Showing posts with label আল্লাহ'র সৃষ্টির নিদর্শন(Sign of Creation). Show all posts
Showing posts with label আল্লাহ'র সৃষ্টির নিদর্শন(Sign of Creation). Show all posts

Thursday, October 17, 2013

আল্লাহ্‌র শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য আলাদা মিরাকল দরকার নেই, তার প্রতিটি সৃষ্টিই মিরাকল:

আল্লাহ্‌র শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য আলাদা মিরাকল দরকার নেই, তার প্রতিটি সৃষ্টিই মিরাকল: 
মাছের গায়ে আর গাছের ডালে আল্লাহ্‌র নাম দেখে যারা দুর্বল ঈমান পোক্ত করতে চান–এই পোস্ট তাদের জন্য নয়

মাছের গায়ে আর গাছের ডালে আল্লাহ্‌র নাম দেখে যারা দুর্বল ঈমান পোক্ত করতে চান–এই পোস্ট তাদের জন্য নয়তবে এই পোস্ট নাস্তিকদের জন্যও নয়। বরং এই পোস্ট ধর্মের নামে ভণ্ডামির বিরুদ্ধে প্রকৃত ধর্ম-বিশ্বাসীদের জন্য। আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব ও ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য কিছু ভণ্ড ধর্ম-ব্যবসায়ী ভূয়া ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক ঘটনার ছবি প্রচার করে একদিকে যেমন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তেমনি অন্যদিকে নাস্তিক ও বিধর্মীদের কাছে ইসলাম ধর্মকে হাস্যাস্পদ করছে। আবার কিছু ধর্ম-বিদ্বেষীও ধর্মকে হেয় করার জন্য এসব ছবি ব্যবহার করে। এই পোস্টে সেসব ‘ভূয়া’ মিরাকলের ‘আসল’ কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।
সবচেয়ে বিখ্যাত ‘মিরাকল’টি দিয়েই শুরু করি। অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঘরে ঘরে নীচের ছবিটি বাঁধানো অবস্থায় শোভা পাচ্ছে:

এটি নাকি জার্মানির একটি খামারের ছবি–এর গাছগুলি আল্লাহ্‌র কুদরতে এমনভাবে আকৃতি নিয়েছে, যাতে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ কথাটি পরিষ্কার ফুটে উঠেছে! এটি দেখে নাকি অনেক জার্মান নাগরিক মুসলমানও হয়েছে। তারপর ‘বে-দ্বীন’ জার্মান সরকার নাকি জায়গাটি বেড়া দিয়ে আড়াল করে দিয়েছে–আল্লাহ্‌র এই কুদরত দেখে আর কেউ যাতে মুসলমান হতে না পারে।
অথচ আসল ঘটনা হল, এটি মোটেই বাস্তব কোন দৃশ্য নয়, বরং ডাঃ সাঈদ আল-খুদারি নামে এক মিশরীয় ব্যক্তির হাতে আঁকা তৈলচিত্র! একই ব্যক্তির ‘আঁকা’ মানুষের শ্বাসনালীর নীচের ছবিটিকেও দেখুন কীভাবে এর পরের ছবিতে আল্লাহ্‌র কুদরতের নিদর্শন হিসেবে চালানো হয়েছে:

পরবর্তীতে অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী মিশরীয় ব্যক্তি আসল ঘটনা উন্মোচন করে ই-মেইল পাঠালে একটি ইসলামী ওয়েবসাইট গাছের ও ফুসফুসের ছবি দুটি সরিয়ে নেয়। উক্ত ই-মেইলটি দেখতে পাবেন এখানে: http://www.themodernreligion.com/miracles.html#email
এবার দেখুন নীচের ছবিতে ক্যাকটাস গাছকে কীভাবে ‘আল্লাহু’ লেখা মিরাকল হিসেবে দাবি করা হয়েছে:
বক-ধার্মিকগণ নীচের গাছটিতেও ‘আল্লাহু’ লেখা খুঁজে পেয়েছে:

আরও দেখুন অস্ট্রেলিয়ার এক বনে রুকুর ভঙ্গিতে থাকা গাছের ছবি:

রুকুতে থাকা গাছের ভিডিওটি দেখতে পাবেন নীচের ইউটিউব লিংকে: http://www.youtube.com/watch?v=LYdw1iM1yI0
উপরে গাছের ছবিগুলি যদি আল্লাহ্‌র কুদরতই হয়, তবে নীচে দেখানো গাছের ছবিগুলির ব্যাখ্যা কী:
১। মানুষের মুখের আকৃতির গাছ:

২। হাতির আকৃতির গাছ (কোন হিন্দু যদি এটি দেখে গণেশ বলে দাবি করে, তবে আপনি কী বলবেন!):

৩। ব্যালে নর্তকীর ভঙ্গীতে গাছ:

৪। আরেকটি মানুষের আকৃতির গাছ:

৫। সিঙ্গাপুরের হনুমান গাছ (যা দেখে হিন্দুরা হনুমানদেবের কীর্তি ভেবে ভক্তিভরে পূজা শুরু করেছে!):

থাইল্যান্ডের কথিত ‘নারীপল’ বা ‘নারীফল’ গাছের ছবিটি কারো কারো কাছে অশ্লীল মনে হতে পারে বলে এখানে দিলাম না। চাইলে এই লিংকে গিয়ে দেখে আসতে পারেন: http://mrugeshmodi.blogspot.com/2010/09/nareepol-tree-amazing-woman-tree.html
বরং সাগরের বুকে মানুষের তৈরি কৃত্রিম ‘খেজুর গাছ’ আকৃতির দ্বীপকে আমার বিজ্ঞানের ‘মিরাকল’ মনে হয়। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কত জ্ঞানই না দিয়েছেন! নীচে দেখুন দুবাইয়ের ‘আল-নাখীল’ দ্বীপ:

এবার দেখুন মেঘের গায়ে ‘আল্লাহু’ লেখা:

অথচ আপনি চাইলে আকাশের মেঘের গায়ে হাতি, ঘোড়া, গাছ, ইত্যাদি অনেক কিছু কল্পনা করতে পারেন। এরকম ‘মিরাকল’ দেখতে চান? তাহলে নীচে দেখুন:
১। গাড়ি আকৃতির মেঘ (এটি দেখে জাপানের টয়োটা কোম্পানি যদি নিজেদের স্বর্গীয় বলে দাবি করে, তবে আমি এর জন্য দায়ী না!):

