Showing posts with label Miracle of Kaaba. Show all posts
Showing posts with label Miracle of Kaaba. Show all posts

Thursday, October 17, 2013

আব-ই-জমজম: আল্লাহর এক বিস্ময়কর ও রহস্যময় নিদর্শন

আব-ই-জমজম: আল্লাহর এক বিস্ময়কর ও রহস্যময় নিদর্শন



জমজম কূপের ইতিহাস:
মহান আল্লাহতায়ালা বিশ্বের সব বস্তুই সৃষ্টি করেছেন মানবকল্যাণে। আর বিশ্বের সব সৃষ্টি মানুষের জন্য নিয়ামতস্বরূপ। তার মধ্যে পানি একটি বিশেষ নিয়ামত। এই পানি ব্যতীত মানুষ এক মুহূর্তও চলতে পারে না। জমজম কূপের পানি পৃথিবীর সব পানির চেয়ে আলাদা। আর এ পানি স্বয়ং আল্লাহতায়ালার দেয়া স্বর্গীয় রহমতপূর্ণ। আজ থেকে প্রায় চার-সাড়ে চার হাজার বছর আগে, মধ্যপ্রাচ্যের পবিত্র ভূমি মক্কানগরী, যেখানে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জন্মস্থান, সেখানে মহাবরকতময় স্বর্গীয় পানি জমজম কূপের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই পানি পৃথিবীর অন্যসব পানি থেকে ব্যতিক্রমধর্মী। জমজম কূপের উৎপত্তির সঙ্গে হজরত হাজেরা (আ.) এর স্মৃতিজড়িত। মহান আল্লাহতায়ালার হুকুমে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার বড় স্ত্রী বিবি হাজেরা ও তার নবজাতক সন্তান হজরত ইসমাইলসহ (আ.) পবিত্র মক্কানগরে লুপ্ত কাবার কাছে নির্বাসন দেয়ার জন্য আদিষ্ট হন।
তিনি আল্লাহর আদেশে স্ত্রী ও সন্তানকে কিছু পানি ও খেজুরসহ সেখানে রেখে যান। যাওয়ার সময় ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন, 'হে আল্লাহ! তুমি একে শান্তিময় নগরে পরিণত কর এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখ।' সুরা ইব্রাহীম। অপর আয়াতে বলা হয়েছে, 'হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার সম্মানিত ঘরের কাছে এক অনাবাদি উপত্যকায় আমার এক বংশধরকে বসত করতে রেখে গেলাম। হে আমাদের প্রভু! তারা যেন সালাত কায়েম করে। তুমি কতিপয় লোকের মন তাদের প্রতি আকৃষ্ট করে দাও। তাদের জীবিকারূপে কিছু ফলমূল দাও। আশা করা যায়, তারা তোমার শোকর গোজার করবে। সুরা ইব্রাহীম। ইব্রাহীম (আ.) মা ও শিশু সন্তানের জন্য যে খাদ্য ও পানীয় রেখে গিয়েছিলেন, তা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। ফলে মা ও শিশু সন্তান ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়েন।
মা হাজেরা (আ.) এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে কোথাও খাদ্য সংগ্রহ করতে না পেরে, নিকটস্থ সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের চূড়ায় উঠে চারদিকে দৃষ্টিপাত করতে লাগলেন কোথাও কোনো জনমানবের কাফেলা দেখা যায় কি না। এভাবে তিনি আশায়-নিরাশায় উভয় পাহাড়ে পরপর সাতবার ওঠানামা করতে থাকেন। তার পুত্রস্নেহের এই দৃশ্যটি আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দনীয় হয়েছে বিধায় আল্লাহতায়ালা এই স্মৃতিটি চিরদিনের জন্য হাজিদের দ্বারা অমস্নান ও স্মরণীয় করে দেন। আর হজের এই কাজটি ওয়াজিব হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। মা হাজেরা উভয় পাহাড়ে সাতবার দৌড়াদৌড়ি করে নিরুপায় হয়ে সন্তানের কাছে ফিরে এসে দেখতে পেলেন যে, ইসমাইলের পাদদেশে পানি। বিবি হাজেরা তাড়াতাড়ি দৌড়ে গেলেন শিশুপুত্রের কাছে। হ্যাঁ ঠিকই পানি। শিশুপুত্রের খেলাচ্ছলে পায়ের গোড়ালির আঘাতে আঘাতে প্রস্তর চুইয়ে পানি আসছে। আল্লাহপাকের শুকরিয়া আদায় করে পানি যাতে গড়িয়ে যেতে না পারে তাই আশপাশ থেকে প্রস্তর ও বালু এনে চারপাশে বৃত্তাকারে পানি যতদূর গড়িয়েছে ততটুকু বাঁধ দিয়ে আটকালেন এবং পানিকে জমজম অর্থাৎ থামথাম বললেন। অমনি আল্লাহপাকের নির্দেশে পানি স্থির হয়ে রইলো। বর্ণিত আছে যে, সেদিন যদি তিনি পানিকে এভাবে বাধা প্রদান না করতেন, তবে এ পানিতেই সারাবিশ্ব তলিয়ে যেত। জমজম কূপের উৎপত্তির দিন থেকে মক্কা নগরীতে জনবসতির সূচনা হয়। ধীরে ধীরে তা মহানগরীতে পরিণত হয়। এর পানি বিশ্বের সর্বোত্তম এবং বিশেষ বরকতময়। 

