলাদেশের আদিবাসী

-মাহমুদ ইউসুফ
প্রখ্যাত ভাষাতাত্ত্বিক, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত) ডঃ কাজী দীন মুহাম্মদ বলেছেন, ‘আজ সাড়ে সাত হাজার বছর আগে হযরত নুহু (আঃ) এর সময়ে সংঘটিত মহাপ্লাবনের পর আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্ববাদে বিশ্বাসী তাঁর প্রপৌত্র বঙ এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। এরপর যে জনগোষ্ঠি গড়ে ওঠে তা-ই বঙ্গ জনগোষ্ঠি নামে অভিহিত হয়। কালের বিবর্তনে উক্ত বঙ থেকেই বঙ্গ দেশের নামকরণ হয়েছে’ (বাংলাদেশের উৎপত্তি ও বিকাশ ১ম খন্ড, ইফাবা, ২য় সংস্করণ, জুন-২০০৮, পৃ-১৬৭)। মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আঃ)। তিনিই এ পৃথিবীতে মানব সভ্যতার জয়যাত্রা শুরু করেন। ইসলাম, ইহুদী ও খৃস্টান ধর্মমতে এটাই চরম সত্য। কুরআন, বাইবেল, তাওরাতে এ সত্যেরই প্রতিধ্বনি উচ্চারিত হয়েছে।

পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ)কে আল্লাহ রাববুল আলামীন এ ভারতবর্ষেই প্রেরণ করেন। তদানীন্তন সরন্দীপ (আজকের শ্রীলঙ্কা) আর হিন্দুস্তান একই ভূখন্ডের অন্তর্ভুক্ত ছিল। হযরত আদম (আঃ) এর পুত্র দ্বিতীয় নবী হযরত শীষ (আঃ)ও এই ভারতবর্ষেরই নাগরিক ছিলেন। এখানেই তিনি বসতি স্থাপন করেন। আর এখানেই মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে হযরত নুহু (আঃ) এর উত্তরপুরুষেরা ভারতবর্ষ আবাদ করেন। তাই দেখা যায়, মুসলিমদের কাছে শুধু আরবভূমিই নয় এই ভারতীয় উপমহাদেশও অতি আপনভূমি। কেননা মানব সভ্যতার শুরু থেকেই মুসলমানরা এই ভূখন্ডে বসবাস করে আসছে। নেগ্রিটো, অস্ট্রল্যান্ড, অস্ট্রো এশিয়াটিক, মঙ্গোলয়েড, অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, বৌদ্ধ, আর্য জাতির বিকাশ আরও পরের ঘটনা।পার্বত্য উপজাতির আগমন তো সেদিনের ঘটনা। সর্বোচ্চ তিনশ বছর।
খৃস্টপূর্ব সাড়ে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে একমহাপ্লাবন সংঘটিত হয়! অনেকের মতে খৃস্টপূর্ব ৩২০০ অব্দে এটি সৃষ্টি হয়েছিল। এ মহাপ্লাবন মিসর থেকে হিন্দুস্তান, ককেশাস থেকে আরব সাগর পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। এটি ছিল মূলতঃ আল্লাহর গজব। হযরত নুহু (আঃ) দীর্ঘ সাড়ে নয়শ বছর ইসলাম প্রচার করেন। কিন্তু গুটিকয়েকজন নাগরিক ছাড়া আর কোনো নাগরিক আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করেন নাই। এই অমুসলিম তথা মুশরিক কাফিরদের শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যেই মহান রব গজব নাজিল করেন। এ মহাপ্লাবনে মাত্র ৮৫ জন মানুষ, যারা নূহ (আঃ) এর কিস্তিতে আরোহণ করেছিলেন তারাই জীবিত থাকে। বাকি সমগ্র মানবজাতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পানিবন্যা পরবর্তী সময়ে হযরত নুহ (আঃ) এর সন্তানেরা বিভিন্ন দেশে বসতি স্থাপন করেন। তাঁর দৌহিত্র হিন্দ ভারতবর্ষ আবাদ করেন। বঙের বংশধরদের আবাসস্থলই আজকের বাংলাদেশ। বং থেকে কালক্রমে বঙ্গ, বাঙালাহ, বেঙ্গল, বাংলা ইত্যাদি নামের উদ্ভব ঘটে।
বঙ্গ নামের উৎপত্তির সঙ্গে অনেক লেখক, গবেষক ও ঐতিহাসিক ভিন্নমত পোষণ করেন। তাদের মতে, বঙ্গ শব্দের উৎপত্তি ভারতীয় আর্যদের আমলে, যারা খৃস্টপূর্ব দেড় হাজার বছর পূর্বে মধ্য এশিয়া থেকে এসে সিন্ধু নদীর তীরে দ্রাবিড়দের উৎখাত করে বসতি স্থাপন করে। প্রমাণস্বরূপ তারা উল্লেখ করেছেন, ঋগবেদের ঐতরেয় আরণ্যক এ বঙ্গ শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। মহাভারত, পুরাণ, হরিবংশ প্রভৃতি গ্রন্থে বর্ণিত আছে, ‘আর্য রমণীগণ কর্তৃক পরিত্যক্ত, দুশ্চরিত্র অন্ধ ঋষি দীর্ঘতমা গঙ্গার জলে ভেসে আসাকালীন নিঃসন্তান ‘‘অনার্য’ বলিরাজ তাঁকে তুলে নিয়ে যান এবং স্বীয় পত্নী সুদেষ্ণার গর্ভে পুত্র উৎপাদনের জন্য তাঁকে নিয়োগ করেন। সুদেষ্ণার গর্ভে উক্ত ঋষির ঔরসে পাঁচটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে। এই ক্ষেত্রজ পুত্র সন্তানদের নাম রাখা হয় ১) অঙ্গ, ২) বঙ্গ, ৩) কলিঙ্গ ৪) পুন্ড্রু এবং ৫) সূক্ষ্ম। তাদেরকে পাঁচটি রাজ্য দেয়া হয় এবং তাদের নামানুসারে পাঁচটি রাজ্যের নামকরণ করা হয়’। যারা এই তথ্যকে সঠিক বলে প্রমাণ করতে চায়, তাদের নিম্নের বিষয়গুলো বিবেচনার জন্য পেশ করা হলো। এক- কোনো যুক্তিবাদী ও বাস্তবজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ কী উপরোক্ত তথ্য বিশ্বাস করতে পারেন?
দুই- বলিরাজ বা ধর্মপাল অষ্টম শতকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন মহান, ন্যায়পরায়ণ, জনদরদী, সজ্জন এবং পন্ডিতপ্রবর শাসক ছিলেন? তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণাও একজন মহিয়সী নারী ছিলেন। এই মহৎ শাসক তাঁর স্ত্রীর গর্ভে দুশ্চরিত্র দীর্ঘতমার জারজ সন্তান ধারণ করার অনুমতি দেবেন অথবা একজন সতী নারী একজন লম্পটের ভ্রূণ গ্রহণ করবেন এটা কী বিশ্বাসযোগ্য? তিন-ভারতে আর্য আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আগে এ অঞ্চলের নাম কী ছিলো সে বিষয়ে তারা কিছু ধারণা দেননি কেন? চার-ঋগবেদ, পুরাণ, মহাভারতে এ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে কেন অত্যন্ত হেয় ও ঘৃণ্যবলে প্রতিপন্ন করা হয়েছে? পাঁচ- কোনো