২। হাতি আকৃতির মেঘ:

৩। আরেকটি হাতি-মেঘ (হিন্দুদের দেবতা গণেশের মিরাকল?):

নীচে ‘গনেশ’ আকৃতির একটি ফুলও দেখুন তাহলে:

এবার দেখুন প্রাণির গায়ে ‘আল্লাহু’ ও ‘মুহাম্মদ’ লেখা ছবি:

উপরের প্রাণীর ছবিগুলি যদি আল্লাহ্‌র কুদরত হয়, তবে নীচের ছবিগুলি কার কুদরত?
১। গরুর গায়ে হিন্দুদের ওম লেখা:

২। গরুর গায়ে খ্রীস্টানদের ক্রশ আঁকা:

কেউ কেউ নীচের ছবিতে পাহাড়ের গায়ে অলৌকিক ‘আল্লাহু’ লেখা দেখতে পায়:

এখন পাহাড়ের গায়ে ‘ওম’ লেখা নীচের ছবিটি দেখে কী বলবেন?:

এখন দেখুন এক পাকিস্তানি নাকি চাপাতিতে ‘আল্লাহু’ লেখা বলে দাবি করেছে:

তাহলে নীচের ‘ওম’ পরোটা দেখে সে কী বলবে?:

আবার নীচের ছবিটাতে সাগরের মাঝে পাথরের দ্বীপটি নাকি ‘সেজদারত’:

তাহলে নীচের ছবির ভালোবাসার প্রতীক ‘হার্ট’ আকৃতির দ্বীপটা দেখে যদি কেউ দাবি করে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ইসলাম-সম্মত, তবে তাকে কী বলবেন?:

সুতরাং এসব ছবির বেশির ভাগই প্রকৃতির খেয়াল, কাকতালীয়, দৃষ্টিবিভ্রম কিংবা দুষ্ট লোকের কারসাজির উদাহরণ মাত্র। অথচ আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব ও ইসলামের মহিমা প্রমাণের উদ্দেশ্যে এরকম হাজার হাজার ভূয়া ‘মিরাকল’ প্রচার করছে ইন্টারনেটের বহু ইসলামী ওয়েব-সাইট।
তাই এসব ছবি দিয়ে যারা আল্লাহ্‌র অলৌকিকত্ব প্রমাণ করতে চায়, তারা আসলে নিজেরা বিভ্রান্ত, অন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানকেও বিভ্রান্ত করে এবং একই সাথে ইসলাম ধর্মকে হাস্যাস্পদ বা হেয় করে। আল্লাহ্‌র শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য আলাদা মিরাকল দরকার নেই, তার প্রতিটি সৃষ্টিই মিরাকল।
আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে প্রকৃত জ্ঞানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দিন।



Related Links:
আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির কিছু নিদর্শন

মহাবিশ্বের বিদ্যমান অসংখ্য নিদর্শন আল্লাহকে চিনতে ও খুজে পেতে সহায়তা করে । 

আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির কিছু নিদর্শন - একটি খুতবার ভিডিও 


Please browse these website for more information about  sign of creation: 

http://www.signsofcreation.com
http://www.evidencesofcreation.com

 

http://isignbd.blogspot.com/2013/07/the-miracles-of-quran-bangla.html


Friday, July 12, 2013

The measure of beauty created in nature: The golden ratio

The measure of beauty created in nature: The golden ratio

- Harun yahya

 

Allah has appointed a measure for all things. (Surat at-Talaq, 3)
… You will not find any flaw in the creation of the All-Merciful. Look again-do you see any gaps? Then look again and again. Your sight will return to you dazzled and exhausted! (Surat al-Mulk, 3-4)
... If a pleasing or exceedingly balanced form is achieved in terms of elements of application or function, then we may look for a function of the Golden Number there ... The Golden Number is a product not of mathematical imagination, but of a natural principle related to the laws of equilibrium. (1)
What do the pyramids in Egypt, Leonardo do Vinci's portrait of the Mona Lisa, sunflowers, the snail, the pine cone and your fingers all have in common?
The answer to this question lies hidden in a sequence of numbers discovered by the Italian mathematician Fibonacci. The characteristic of these numbers, known as the Fibonacci numbers, is that each one consists of the sum of the two numbers before it. (2)

L. Pisano Fibonacci
Fibonacci numbers
0, 1, 1, 2, 3, 5, 8, 13, 21, 34, 55, 89, 144, 233, 377, 610, 987, 1597, 2584, …
Fibonacci numbers have an interesting property. When you divide one number in the sequence by the number before it, you obtain numbers very close to one another. In fact, this number is fixed after the 13th in the series. This number is known as the "golden ratio."

GOLDEN RATIO = 1.618
233 / 144 = 1.618
377 / 233 = 1.618
610 / 377 = 1.618
987 / 610 = 1.618
1597 / 987 = 1.618
2584 / 1597 = 1.618

THE HUMAN BODY AND THE GOLDEN RATIO
When conducting their researches or setting out their products, artists, scientists and designers take the human body, the proportions of which are set out according to the golden ratio, as their measure. Leonardo da Vinci and Le Corbusier took the human body, proportioned according to the golden ratio, as their measure when producing their designs. The human body, proportioned according to the golden ratio, is taken as the basis also in the Neufert, one of the most important reference books of modern-day architects.