জমজম কূপ সম্মন্ধে কিছু জানা-অজানা তথ্য:

 ১) আল্লাহ তা'লার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর থেকে… এর স্বাদেরও কোন পরিবর্তন হয় নাই আজ পর্যন্ত কোন এলগি বা শ্যাওলা জন্মায় নাই কোনরকম জীবাণুরও সংক্রমন হয় নাই পৃথিবীর বিভিন্ন হাই টেক ল্যাবোরেটরিতে এর মান ও গুণাগুণ পরীক্ষা করা হয় এবং তাতে কোনরকম সমস্যা পাওয়া যায় নাই আজ পর্যন্ত

২) ভারী মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনাকালের ন্যায়। আর পানি উঠানো বন্ধের পর মাত্র ১১ মিনিটে আবার পানির লেভেল উঠে আসে ১৩ ফুটে! এখন একটা স্বাভাবিক গাণিতিক হিসাবে যাওয়া যাক। প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় উত্তোলিত পানির হিসাব দাড়ায়- ৮০০০*৬০*৬০*২৪= ৬৯১.২ মিলিয়ন লিটার! যা পূরণ হয়ে যায় মাত্র ১১ মিনিটে অথচ তা তোলা হয়েছিল ২৪ ঘণ্টায়!! সুবহানআল্লাহ 

৩) দুটো আশ্চর্য ব্যাপার এখানে যে- জমজম কূপের এত দ্রুত পূর্ণ হয়ে যাওয়া বা কুপে পানি প্রবাহের এত তীব্র গতি আবার অন্যদিকে সেই তীব্র গতির পানিপ্রবাহ একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় এসে বন্ধ হয়ে যাওয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সৃষ্টি অসাধারন এবং চমৎকার তাঁর নিয়ন্ত্রণ।

৪) এই কূপের পানি সৃষ্টির পর থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মউসুমে ব্যবহার ক'য়েক গুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।

৫)  সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।

৬) এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।

) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।

৮) এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

৯) সব থেকে বড় নিদর্শন হলো এই কূপের কোন সংযোগ নেই, কারণ আসে পাশে নেই কোন জলাধার বা নদী বা সমুদ্র, সম্পূর্ণ মরুভূমি, আর বৃষ্টি… তা তো নেই বললেই চলে! আলহামদুলিল্লাহ, এটাই আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন আমাদের জন্য

►রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে যেই নিয়তে পান করবে, তার সেই নিয়ত পূরণ হবে। যদি তুমি এই পানি রোগমুক্তির জন্য পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করবেন। যদি তুমি পিপাসা মেটানোর জন্য পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমার পিপাসা দূর করবেন। যদি তুমি ক্ষুধা দূর করার উদ্দেশ্যে তা পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমার ক্ষুধা দূর করে তৃপ্তি দান করবেন। এটি জিবরাইল (আ.)-এর পায়ের গোড়ালির আঘাতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পানীয় হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ ও আল-আজরাকি)