মানুষকে কী দস্যু, অসুর, দেও দানব, রাক্ষস, পক্ষী, অনার্য আখ্যা দেয়া যায় কিনা বা উচিত কিনা? ছয়-বাংলা ভাষাকে আর্যরা আসুরিক ও ম্লেচ্ছদের ভাষা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে কেন? সাত- সেনবর্মনরা কেন বাংলা ভাষা নিধনে মেতে ওঠেছিল? আট-রিয়াজ-উস-সালাতিন গ্রন্থে বর্ণিত বাংলা নামকরণ সম্পর্কে প্রদত্ত বক্তব্য হিন্দু ঐতিহাসিকরা খন্ডন করেননি বা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেননি। থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবার ভয়ে কী? নতুন কোনো তথ্য বা যুক্তি উপস্থাপন করতে হলে অবশ্যই অতীতের বক্তব্য খন্ডন করতে হবে। এটাই ইতিহাসের স্বাভাবিক নিয়ম। নয়-বলিরাজ বা ধর্মপাল নিজেই বঙ্গের শাসক ছিলেন। তাই জারজ সন্তান সৃষ্টি করে তার নামে বঙ্গের নামকরণের যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। বলিরাজের অনেক পূর্ব থেকেই এ অঞ্চলের নাম বঙ্গ হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, পুন্ড্রু, সূক্ষ্ম নামে তাঁর কোনো সন্তান ছিলো না। ধর্মপালের পূর্বে এদেশ শাসন করে তার পিতা গোপাল, ধর্মপালের মৃত্যুর পর পুত্র দেবপাল, তারপর বিগ্রহপাল মসনদে বসেন। দশ-প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি পরাক্রমশালী একটি জাতি। যেসব ঐতিহাসিক স্বজাতিকে জারজ হিসেবে আখ্যায়িত করতে চায় তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রশ্নের জবাব খোঁজা অতীব জরুরী।
ডঃ এম এ আজিজ ও ডঃ আহমদ আনিসুর রহমান বলেছেন, ‘আর্যদের আগমনের বহুপূর্বেই প্রাগৈতিহাসিক যুগে উপমহাদেশের এ অঞ্চলে ‘বঙ্গ’ নামে জনপদ বিদ্যমান ছিল। আর্যদের পৌরাণিক কাহিনী থেকে যে ‘বঙ্গ’ শব্দের উৎপত্তি নয় তা-ও সুস্পষ্ট। কাজেই ‘বঙ্গ’ শব্দের উৎপত্তি ভারতীয় আর্য হিন্দু আমলে হয়েছে বলে গ্রহণযোগ্য নয় (বাংলাদেশের উৎপত্তি ও বিকাশ ১ম খন্ড, ইফাবা, ২য় সংস্করণ, জুন-২০০৮, পৃ-৪)। রমেশ চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘আর্য জাতির সংস্পর্শে আসিবার পূর্বেই বর্তমান বাঙালী জাতির সংস্পর্শে বাঙালি জাতির উদ্ভব হইয়াছিল এবং তাহারা একটি উচ্চাঙ্গ ও বিশিষ্ট সভ্যতার অধিকারী ছিল’ (বাংলাদেশের ইতিহাস)। তিনি অন্যত্র বলেছেন, ‘(বাংলাদেশের) প্রাচীন লিপিতে দীনার ও রূপক এই দুই প্রকার নাম পাওয়া যায়। সম্ভবত স্বর্ণমুদ্রার নাম ছিল দীনার ও রৌপ্য মুদ্রার নাম ছিল রূপক। ১১৬ রূপক এক দীনারের সমান ছিল’। দীনার শব্দটি সেমিটিক পরিভাষার সাথে সম্পর্কিত। প্রখ্যাত গবেষক ও লেখক সিরাজ উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘বাঙাল জনগোষ্ঠীর নামকরণ বাঙ, কৌম বা গোত্র থেকে হয়েছে। ভাগিরথীর পূর্বদিকে গাঙ্গেয় বদ্বীপ এলাকায় সুপ্রাচীনকাল থেকে বাঙ জনগোষ্ঠী বাস করত। ….প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বাঙ জাতি এ অঞ্চলে বাস করত এবং তাদের নামানুসারে বঙ্গ জনপদের নামকরণ’ (পৃ-৫১, বরিশালের ইতিহাস প্রথম খন্ড, ভাস্কর প্রকাশনী, জুলাই-২০০৩)। অন্যত্র তিনি বলেছেন, ‘বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ বাঙালী জাতির প্রধান আদি বাসস্থান। সুদূর প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বাঙ জাতি এ অঞ্চলে বাস করত। বাঙালী শঙ্কর জাতি। নরতত্ত্ব, জাতিতত্ত্ব ও ভাষাতত্ত্বের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করলে বাঙালী জাতির উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়’ (পৃ-৪৯, পূর্বোক্ত)। এই বাঙ নামকরণ হযরত নুহর প্রপৌত্র বঙ থেকেই উদ্ভূত। আর্য হিন্দু প্রভাবিত ইতিহাসবিদ, লেখক, গবেষকরা এ তথ্যকে গোপন বা অস্বীকার করলেও এটিই প্রকৃত ও সত্য ইতিহাস।
সাম্রাজ্যবাদের তল্পিবাহক বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ বাংলাদেশি মুসলমানদের শেকড়শূন্য ও বহিরাগত হিসেবে প্রতিপন্ন করতে সঙ্কল্পবদ্ধ। পার্বত্য উপজাতিরা ওই অঞ্চলে সর্বোচ্চ তিনশ বছর পূর্বে এ অঞ্চলে আগমন করে। আর মুসলমানরা সভ্যতার শুরু থেকেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। তাই বাংলাদেশি মুসলমানরাই বাংলাদেশের আদিবাসী ও প্রাচীন অধিবাসী। মুসলমানরাই ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন জাতিগোষ্ঠী।