Leonardo da Vinci used the golden ratio in setting out the proportions of the human body.
THE GOLDEN RATIO IN THE HUMAN BODY
The "ideal" proportional relations that are suggested as existing among various parts of the average human body and that approximately meet the golden ratio values can be set out in a general plan as follows: (3)
The M/m level in the table below is always equivalent to the golden ratio. M/m = 1.618
The first example of the golden ratio in the average human body is that when the distance between the navel and the foot is taken as 1 unit, the height of a human being is equivalent to 1.618. Some other golden proportions in the average human body are:
The distance between the finger tip and the elbow / distance between the wrist and the elbow,
The distance between the shoulder line and the top of the head / head length,
The distance between the navel and the top of the head / the distance between the shoulder line and the top of the head,
The distance between the navel and knee / distance between the knee and the end of the foot.
The Human Hand
Lift your hand from the computer mouse and look at the shape of your index finger. You will in all likelihood witness a golden proportion there.
Our fingers have three sections. The proportion of the first two to the full length of the finger gives the golden ratio (with the exception of the thumbs). You can also see that the proportion of the middle finger to the little finger is also a golden ratio. (4)
You have two hands, and the fingers on them consist of three sections. There are five fingers on each hand, and only eight of these are articulated according to the golden number: 2, 3, 5, and 8 fit the Fibonacci numbers.
The Golden Ratio in the Human Face
There are several golden ratios in the human face. Do not pick up a ruler and try to measure people's faces, however, because this refers to the "ideal human face" determined by scientists and artists.
For example, the total width of the two front teeth in the upper jaw over their height gives a golden ratio. The width of the first tooth from the centre to the second tooth also yields a golden ratio. These are the ideal proportions that a dentist may consider. Some other golden ratios in the human face are:
Length of face / width of face,
Distance between the lips and where the eyebrows meet / length of nose,
Length of face / distance between tip of jaw and where the eyebrows meet,
Length of mouth / width of nose,
Width of nose / distance between nostrils,
Distance between pupils / distance between eyebrows.
Golden Proportion in the Lungs
In a study carried out between 1985 and 1987 (5), the American physicist B. J. West and Dr. A. L. Goldberger revealed the existence of the golden ratio in the structure of the lung. One feature of the network of the bronchi that constitutes the lung is that it is asymmetric. For example, the windpipe divides into two main bronchi, one long (the left) and the other short (the right). This asymmetrical division continues into the subsequent subdivisions of the bronchi. (6) It was determined that in all these divisions the proportion of the short bronchus to the long was always 1/1.618.
THE GOLDEN RECTANGLE AND THE DESIGN IN THE SPIRAL

A rectangle the proportion of whose sides is equal to the golden ratio is known as a "golden rectangle." A rectangle whose sides are 1.618 and 1 units long is a golden rectangle. Let us assume a square drawn along the length of the short side of this rectangle and draw a quarter circle between two corners of the square. Then, let us draw a square and a quarter circle on the remaining side and do this for all the remaining rectangles in the main rectangle. When you do this you will end up with a spiral.
The British aesthetician William Charlton explains the way that people find the spiral pleasing and have been using it for thousands of years stating that we find spirals pleasing because we are easily able to visually follow them. (7)
The spirals based on the golden ratio contain the most incomparable designs you can find in nature. The first examples we can give of this are the spiral sequences on the sunflower and the pine cone. In addition to this, an example of Almighty Allah's flawless creation and how He has created everything with a measure, the growth process of many living things also takes place in a logarithmic spiral form. The curves in the spiral are always the same and the main form never changes no matter their size. No other shape in mathematics possesses this property. (8)
The Design in Sea Shells