►জম জমের পানি দাড়িয়ে এবং তিন শ্বাসে পান করা সুন্নাহ। পান করার সময় নিম্নের দোয়াটি পাঠ করা-
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا, وَرِزْقًا وَاسِعًا, وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ.
(حديث ضعيف/ رواه الدارقطنى وعبد الرزاق والحاكم عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا مَوْقُوْفًا)

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকা ইলমান নাফি'আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া, ওয়াশিফা'আন মিন কুল্লি দা।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট কল্যাণকর জ্ঞান, প্রশস্থ রিযিক এবং যাবতীয় রোহ থেকে আরোগ্য কামনা করিতেছি। (দারা কুতনী, আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম, বর্ণনায় ইবেনে আব্বাস)

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জমজমের পানি
- গবেষক তারিক হোসাইন, রিয়াদ এবং মইনুদ্দিন আহমেদ 
বাংলা লিখেছেন

আব-ই-জমজম কূপ আল্লাহর সৃষ্ট এক বিস্ময়কর নিদর্শন। ১৯৭১ সালে একজন মিশরীয় ডাক্তার ইউরোপীয়ান গণমাধ্যমে লিখে ছিলেন, জমজমের পানি পানের উপযোগী নয়। কাবার অবস্থান ছিল সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে নিচে এবং মক্কার মাঝখানে। তাই শহরের সকল নোংরা পানি এই কূপে এসে জমা হয়। এই খবরটি সৌভাগ্যক্রমে বাদশাহ্ ফয়সলের দৃষ্টি গোচর হয় এবং তিন চরম রাগান্বিত হন। তিনি কৃষি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণায়কে দ্রুত নির্দেশ দিলেন এর তদন্ত করতে। মন্ত্রণালয় জেদ্দার পাওয়ার এন্ড ডিজএলাইজেশন প্লান্টকে নির্দেশ দিল এই কাজটি করতে। তখন আমি (লেখক) সেই প্রতিষ্ঠানে ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমি এই কাজটি করতে আগ্রহ দেখালাম। প্রথমে আমি কূপটির আয়তন সম্পর্কে ধারণা নিতে শুরু করলাম। আমি আমার সহকারীকে গোসল করিয়ে পবিত্র করে কূপে নামালাম। সহকর্মীর উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। কূপের পানি তার কাধ পর্যন্ত ছিল। কূপটির আয়তন ১৮ ফুট বাই ১৪ ফুট। সে কূপের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে খুজে কোথাও কোন অর্ন্তনালী বা পাইপলাইন পেল না। আমার মাথায় অন্য একটি বুদ্ধি খেলল। আমি একটি উচ্চ মতা সম্পন্ন পাম্প বসিয়ে দ্রুত কূপের পানি সেচতে থাকলাম। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে পানির লেভেলে কোন পরিবর্তন ঘটল না। এটা ছিল একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোথা থেকে পানি কূপে আসছে তা বের করা যেত। আমি এই পদ্ধতি পুনরায় প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি সহকারীকে এবার কূপে নামিয়ে তাকে সূক্ষ্ম ভাবে পর্যবেনের নির্দেশ দিয়ে পাম্প চালু করলাম। এবার একটি অবাক করা ঘটনা ঘটল। সে হঠাৎ তার হাত তুলে চিৎকার করে বলে উঠল, “আলহামদুলিল্লাহ! আমি পেয়েছি। আমার পায়ের নিচে বালি নাচছে।” তারপর সে কূপের চারদিকে হাটতে শুরু করল এবং দেখল সব স্থানে একই ঘটনা ঘটছে। আসলে কূপের সব স্থান থেকে একই গতিতে পানি এসে সমতা বজায় রাখছিল। আমার এই পর্যবেণ শেষে আমি পানির নমুনা পরীার জন্য ইউরোপীয়ান ল্যবরেটরীতে পাঠালাম। আমি মক্কার অন্যান্য কূপগুলো সম্পর্কে খবর নিলাম। দেখলাম সেগুলো সচরাচর শুকনো থাকে। ইউরোপীয়ান ল্যাবেরটরীজ তাদের পরীা শেষে রিপোর্টে জানালো সাধারন পানির তুলনায় জমজমের পানিতে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সল্টের পরিমাণ বেশী। যা হাজীদের কান্তি দূর হওয়ার জন্য একটি কারণ হতে পারে। ল্যাবেরটরীজ এই পানিকে পানের উপযোগী বলে আখ্যায়িত করে। বাদশাহ্ ফয়সল একথা শোনার পর অনেক খুশি হলেন এবং পূর্বের রিপোর্টটির একটি প্রতিবাদ ইউরোপীয়ান গণমাধ্যমে পাঠালেন। উল্লেখ্য, ছোট এই কূপটি লক্ষ লক্ষ মানুষের পানির চাহিদা মিটিয়ে আসছে। একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল এখান থেকে আধুনিক পাম্পের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ৮ হাজার লিটার পানি উত্তোলন করা যায় এবং ২৪ ঘন্টা পর ১১ মিনিটের জন্য বিরতী দেয়া হলে পানির লেভেল আবার সমান হয়ে যায়। জমজম কূপের পানির স্তর কখনো কমে না। এতে কখনো শ্যাওলা বা আগাছা জন্মে না।  সূত্র- http://alislaah4.tripod.com/moreadvices2/id21.htm