Sunday, July 14, 2013

পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কিছু মসজিদ

পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো কিছু মসজিদ
 -


Masjid al-Qiblatain

এই মসজিদটি সাওদিয়া আরবের মদিনা নগরীতে অবস্থিত। ৬২৩ইং সালে মসজিদটি প্রথম তৈরি করা হয়। মূলত সুন্নী মুসলমানদের মসজিদ হিসেবে পরিচিত। 

Great Mosque of Kufa
এই মসজিদটি ইরাকের কুফা নগরীতে অবস্থিত। ৬৩৯ইং সালে মসজিদটি প্রথম তৈরি করা হয়। মূলত শিয়া মুসলমানদের মসজিদ হিসেবে পরিচিত।  

Mosque of Uqba
এই মসজিদটি তিউনিশিয়ার Kairouan নগরীতে অবস্থিত। ৬৭০ইং সালে মসজিদটি প্রথম তৈরি করা হয়। মূলত সুন্নী মুসলমানদের মসজিদ হিসেবে পরিচিত। 

Imam Hussain Mosque
এই মসজিদটি ইরাকের কারবালা নগরীতে অবস্থিত। ৬৮০ইং সালে মসজিদটি প্রথম তৈরি করা হয়। মূলত শিয়া মুসলমানদের মসজিদ হিসেবে পরিচিত।  

Al-Zaytuna Mosque
এই মসজিদটি তিউনিশিয়ার তিউনিশ নগরীতে অবস্থিত। ৭০৯ইং সালে মসজিদটি প্রথম তৈরি করা হয়। মূলত সুন্নী মুসলমানদের মসজিদ হিসেবে পরিচিত। 

Umayyad Mosque
এই মসজিদটি সিরিয়ার দামেস্ক নগরীতে অবস্থিত। ৭১৫ইং সালে মসজিদটি প্রথম তৈরি করা হয়। মূলত সুন্নি মুসলমানদের মসজিদ হিসেবে পরিচিত।