The flawless design in the nautilus shell contains the golden ratio.
When investigating the shells of the living things classified as mollusks, which live at the bottom of the sea, the form and the structure of the internal and external surfaces of the shells attracted the scientists' attention:
The internal surface is smooth, the outside one is fluted. The mollusk body is inside shell and the internal surface of shells should be smooth. The outside edges of the shell augment a rigidity of shells and, thus, increase its strength. The shell forms astonish by their perfection and profitability of means spent on its creation. The spiral's idea in shells is expressed in the perfect geometrical form, in surprising beautiful, "sharpened" design. (9)
The shells of most mollusks grow in a logarithmic spiral manner. There can be no doubt, of course, that these animals are unaware of even the simplest mathematical calculation, let alone logarithmic spirals. So how is it that the creatures in question can know that this is the best way for them to grow? How do these animals, that some scientists describe as "primitive," know that this is the ideal form for them? It is impossible for growth of this kind to take place in the absence of a consciousness or intellect. That consciousness exists neither in mollusks nor, despite what some scientists would claim, in nature itself. It is totally irrational to seek to account for such a thing in terms of chance. This design can only be the product of a superior intellect and knowledge, and belongs to Almighty Allah, the Creator of all things:
"My Lord encompasses all things in His knowledge so will you not pay heed?" (Surat al-An'am, 80)
Growth of this kind was described as "gnomic growth" by the biologist Sir D'Arcy Thompson, an expert on the subject, who stated that it was impossible to imagine a simpler system, during the growth of a seashell, than which was based on widening and extension in line with identical and unchanging proportions. As he pointed out, the shell constantly grows, but its shape remains the same. (10)
One can see one of the best examples of this type of growth in a nautilus, just a few centimetres in diameter. C. Morrison describes this growth process, which is exceptionally difficult to plan even with human intelligence, stating that along the nautilus shell, an internal spiral extends consisting of a number of chambers with mother-of-pearl lined walls. As the animal grows, it builds another chamber at the spiral shell mouth larger than the one before it, and moves forward into this larger area by closing the door behind it with a layer of mother-of-pearl. (11)
The scientific names of some other marine creatures with logarithmic spirals containing the different growth ratios in their shells are:
Haliotis Parvus, Dolium Perdix, Murex, Fusus Antiquus, Scalari Pretiosa, Solarium Trochleare.
Ammonites, extinct sea animals that are today found only in fossil form, too, had shells developing in logarithmic spiral form.
Growth in a spiral form in the animal world is not restricted to the shells of mollusks. Animals such as antelopes, goats and rams complete their horn development in spiral forms based on the golden ratio. (12)
The Golden Ratio in the Hearing and Balance Organ
The cochlea in the human inner ear serves to transmit sound vibrations. This bony structure, filled with fluid, has a logarithmic spiral shape with a fixed angle of ?=73°43´ containing the golden ratio.
Horns and Teeth That Grow in a Spiral Form
Examples of curves based on the logarithmic spiral can be seen in the tusks of elephants and the now-extinct mammoth, lions' claws and parrots' beaks. The eperia spider always weaves its webs in a logarithmic spiral. Among the micro-organisms known as plankton, the bodies of globigerinae, planorbis, vortex, terebra, turitellae and trochida are all constructed on spirals.
THE GOLDEN RATIO IN THE MICRO WORLD
Geometrical shapes are by no means limited to triangles, squares, pentagons or hexagons. These shapes can also come together in various ways and produce new three-dimensional geometrical shapes. The cube and the pyramid are the first examples that can be cited. In addition to these, however, there are also such three-dimensional shapes as the tetrahedron (with regular four faces), octahedron, dodecahedron and icosahedron, that we may never encounter in our daily lives and whose names we may never even have heard of. The dodecahedron consists of 12 pentagonal faces, and the icosahedron of 20 triangles. Scientists have discovered that these shapes can all mathematically turn into one another, and that this transformation takes place with ratios linked to the golden ratio.
Three-dimensional forms that contain the golden ratio are very widespread in micro-organisms. Many viruses have an icosahedron shape.
The best known of these is the Adeno virus. The protein sheath of the Adeno virus consists of 252 protein subunits, all regularly set out. The 12 subunits in the corners of the icosahedron are in the shape of pentagonal prisms. Rod-like structures protrude from these corners.
The first people to discover that viruses came in shapes containing the golden ratio were Aaron Klug and Donald Caspar from Birkbeck College in London in the 1950s. The first virus they established this in was the polio virus. The Rhino 14 virus has the same shape as the polio virus.
Why is it that viruses have shapes based on the golden ratio, shapes that it is hard for us even to visualise in our minds? A. Klug, who discovered these shapes, explains:
My colleague Donald Caspar and I showed that the design of these viruses could be explained in terms of a generalization of icosahedral symmetry that allows identical units to be related to each other in a quasi-equivalent way with a small measure of internal flexibility. We enumerated all the possible designs, which have similarities to the geodesic domes designed by the architect R. Buckminster Fuller. However, whereas Fuller's domes have to be assembled following a fairly elaborate code, the design of the virus shell allows it to build itself. (14)
Klug's description once again reveals a manifest truth. There is a sensitive planning and intelligent design even in viruses, regarded by scientists as "one of the simplest and smallest living things." (15) This design is a great deal more successful than and superior to those of Buckminster Fuller, one of the world's most eminent architects.
The dodecahedron and icosahedron also appear in the silica skeletons of radiolarians, single-celled marine organisms.
Structures based on these two geometric shapes, like the regular dodecahedron with feet-like structures protruding from each corner, and the
various formations on their surfaces make up the varying beautiful bodies of the radiolarians. (16)
As an example of these organisms, less than a millimetre in size, we may cite the icosahedron based Circigonia Icosahedra and the Circorhegma Dodecahedra with dodecahedron skeleton. (17)
The Golden Ratio in DNA
The molecule in which all the physical features of living things are stored, too, has been created in a form based on the golden ratio. The DNA molecule, the very program of life, is based on the golden ratio. DNA consists of two intertwined perpendicular helixes. The length of the curve in each of these helixes is 34 angstroms and the width 21 angstroms. (1 angstrom is one hundred millionth of a centimetre.) 21 and 34 are two consecutive Fibonacci numbers.
The Golden Ratio in Snow Crystals
The golden ratio also manifests itself in crystal structures. Most of these are in structures too minute to be seen with the naked eye. Yet you can see the golden ratio in snow flakes. The various long and short variations and protrusions that comprise the snow flake all yield the golden ratio. (18)
THE GOLDEN RATIO IN SPACE
In the universe there are many spiral galaxies containing the golden ratio in their structures.
The Golden Ratio in Physics
You encounter Fibonacci series and the golden ratio in fields that fall under the sphere of physics. When a light is held over two contiguous layers of glass, one part of that light passes through, one part is absorbed, and the rest is reflected. What happens is a "multiple reflection."
The number of paths taken by the ray inside the glass before it emerges again depends on the number of reflections it is subjected to. In conclusion, when we determine the number of rays that re-emerge, we find that they are compatible with the Fibonacci numbers.
The fact that a great many unconnected animate or inanimate structures in nature are shaped according to a specific mathematical formula is one of the clearest proofs that these have been specially designed. The golden ratio is an aesthetic rule well known and applied by artists.
Works of art based on that ratio represent aesthetic perfection. Plants, galaxies, micro-organisms, crystals and living things designed according to this rule imitated by artists are all examples of Allah's superior artistry. Allah reveals in the Qur'an that He has created all things with a measure. Some of these verses read:
… Allah has appointed a measure for all things. (Surat at-Talaq, 3)
… Everything has its measure with Him. (Surat ar-Ra'd, 8)


1- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 155.
2- Guy Murchie, The Seven Mysteries of Life, First Mariner Boks, New York, pp. 58-59.
3- J. Cumming, Nucleus: Architecture and Building Construction, Longman, 1985.
4- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 87.
5- A. L. Goldberger, et al., "Bronchial Asymmetry and Fibonacci Scaling." Experientia, 41 : 1537, 1985.
6- E. R. Weibel, Morphometry of the Human Lung, Academic Press, 1963.
7- William Charlton, Aesthetics: An Introduction, Hutchinson University Library, London, 1970.
8- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 77.
9- "The 'Golden' spirals and 'pentagonal' symmetry in the alive Nature," online at: http://www.goldenmuseum.com/index_engl.html
10- D'Arcy Wentworth Thompson, On Growth and Form, C.U.P., Cambridge, 1961.
11- C. Morrison, Along The Track, Withcombe and Tombs, Melbourne.
12- "The 'Golden' spirals and 'pentagonal' symmetry in the alive Nature," online at: http://www.goldenmuseum.com/index_engl.html
13- J. H. Mogle, et al., "The Stucture and Function of Viruses," Edward Arnold, London, 1978.
14- A. Klug, "Molecules on Grand Scale," New Scientist, 1561:46, 1987.
15- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 82.
16- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 85.
17- For bodies of radiolarians, see H. Weyl, Synnetry, Princeton, 1952.
18- Emre Becer, "Biçimsel Uyumun Matematiksel Kuralý Olarak, Altýn Oran" (The Golden Ratio as a Mathematical Rule of Formal Harmony), Bilim ve Teknik Dergisi (Journal of Science and Technology), January 1991, p.16.
19- V.E. Hoggatt, Jr. and Bicknell-Johnson, Fibonacci Quartley, 17:118, 1979.