See Video please(ভিডিওটি দেখুন):

Zam Zam Water - Mini Documentary 

 

Related other links:

Japanese Scientist's research on Zam Zam

Zamzam: A living miracle 

 



Tuesday, October 15, 2013

Miracle of Kaaba - Golden Ratio in Islam: a mathematical proof

Miracle of Kaaba - Golden Ratio in Islam: a mathematical proof




1.618: Number of Golden Ratio is a mystery of Kaaba and an evidence God’s infinite truth with in the holy Quran. The golden ratio, also known as the divine proportion, golden mean, phi constant or golden section, is a ratio of two numbers (in distance, weight, proportion, etc), which is usually encountered when taking distances in geometric figures and biological systems. It is an instrument of measurement and growth efficiency. It is evident in the universe as well as our own bodies. Unbelievably, the closer a ratio to this number in an object or a system of objects, the more beautiful it is manifested in the human eye. For more information please browse this link: The measure of beauty created in nature: The golden ratio

You will see scientific proofs of unbelievable mysteries that have remained hidden in the Holy City of Mecca for thousand of years with your own eyes. Mecca is willed as direction of kowtow, convention place for billions of Muslims and as the holy center of Islam. Those Muslims, who can afford, are prescribed to arrive go on a journey through Kaaba, Muzdelife and Arafat and to convene in the sacred city.


Phi Constant- 1.618, superior design number of mathematics. The Creator has always used the very same number in numerous events in the universe; in our heart pulses, the aspect ratio of DNA spiral, in the special design of the universe called dodecehadron, in the leaf array rules of plants called phylotaxy, in the snow flake crystals, in the spiral structure of numerous galaxies. The Creator used the same number; the number of golden ratio which is 1.618


It is determined that this ratio has been used for the design of various reputable architectural structures, even including Pyramids in Egypt. Famous astronomer Kepler defined this number as a great treasury. Numerous famous painters, engineers and architects, like Leonardo Da Vinci, have been using this ratio in their works of art for hundreds of years.


As a result of his 25 years long study, aesthetician Dr. Steven Markout proves that each of human faces and bodies, created pursuant to this ratio, are completely beautiful. If the relative ratio is 1.618 for the components of any structure, then this form will be convenient to Golden Ratio, the perfect design.


So, where is the Golden Ratio Point of the World?


The proportion of distance between Mecca and North Pole to the distance between Mecca and South Pole is exactly 1.618 which is the golden mean. Moreover, the proportion of the distance between South Pole and Mecca to the distance between both poles is again 1.618.