Great Mosque of Xi'an
এই মসজিদটি চীনের Xi'an, Shaanxi নগরীতে অবস্থিত। ৭৪২ইং সালে মসজিদটি প্রথম তৈরি করা হয়। মূলত সুন্নী ও শিয়া মুসলমানদের মসজিদ হিসেবে পরিচিত। 

Great Mosque of Xi’an, China

Great Mosque of Xi’an, China


Located near the Drum Tower on Huajue Lane of Xi’an, Shaanxi Province, the Great Mosque of Xi’an is one of the oldest, largest and best-preserved Islamic mosques in China. It is really well worth a trip to see the Great Mosque, not only for its centuries-old history but also for its particular design of mixed architecture combining traditional Muslim and Chinese styles.
The Great Mosque was originally built in 742 during the Tang Dynasty (618-907) to honor the founders of Islam in China. Islam was introduced into Northwest China by Arab merchants and travelers from Persia and Afghanistan during the mid-7th century when some of them settled down in China and married Han people. Their descendants became Muslim of today.
The Great Mosque is about 250 meters from east to west and 50 meters from south to north, covering an area of 13,000 square meters. Unlike most mosques in Middle Eastern or Arab countries, this mosque has neither domes nor traditional-style minarets; it has the layout of a Chinese temple, with successive courtyards on a single axis and pavilions and pagodas adapted to suit Islamic function. Unlike a typical Buddhist temple, however, the grand axis of the Great Mosque of Xi’an is aligned from east to west, facing Mecca. The complex consists of four courtyards, each with a signature pavilion, screen, or freestanding archway, leading to the prayer hall located at the western end of the axis. Landscaped with gardens, the further you stroll into its interior, the more serene you feel.
At the center of the courtyard is an imposing wooden archway, dating back to the 17th century. This nine-meter high archway is a four columned roofed structure buttressed on all sides by wooden props, anchored into stone bases. Multiple tiers of meticulously carved dougong brackets support its blue glazed tile roof. Three chambers stand either side of the archway, in which is now displayed some furniture preserved from the Ming and Qing dynasties.

In the center of the second courtyard there is a stone memorial archway, behind which stand two steles on both sides. On one stele is the script of a famous calligrapher named Mi Fu of the Song Dynasty; the other is from Dong Qichang, a calligrapher of the Ming Dynasty. Their calligraphy is considered to be a great treasure in the art of handwriting due to the elegant yet powerful characters.

At the entrance to the third courtyard is a hall that contains many steles from ancient times. As you enter the courtyard, you will see the Xingxin Tower (Tower for Introspection). This brick tower is over ten-meter tall with three stories separated by eaves and wrapped by wooden balconies. Its eaves are decorated with blue glazed tiles and dragon heads are carved into the ridges. Inside, a moveable staircase leads up to the ceiling caissons, which are carved and brightly painted with lotus flowers.

The prayer hall, preceded by a large platform, is at the western end of the fourth courtyard. Before the platform stands the Phoenix Pavilion. Its roofline connects three distinct pavilions, extending from the central hexagonal structure towards two pyramidal roofed gazebos. This apparently Chinese roofline conceals the wooden cupola that crowns the central space, carried on squinches, attesting to the continued use of imported Islamic elements in interior space.

The Prayer Hall covers an area of 1,300 square meters. Its ceilings are carved with over 600 classical scriptures. Huge wooden boards inscribed with the Koran in Arabic and Chinese are placed in the hall. They are marvelous carvings of art, rarely seen in the other mosques in the world. This hall can hold more than 1,000 Muslims in service and prayer services are held five times everyday respectively at dawn, noon, afternoon, dusk and night according to traditional custom.

The Great Mosque is the largest Islamic service center in Xi’an, and it is the only mosque in the country that is open to visitors. Non-Muslims, however, are not admitted to the main prayer hall or during times of prayer.


Watch this video:

এক অসাধারণ #না’তসহ দরূদ - বালাগাল উলা বি-কামালিহি: ইতিহাস, অনুবাদ ও তাৎপর্য