 

Source: http://harunyahya.com 

 

Please watch this video:

Golden Ratio in Human Body

 

 

Sunday, July 7, 2013

আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির কিছু নিদর্শন - একটি খুতবার ভিডিও

আল্লাহ তাআলার মহাবৈশ্বয়িক কিছু নিদর্শন নিয়ে চিন্তা করা আল্লার অসীম শক্তি সম্পর্কে বান্দার ঈমান বাড়িয়ে দেয়।আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে তার আসমান জমিনের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার নর্দেশ দিয়েছেন, যাতে বান্দা বুঝতে পারে এ মহাবিশ্বের একজন পরিচালক রয়েছেন

Saturday, July 6, 2013

CNN: Azan miracle, flowers blooming when azans comes, Azerbaijan

The CNN has send a team reporting on this subject who had verified the truthfulness of this azan flower phenomenon, this flower blooms at the exact time of each of the 5 prayers (evening, days, or night),as it represented on CNN report , Glory to Allah, the greatest creator.

Thursday, July 4, 2013

মোরগের ডাকে আল্লাহ আল্লাহ (দিগন্ত টিভির প্রতিবেদন)



আমরা সকলেই জানি পোষা পাখি ময়না, টিয়া ও তোতা পাখি মানুষের কণ্ঠে কথা বলতে পারে কিন্তু একটি মোরগও মানুষের কণ্ঠে কথা বলতে পারে এমনটি কে জানে? এমনই এক ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পানিহার গ্রামের আফতাব মোল্লার বাড়ীতে। তার ছেলে রুবেল হোসেন জানান, তাদের বাড়ীর একটি মোরগ ঈদের দিন জবাই করার জন্য ধরে জালের ভেতর আটকে রাখি। এরপর অস্পষ্টভাবে মোরগটি আল্লাহ নামে ডাকাডাকি শুরু করে। বিষয়টি প্রথমে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। পরে মোরগটি জবাই করতে গেলে আরো দ্রুত গতীতে স্পষ্টভাবে আল্লাহ বলে চিৎকার করতে থাকে।
বিষয়টি স্থানীয় এক মৌলভীর সাথে পরামর্শ করলে তিনি মোরগটি জবাই করতে নিষেধ করনে। বিষয়টি লোকে মুখে প্রচার হবার পর থেকে গোদাগাড়ীসহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলার উৎসুক হাজার হাজার মানুষ মোরগটিকে একনজর দেখতে তার বাড়ীতে ভিড় করছে। অনেকেই আবার মোরগটিকে কিনে নিতে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হেকেছেন। কিন্তু বিক্রি বা কোনভাবে হাতছাড়া করতে নারাজ মোরগটির প্রতিপালক মোর্তজার স্ত্রী শিউলী বেগম।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী ইউপি চেয়্যারম্যান মাসিদুল গণি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আসলেই খুব আশ্চার্যের। আমি নিজেই গিয়ে সরেজমিনে দেখে এসেছি।
এস.এইচ.এম তরিকুল ইসলাম, রাজশাহী থেকে

Watch this Video
 

Friday, June 28, 2013

মৌমাছি—বিস্ময়কর এক ভেক্টর গণিতবিদ !

মৌমাছি—বিস্ময়কর এক ভেক্টর গণিতবিদ !

- ম্যাভেরিক

 

তৈলাক্ত বাঁশের বানর
“আপুর বইয়ে একটা অঙ্ক দেখলাম, বাবা—তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উপরে উঠছে এক বানর। বানরটি এক মিনিটে ৩ মিটার উঠে, আবার পরের মিনিটেই পিছলে ১ মিটার নেমে যায়। বানররা কি এরকম করে, বাবা? আর এ অঙ্ক করেই বা কী কাজ হবে?” এক অপরাহ্নে, পারিবারিক চায়ের আসরে, আমার ছোট মেয়ে ফারিনের প্রশ্ন।
প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসেন মেয়েদের মা। মেয়ের চুল নেড়ে দিতে দিতে আমি বলি, “তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠার মতো বাঁদরামী বানররা হয়তো কখনো করবে না। অঙ্কটি যারা তৈরি করেছেন, তারা বাস্তব জীবনের সাথে মিল রেখে একে তৈরি করতে পারতেন। তবে কোনো গণিতই অর্থহীন নয়, কারণ গণিত চিন্তার জগতকে প্রসারিত করে। যেকোনো বিষয়কে সুশৃঙ্খল সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে গণিত, ফলে তা বুঝতে সহজ হয়। আর গণিতের সবচেয়ে বড় উপকারটি হলো, এটি তোমার মনে মায়া মমতা সৃষ্টি করবে।”
“গণিত কিভাবে মমতা সৃষ্টি করে, বাবা?” বড় মেয়ে জেরিনের প্রশ্ন।
“তুমি যখন চারপাশে উড়ে যাওয়া পাখি, খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়া পিঁপড়া, কিংবা মধুর সন্ধান পাওয়া মৌমাছির দিকে তাকাও, মনে হতে পারে এগুলো নিতান্ত সাধারণ প্রাণীর সহজ সরল ঘটনা। কিন্তু তুমি যদি শোনো প্রাণীগুলি কতই না চমৎকার অথচ জটিল গাণিতিক নিয়ম মেনে চলে, খুব অবাক হবে। এই যে মৌমাছি, তাকে খুব উঁচু মাপের একজন গণিতবিদই বলা চলে—একথা যখন শুনবে, উপলব্ধি করবে মোটেও তুচ্ছ নয় সে, মানুষের কাছে রয়েছে তার সম্মানের দাবী। আর তখন, মৌমাছির প্রতি তোমার গড়ে উঠবে বিস্ময়মাখা এক মমতা।”
“মৌমাছি গণিত জানে!” হা হয়ে যায় ফারিনের মুখ।
“হ্যাঁ, বলছি তাহলে, শোনো। তার আগে স্থানাংকবিদ্যা (Coordinate System) নামে গণিতের একটি শাখার ব্যাপারে হালকা ধারণা থাকতে হবে তোমাদের।” আমি দ্রুত একটি ছবি এঁকে তুলে ধরি মেয়েদের সামনে।
লালমাটিয়ার বাড়ি