The miracle has not been completed yet; The Golden Ratio Point of the World is in Mecca city according to map of latitude and longitude which is the common determinant of mankind for location.


The proportion of eastern distance to the western distance of Meccas solstice line is again 1.618. Moreover, as shown in the Figure, the proportion of the distance from Mecca to the solstice line from the west side and perimeter of world at that latitude is also surprisingly equal to the golden ratio, 1.618. The Golden Ratio Point of the World is always within the city borders of Mecca, within the Holy Region that includes Kaaba according to all mapping systems despite minor kilometrical variations in their estimations.

At home, you can precisely measure the distance between any two points of World by means of Google Worlds ruler feature. If you wish, you can easily verify the correctness of the given ratios by calculating latitudes and longitudes or even by using a simple calculator. In drawings, you initially see how to locate start and finish points on Mecca city and North Pole. With respect to positive longitude and latitude values and by taking drift angle to the land, but not to the sea, the single Golden Ratio Point of the World is Mecca.


Phi matrix program is an American program used for displaying golden ratio of pictures and drawings. If we assume the longitude and latitude map of the World as an everlasting painting which has an endless depth, and open it in this program, we will find out that the Golden Ratio Point of the World is the City of Mecca.


Miracles go on
Golden Ratio Miracle in the Verse, Mecca of Qur'an.
Allah has appointed a measure for all things.(Qur’an, 65: 3)
Everything has its measure with Him.] (Qur’an, 13: 8)


The examples of the golden ratio exist in our own bodies and in all living things in nature, are just a few of the proofs that God has created all things with a measure.


There is one unique verse in Qur'an that includes Mecca word and an expression that mentions clear evidences within the city which will grant faith to humanity. The relation between the City of Mecca and the Golden Ratio is clearly engraved in Ali Imran Surah’s (section of Koran) 96th verse. The total number of all letters of this verse is 47. Calculating the golden ratio of total letters, we find out that the word of Mecca is implied; 47 / 1,618 = 29.0. There are 29 letters from the beginning of the verse till the word, Mecca just as in the world map. If only one single word or letter was missing, this ratio could never been constituted. Without pushing the limits, we have conducted the very same process that we conducted on world map and witnessed the glorious coherence of number of letters that reveals the relation of Mecca and Golden Ratio.


All these evidences show that; The Creator of the World and mathematics is the same One and Single God, the indefinable and great force that has created Kaaba, holy region and Qur'an.  He reminds whole humanity that he has granted signs to all humanity on the basis of his foreknowledge about the future and the common languages of humans.


Discoveries regarding the relation between Golden Ratio, Mecca, Kaaba and Qur'an have been increasing day by day. In the figure, it is indicated that measurements by golden ratio compass that is also known as Leonardo compass, prove that Mecca city is located on the Golden Ratio Point of Arabia while Kaaba is located on the Golden Ratio of Mecca City. According to probability calculations, all these proofs can not be incidental.

Source: http://www.ummah.com


Wath this Video: 

Wednesday, September 11, 2013

অলৌকিক রক্ষা-ব্যবস্থাই কাবার শ্রেষ্ঠতম মিরাকল

অলৌকিক রক্ষা-ব্যবস্থাই কাবার শ্রেষ্ঠতম মিরাকল



আবরাহার হস্তী/হাতি বাহিনীর কাহিনী(সূরা ফীলের কাহিনী অবলম্বনে)

সূরা ফীল একটি প্রাথমিক মক্কী সূরা, যার সময়কাল হচ্ছে শেষ নবী (সা) জন্মগ্রহণের বছর অর্থাৎ ৫৭০ খৃষ্টাব্দ। ৫২৫ খৃষ্টাব্দে আবেসিনিয়ার খৃষ্টান হাবশী নৃপতি ইয়েমেন জয় করেন। এদিকে আবরাহা ছিল হাবশার আদুলিস বন্দরের একজন গ্রীক ব্যবসায়ীর ক্রীতদাস। নিজের বুদ্ধিমত্তার জোরে সে ইয়ামন দখলকারী হাবশী সেনাদলে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টিতে সক্ষম হয়। হাবশা সম্রাট তাকে দমন করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠায় কিন্তু এই সেনাদল হয় তার পক্ষে যোগ দেয় অথবা সে এই সেনাদলকে পরাজিত করে অবশেষে হাবশা সম্রাটের মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী তাকে ইয়ামনে নিজের গভর্ণর হিসেবে স্বীকার করে নেয়।( গ্রীক ঐতিহাসিকগণ তার নাম বলেছেন আবরামিস ( Abrames) এবং সুরিয়ানী ঐতিহাসিকগণ তাকে আবরাহাম ( Abraham ) নামে উল্লেখ করেছেন। আবরাহা সম্ভবত এরই হাবশী উচ্চারণ কারণ আরবীতে তো এর উচ্চারণ ইবরাহীম। )