“মনে করো, এটি ঢাকার লালমাটিয়া এলাকা, যা A, B, C,... বিভিন্ন ব্লকে বিভক্ত। প্রতিটি ব্লকে আবার রয়েছে 1, 2, 3, ... করে বিভিন্ন বাড়ির নম্বর। এখন বলো, কেউ হাসপাতালটিকে কিভাবে খুঁজে পাবে?”
“তাকে E-ব্লকের 2-নম্বর বাড়িতে যেতে হবে।” জেরিন দ্রুত উত্তর দেয়।
“আর মসজিদটি হলো A-ব্লকের 5-নম্বর বাড়ি।” বোনের কথা শেষ হতে না হতে ফারিনও চিৎকার দিয়ে উঠে।
“হ্যাঁ, ঠিক বলেছ। কত সুন্দর ব্যবস্থা, দেখ। যেকোনো বাড়িতে যেতে হলে, তোমার শুধু দুটি জিনিস জানতে হবে: ব্লক নম্বর আর বাড়ির নম্বর। কেউ যদি বলে, ছবির বহুতল শপিং কমপ্লেক্সের ঠিকানা কী, তাহলে আরো সংক্ষেপে (D, 4) বললেই হবে। সাথে সাথে সবাই বুঝে যাবে, এটি D-ব্লকের 4-নম্বর বাড়ি।”
“কিন্তু লালমাটিয়া এলাকায় কি সত্যি সত্যি এভাবে বাড়ির নম্বর আছে! তাহলে মানুষ বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে যায় কেন?”
“না, আমাদের দেশে এভাবে বাড়ির নম্বর দেয়া হয় না। যারা নগরের পরিকল্পনা করেন, তারা যদি ভালো গণিতও জানেন, গণিতকে ভালোবাসেন না। আর এ কারণে, আমাদের চারপাশে এত বিশৃঙ্খলা।
এখন দেখো—নীচের গাছ, রাস্তা, দালান বিশিষ্ট কোণার জায়গাটি, যেখান থেকে লালমাটিয়া এলাকা শুরু হয়েছে, তাকে আমরা বলি মূলবিন্দু (Origin)। মূলবিন্দু থেকে লালমাটিয়ার যেকোনো জায়গাকে দুটি মাত্র প্রতীক দ্বারা আমরা প্রকাশ করতে পারি। এভাবে সংক্ষেপে, সুশৃঙ্খলভাবে কোনো জায়গার অবস্থান নির্দেশ করার পদ্ধতিকেই বলা হয় স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা। যদিও নগর পরিকল্পনায় এর প্রচলন ছিল বেশ বহু আগে থেকেই, গণিতে একে প্রথম প্রকাশ করেন মহান দার্শনিক বিজ্ঞানী রেনে ডেকার্তে (René Descartes)।”
ডেকার্তে'র মাছি
জনশ্রুতি আছে, তীব্র এক গরমের দিনে, বিছানায় শুয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অসুস্থ ডেকার্তে—ক্লান্ত এক মাছি ছাদে ইতঃস্তত ঘোরাঘুরি করছে।
খুব মজা পেলেন ডেকার্টে, মনে মনে ভাবলেন, “বেচারা মাছিটি জানেও না, সে তার চলার পথে বিভিন্ন জ্যামিতিক আকার ফুটিয়ে তুলছে।” খানিক পর মনে হলো, “ইসস, যদি কোনোভাবে মাছিটির বক্রপথের বিন্দুগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের অবস্থান মাপা যেত, তাহলে হয়তো তার চলার পথটিকেও গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা যেত।”
এক সময় হঠাৎ তিনি উপলব্ধি করলেন, আরে বিন্দুগুলোর অবস্থান তো খুব সহজেই মনে রাখা যায়! বিক্ষিপ্তভাবে ছাদের চার কোণা থেকে মাছির অবস্থান চিন্তা না করে, শুধু এক কোণা থেকে হিসেব করলেই তো হয়। এক কোণা থেকে বেরিয়ে যাওয়া, দেয়ালের দুই সংস্পর্শ লাইন থেকে দূরত্ব পরিমাপ করাই যথেষ্ট। তার মানে মাছিটি এক লাইন থেকে 3 ফুট, আরেক লাইন থেকে 4 ফুট দূরে হলে, মাছির অবস্থানকে সংক্ষেপে (3, 4) বললেই হবে। এভাবে মাছিটি কখনো (1, 1), (2, 1.5), (3, 3) এরূপ বিভিন্ন জায়গায় অব্স্থান করতে পারে। খাতায় দেয়ালের কোণা, লাইন এঁকে দেখালে ডেকার্তের মাছিটি দেখাবে:

ডেকার্তের নামানুসারে এর নাম কার্তেসীয় স্থানাংক ব্যবস্থা (Cartesian Coordinate System)। আয়তাকার বলে, একে আয়তিক স্থানাংক ব্যবস্থা (Rectangular Coordinate System)ও বলা হয়।
কার্তেসীয় ব্যবস্থায় কোনো বিন্দুর অবস্থান জানতে তুমি আনুভূমিক ও উলম্ব অক্ষ বরাবর দুটি দূরত্ব বের কর। পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা (Polar Coordinate System) নামে আরেকটি স্থানাংক ব্যবস্থা আছে, যেখানে মূলবিন্দু থেকে কাঙ্ক্ষিত বিন্দুর সরাসরি দূরত্ব এবং সেটি কত কোণে আছে জানলেই চলবে। যেমন ধর, কার্তেসীয় স্থানাংক ব্যবস্থায় একটি বিন্দু (3, 4), অর্থাৎ বিন্দুটি মূলবিন্দু থেকে 3-ঘর ডানে, তারপর 4-ঘর উপরে অবস্থিত। পোলার স্থানাংকে সেটি মূলবিন্দু থেকে r দূরত্বে এবং অনুভূমিকের সাথে α কোণে হলে,

পীথাগোরাসের সূত্র প্রয়োগ করে পাও,
r^2 = 3^2 + 4^2
=> r^2 = 9 + 16
=> r^2 = 25
=> r = ±5
দূরত্ব যেহেতু ধনাত্মক, r = 5.
আর ত্রিকোণমিতির ট্যানজেন্ট সূত্র থেকে পাও,
tanα = 4/3
=> tanα = 1.33...
এখন ক্যালকুলেটরের সাহায্যে পাও, α = 53.1 ডিগ্রি (প্রায়)। অথবা চাঁদার সাহায্যেও কোণটি মাপতে পার।
সুতরাং কার্তেসীয়ে (3, 4) যে কথা, পোলারে (5, 53.1ডিগ্রি) একই কথা। এর মানে হলো, অনুভূমিকভাবে 3 ঘর, তারপর উলম্বভাবে 4 ঘর গিয়ে তুমি যেখানে পৌঁছবে, অনুভূমিকের সাথে প্রায় 53.1 ডিগ্রি কোণে 5 ঘর গেলে সেই একই বিন্দুতে পৌঁছবে। এভাবে কোণ আর দূরত্ব জানলেও তুমি যেকোনো জায়গা বের করে ফেলতে পার। এবার তাহলে আসি, আমাদের বিস্ময়কর গণিতবিদ মৌমাছির কথায়।
ভেক্টর গণিতজ্ঞ মৌমাছি
প্রতিদিন সকালে বেরিয়ে পড়ে অনুসন্ধানী (scout) মৌমাছি, উড়ে বেড়ায় এক ফুল থেকে আরেক ফুলে, যতক্ষণ না পর্যন্ত চমৎকার মানসম্পন্ন মধুর খোঁজ পায়। কাঙ্ক্ষিত ফুলের সন্ধান পাওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে সে ফিরে আসে মৌচাকে, অন্যদেরকে জানায় তার আবিষ্কারের কথা। প্রথমে সে বয়ে আনা মকরন্দটি (nectar) তাকে গোল হয়ে ঘিরে ধরা কর্মী মৌমাছিদের মুখের কাছে নিয়ে নিয়ে স্বাদ দেয়, এতে তারা বুঝতে পারে মধুর গুণাগুণ। মধুর গুণের ব্যাপারে অন্যদের আস্থা জন্মানোর পর, মধুর উৎসের সন্ধান দেয় সে, অদ্ভুত এক উপায়ে, যা দেখে অন্যরা (recruit) উৎসের দিকে তাদের অভিযান শুরু করে।
কোন পথে উৎসটি বিদ্যমান এটি জানানোর জন্য স্পন্দন নৃত্য (Waggle Dance) নামে এক ধরণের নাচ শুরু করে স্কাউট মৌমাছিটি। এতে মৌচাকের একটি স্থান থেকে শুরু করে, প্রথমে শরীর কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে নির্দিষ্ট দিকে সোজা একটু দূরত্ব অতিক্রম করে সে, তারপর অর্ধবৃত্তাকার পথে সূচনা বিন্দুতে ফিরে আসে, আবার সোজা পথে শরীর কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে পূর্বের দূরত্ব অতিক্রম করে, এবং অবশেষে বিপরীত দিক থেকে অর্ধবৃত্তাকার পথে ফিরে আসে—এভাবে বাংলা ৪-এর মত দেখতে বর্তনীপথ তৈরি করে। সঙ্গীদেরকে কয়েকবার সে এভাবে বর্তনী তৈরি করে দেখায়।

মধুর উৎসের দিক
বর্তনীর সোজা পথটুকুর দিক থেকে মধুর উৎসের দিকের সন্ধান পাওয়া যায়।

যেমন, উপরের ছবির প্রথম মৌমাছিটির খাবারের উৎস সূর্যের দিকে, তাই সে মৌচাকে আসার পর তার নাচের সোজা পথটি হবে মৌচাকের নীচ থেকে খাড়া উপরের দিকে। খাড়া উপরের দিক মানে সূর্যের দিক।
দ্বিতীয় মৌমাছিটির খাবারের উৎস হলো মৌচাক থেকে যেদিকে সূর্য, তার সাথে ৯০ ডিগ্রি কোণে ডান দিকে। তাই মৌচাকে আসার পর এর নাচের সোজা পথটিও খাড়া উপরের দিকের সাথে ৯০ ডিগ্রি কোণে ডান দিকে হবে।
অন্যদিকে তৃতীয় মৌমাছিটির খাবারের উৎস হলো, যেদিকে সূর্য, তার সাথে ১৩৫ ডিগ্রি কোণে বাম দিকে। তাই এর নাচের সোজা পথটি হবে খাড়া উপরের দিকের সাথে ১৩৫ ডিগ্রি কোণে বাম দিকে।


"তার মানে সংবাদবাহক মৌমাছি প্রথমে সূর্যের দিকটি দেখে, তারপর তার সাথে খাবারের উৎস কত ডিগ্রি কোণে, কোন দিকে আনত তা হিসেব করে। এবং মৌচাকে আসার পর, খাড়া উপরের দিকটিকে সূর্যের দিক ধরে নিয়ে, কোণটিকে সেভাবে ডানে বা বামে সমন্বয় করে অন্যদের দেখায়। অন্যরা তখন প্রথমে সূর্যকে দেখে সেভাবে খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে।" জেরিন বলে।
"হ্যাঁ।" স্মিত হেসে সায় দেই আমি।
মধুর উৎসের দূরত্ব
“তার মানে ফুলটি কোন দিকে আছে এটি বোঝা গেল, কিন্তু কত দূরত্বে আছে এটি কীভাবে বুঝবে?” জেরিনের প্রশ্ন।
“এটিও মজার। যদি ফুলটি দূরে হয়, তাহলে সোজা পথটি অতিক্রম করার সময় মৌমাছিটি বেশি সময় নিবে, কাছে হলে কম সময়। সোজা পথের সময় দেখে অন্যরা হিসেব করে নেয় কত দূরে খাবারের উৎস। একটি বিশেষ প্রজাতির মৌমাছির উপর গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ মিটার দূরত্বের জন্য স্পন্দন নৃত্যের সময় ৭৫ মিলিসেকেণ্ড করে বেড়ে যায়। অন্য প্রজাতির ক্ষেত্রে ফলাফলটি ভিন্ন হতে পারে। তবে যেকোনো প্রজাতির ক্ষেত্রে দূরত্বের সাথে সময়ের সর্বদাই একটি সুনির্দিষ্ট সরলরৈখিক সম্পর্ক (linear relationship) বিদ্যমান। নিচে তোমাদেরকে এশীয় এবং ইউরোপীয় দুটি মৌমাছি প্রজাতির ক্ষেত্রে দূরত্ব বনাম স্পন্দন নৃত্যের স্থায়িত্বকাল-এর সম্পর্ক দেখাচ্ছি ”