ব্যক্তি ধীরে ইয়ামনের স্বাধীন বাদশাহ হয়ে বসে তবে নামকাওয়াস্তে হাবশা সম্রাটের প্রাধান্যের স্বীকতি দিয়ে রেখেছিল এবং নিজের নামের সাথে সম্রাট প্রতিনিধি লিখতো। তার প্রভাব প্রতিপত্তি অনেক বেশী অনেক বেড়ে গিয়েছিল একটি ব্যাপার থেকে সম্পর্কে অনুমান করা যেতে পারে। ৫৪৩ খৃষ্টাব্দে সদ্দে মাআরিব -- এর সংস্কার কাজ শেষ করে সে একটি বিরাট উৎসবের আয়োজন করে। এই উৎসবে রোমের কাইজার , ইরানের বাদশাহ , হীরার বাদশাহ এবং গাসসানের বাদাশাহর প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। সদ্দে মাআরিবে আবরাহা স্থাপিত শিলালিপিতে সম্পর্কিত পূর্ণ আলোচনা সংরক্ষিত রয়েছে। এই শিলালিপি আজো অক্ষুন্ন রয়েছে। গ্লীসার (Glaser) তার গ্রন্থে এটি উদ্ধৃত করেছেন।
 
এই অভিযান শুরুর গোড়াতেই রোমান সম্রাজ্য তার মিত্র হাবশী খৃষ্টানদের সামনে যে উদ্দেশ্য বর্তমান ছিল ইয়ামনে নিজের কর্তৃত্ব পুরোপুরি মজবুত করার পর আবরাহা সেই উদ্দেশ্য সফল করার কাজে আত্মনিয়োগ করে। এই উদ্দেশ্য ছিল , একদিকে আরবে খৃষ্ট ধর্ম প্রচার করা এবং অন্যদিকে আরবদের মাধ্যমে রোম সম্রাজ্যে প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে যে ব্যবসা চলতো তাকে পুরোপুরি নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। ইরানের সাসানী সাম্রাজ্যের সাথে রোমানদের কর্তৃত্বের দ্বন্দের ফলে প্রাচ্য দেশে রোমানদের ব্যবসার অন্যান্য সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যায়। কারণে এর প্রয়োজন আরো বেশী বেড়ে যায়।
 