1. এশীয় মৌমাছি Apis cerana cerana-এর দূরত্ব (x)বনাম সময় (y) রেখাঃ y=154+3.40x
2. ইউরোপীয় মৌমাছি Apis mellifera ligustica-এর দূরত্ব (x)বনাম সময় (y) রেখাঃ y=165+1.92x
Su et el.
“আচ্ছা, বাবা, সূর্য তো সব সময় এক জায়গায় থাকে না। যদি মৌমাছিটির আসতে দেরী হয়, তখন তার নাচ দেখে অন্যরা বের হয়ে গেলে তারা দিক ভুল করে ফেলবে না?”
মেয়ের প্রশ্নে চমৎকৃত হই। “হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছ। প্রতি ৪ মিনিটে সূর্য ১ ডিগ্রি করে পশ্চিম দিকে সরতে থাকে। যদি অনুসন্ধানী (scout) মৌমাছিটির মৌচাকে আসতে বেশ সময় লাগে কিংবা মৌচাকে আসার অনেক পরে নাচ দেখায়, সূর্যের দিক পরিবর্তনের সাথে তার নৃত্য কোণটিও সেভাবে সমন্বয় করে নেয় সে, ফলে কোনো সমস্যা হয় না। এ এক অদ্ভুত ক্ষমতা। এটি না ঘটলে পরবর্তী মৌমাছিদের (recruit) অনেকেই মারা যেত, কারণ ভুল পথে চলে যাবার কারণে বাসা থেকে যে খাবার নিয়ে তারা বের হতো, তা শেষ হয়ে যেত, এবং খাবারের কোনো উৎস খুঁজে না পাওয়ায় ক্লান্তিতে আর ফিরে আসতে পারত না। কিন্তু এরকম কখনো হয় না।”
“সত্যিই খুব অদ্ভুত তো! কিন্তু যদি আসার পথে মেঘে সূর্য ঢেকে যায়, তাহলে কি করবে?”
“অতিবেগুনি রশ্মি (ultraviolet rays) কাজে লাগিয়ে, মৌমাছি অন্ধকারেও সূর্যের অবস্থান বুঝতে পারে, মামণি।”
আমি চুপ করে তাকিয়ে থাকলাম মেয়েদের দিকে। গণিত নিয়ে আলোচনার শেষের দিকে তাদের চোখের সেই চিরায়ত মুগ্ধ বিস্ময়।
“এর পর মৌমাছি দেখলে,” আমি ধীরে ধীরে বলি, “নিশ্চয়ই গভীরভাবে স্মরণ করবে তাদের গাণিতিক গুণের কথা, উপহাস ভরে উড়িয়ে দেবে না নিছক ক্ষুদ্র প্রাণী বলে। জগতে সবারই নিজের মত করে রয়েছে জ্ঞান, এ উপলব্ধি যখনই আসবে তোমার, তা শ্রদ্ধা জাগাবে জগতের অপার রহস্যের প্রতি, সৃষ্টি করবে সহনশীলতা আর সৃষ্টিজগতের প্রতি মমতা। এবং অবশ্যই সে সময় তোমার কৃতজ্ঞতা জানাবে মহান সেই গণিতবিদের প্রতি যিনি মৌমাছির ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে স্থাপন করে দিয়েছেন বিস্ময়কর এই জ্ঞান।”
[সংক্ষেপিত সংকলিত]
__________________________________
তোমার প্রভু প্রত্যাদেশ দিলেন মৌমাছিকে "নিবাস গড়ে তোল তোমরা পাহাড়ে এবং বৃক্ষে, এবং সেসব স্থাপনায় যা নির্মাণ করে মানুষ। অতঃপর খাও ফলসমূহ থেকে এবং গমন কর প্রভুর নির্ধারিত পথ ধরে, যা সুগম করা হয়েছে তোমাদের অনুসরণের জন্য।" এদের উদর হতে নির্গত হয় এক পানীয়, বিচিত্র তার বর্ণ, যাতে রয়েছে মানুষের রোগমুক্তি। নিঃসন্দেহে চিন্তাশীলদের জন্য এতে রয়েছে নিশ্চিত নিদর্শন।—আল কুরআন, সুরা আন-নহল: ৬৮-৬৯
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫১ |


মন্তব্য ও মন্তব্যের জবাব:
বাবুআনা বলেছেন: নাস্তিকের এই পোষ্টটি পড়ুক আর জানুক কতটা মুর্খের স্বর্গে তারা আছে। আল্লাহ্‌ আমাদের বোধ বিবেচনা বাড়িয়ে দিক; আমিন!  লেখক বলেছেন: শুভেচ্ছা। স্রষ্টা সবার বিবেচনাবোধই বাড়িয়ে দিন, সবাইকে বিনয়ী করুন। 

ধৈঞ্চা বলেছেন: সালটা মনে নাই দীর্ঘ গবেষণা করে মৌমাছির এই দিক নির্দেশনার রহস্যটি আবিস্কার করে নোবেল পেয়েছিলেন এক বিজ্ঞানী। সত্যিই কত বিচিত্র আমাদের এই সৃষ্টিজগৎ।  লেখক বলেছেন: শুভেচ্ছা। মন্তব্যে মূল্যায়নে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ, এ বিষয়ে ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন অস্ট্রীয় বিজ্ঞানী কার্ল ভন ফ্রিশ।

Source: http://www.somewhereinblog.net

Watch these Video: 


Description:  Dancing Honeybee Using Vector Calculus to Communicate with each other. Waggle dance of bees Description: By means of the waggle dance a bee communicates to its hivemates in which direction they must fly to reach a food source.

এক অসাধারণ #না’তসহ দরূদ - বালাগাল উলা বি-কামালিহি: ইতিহাস, অনুবাদ ও তাৎপর্য