উদ্দেশ্যে আবরাহা ইয়ামনের রাজধানীসানআ একটি বিশাল গীর্জা নির্মাণ করে আরব ঐতিহাসিকগণ একেআল কালীসবাআল কুল্লাইসনামে উল্লেখ করেছেন। একটি গ্রীক Ekklesia শব্দের আরবীকরণ মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাকের বর্ণনা মতে একাজটি সম্পন্ন করার পর সে হাবশার বাদশাহকে লিখে জানায় , আমি আরবদের হজ্জকে মক্কার কাবার পরিবর্তে সানআর গীর্জার দিকে ফিরিয়ে না দিয়ে ক্ষান্ত হবো না। * ইবনে কাসীর লিখেছেন , সে ইয়ামনে প্রকাশ্যে নিজের এই সংকল্পের কথা প্রকাশ করে এবং চতুর্দিকে ঘোষণা করে দেয়। আমাদের মতে তার ধরনের কার্যকলাপের উদ্দেশ্য ছিল এই যে , এর ফলে আরবরা ক্রুদ্ধ হয়ে এমন কোন কাজ করে বসবে যাকে বাহানা বানিয়ে সে মক্কা আক্রমণ করে কাবাঘর ধবংস করে দেবার সুযোগ লাভ করবে। মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক বর্ণনা করেছেন , তার ধরনের ঘোষণায় ক্রুদ্ধ হয়ে জনৈক আরব কোন প্রকারে তার গীর্জার মধ্যে প্রবেশ করে সেখানে মল ত্যাগ করে। ইবনে কাসীর বলেন , কাজটি করেছিল একজন কুরাইশী অন্যদিকে মুকাতিল ইবনে সুলাইমানের বর্ণনা মতে , কয়েকজন কুরাইশ যুবক গিয়ে সেই গীর্জার আগুন লাগিয়ে দেয়। এর মধ্য থেকে যে কোন একটি ঘটনাই যদি সত্যি ঘটে থাকে তাহলে এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। কারণ আবরাহার ঘোষণাটি ছিল নিশ্চিতভাবে অত্যন্ত উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কারণে প্রাচীন জাহেলী যুগের কোন আরব বা কুরাইশীর অথবা কায়েকজন কুরাইশী যুবকের পক্ষে উত্তেজিত হয়ে গীর্জাকে নাপাক করা অথবা তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়া কোন অস্বাভাবিক বা দুর্বোধ্য ব্যাপার ছিল না। কিন্তু আবরাহার নিজের পক্ষেও নিজের কোন লোক লাগিয়ে গোপনে গোপনে এই ধরনের কোন কাণ্ড করে ফেলাটাও অসম্ভব ব্যাপার বলে মনে হয় না। কারণ সে এভাবে মক্কা আক্রমণ করার বাহানা সৃষ্টি করতে এবং কুরাইশদেরকে ধবংস সমগ্র আরববাসীকে ভীত - সন্ত্রন্ত করে দিয়ে নিজের উভয় উদ্দেশ্যে সফলকাম হতে পারবে বলে মনে করছিল। মোটকথা দুটি অবস্থার মধ্য থেকে যেকোন একটিই সঠিক হোক না কেন , আবরাহার কাছে যখন রিপোর্ট পৌঁছল যে , কাবার ভক্ত অনুরক্তরা তার গীর্জার অবমাননা করেছে তখন সে কসম খেয়ে বসে , কাবাকে গুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমি স্থির হয়ে বসবো না।
* ইয়ামনের ওপর রাজনৈতিক কর্তৃত্ব লাভ করার পর খৃষ্টানরা মক্কার কাবাঘরের মোকাবিলায় দ্বিতীয় একটি কাবা তৈরি করার এবং সমগ্র আরবে তাকে কেন্দ্রীয় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করার জন্য অনবরত প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল উদ্দেশ্যে তারা নারজরানেও একটি কাবা নির্মাণ করেছিল। সূরা বুরুজের টীকায় এর আলোচনা এসেছে।
তারপর ৫৭০ বা ৫৭১ খৃষ্টাব্দে সে ৬০ হাজার পদাতিক , ১৩ টি হাতি ( অন্য বর্ণনা মতে টি হাতি ) সহকারে মক্কার পথে রওয়ানা হয়। পথে প্রথমে যু- নফর নামক ইয়ামনের একজন সরদার আরবদের একটি সেনাদল সংগ্রহ করে তাকে বাধা দেয়। কিন্তু যুদ্ধে যে পরাজিত ধৃত হয়। তারপর খাশআম এলাকায় নুফাইল ইবনে হাবীব খাশআমী তার গোত্রের লোকদের নিয়ে তার পথ রোধ করে। কিন্তু সেও পরাজিত গ্রেফতার হয়ে যায় সে নিজের প্রাণ বাঁচাবার জন্য আবরাহার সেনাদলের পথপ্রদর্শকের দায়িত্ব গ্রহণ করে। সেনাদল তায়েফের নিকটবর্তী হলে বনু সকীফ অনুভব করে এত বড় শক্তির মোকাবিলা করার ক্ষমতা তাদের নেই এবং এই সংগে তারা আশংকাও করতে থাকে যে , হয়তো তাদের লাত বেতার মন্দিরও তারা ভেঙে ফেলবে। ফলে তাদের সরদার মাসউদ একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আবরাহার সাথে সাক্ষাত করে। তারা তাকে বলে আপনি যে উপাসনালয়টি ভাঙতে এসেছেন আমাদের মন্দিরটি সে উপাসনালয় নয়। সেটি মক্কায় অবস্থিত কাজেই আপনি আমাদেরটায় হাত দেবেন না। আমরা মক্কার পথ দেখাবার জন্য আপানাকে পথপ্রদর্শক সংগ্রহ করে দিচ্ছি। আবরাহা তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে। ফলে বনু সাকীফ আবু রিগাল নামাক এক ব্যক্তি তখন আল মাগাম্মাস বা আল মুগাম্মিস নামক স্থানে পৌঁছে আবু রিগাল মারা যায়। আরবরা দীর্ঘকাল পর্যন্ত তার কবরে পাথর মেরে এসেছে। বনী সাকীফকেও তারা বছরের পর বছর ধরে এই বলে ধিক্কার দিয়ে এসেছে। ----- তোমরা লাতের মন্দির বাঁচাতে গিয়ে আল্লাহর ঘরের ওপর আক্রমণকারীদের সাথে সহযোগিতা করেছো
মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাকের বর্ণনা মতে , আল মাগাম্মেস থেকে আবরাহা তার অগ্রবাহিনীকে সামনের দিকে এগিয়ে দেয় তারা তিহামার অধিবাসীদের কুরাইশদের উট , ছাগল , ভেড়া ইত্যাদি বহু পালিত পশু লুট করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাদা আবদুল মুত্তালিবেরও দুশো উট ছিল। এরপর সে মক্কাবাসীদের কাছে নিজের একজন দূতকে পাঠায়। তার মাধ্যমে মক্কাবাসীদের কাছে এই মর্মে বাণী পাঠায় : আমি তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি। আমি এসেছি শুধুমাত্র এই ঘরটি ( কাবা ) ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে যদি তোমরা যুদ্ধ না করো তাহলে তোমাদের প্রাণ ধন - সম্পত্তির কোন ক্ষতি আমি করবো না। তাছাড়া তার এক দুতকেও মক্কাবাসীদের কাছে পাঠায়। মক্কাবাসীরা যদি তার সাথে কথা বলতে চায় তাহলে তাদের সরদারকে তার কাছে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়। আবদুল মুত্তালিব তখন ছিলেন মক্কার সবচেয়ে বড় সরদার। দূত তাঁর সাথে সাক্ষাত করে আবরাহার পয়গাম তাঁর কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। তিনি বলেন , আবরাহার সাথে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই। এটা আল্লাহর ঘর তিনি চাইলে তাঁর ঘর রক্ষা করবেন। দূত বলে , আপনি আমার সাথে আবরাহার কাছে চলুন। তিনি সম্মত হন এবং দূতের সাথে আবরাহার কাছে যান। তিনি এতই সুশ্রী , আকর্ষণীয় প্রতাপশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে , আবরাহা তাকে দেখে অত্যন্ত প্রভাবিত হয়ে পড়ে। সে সিংহাসন থেকে নেমে এসে নিজে তাঁর কাছে বসে পড়ে। সে তাঁকে জিজ্ঞেস করে , আপনি কি চান ? তিনি বলেন , আমার যে উটগুলো ধরে নেয়া হয়েছে সেগুলো আমাকে ফেরত দেয়া হোক। আবরাহা বলল , আপনাকে দেখে তো আমি বড়ই প্রভাবিত হয়েছিলাম। কিন্তু আপনি নিজের উটের দাবী জানাচ্ছেন , অথচ এই যে ঘরটা আপনার আপনার পূর্বপুরুষদের ধর্মের কেন্দ্র সে সম্পর্কে কিছুই বলছেন না , আপনার বক্তব্য আপনাকে আমার দৃষ্টিতে মর্যাদাহীন করে দিয়েছে। তিনি বলেন , আমি তো কেবল আমার উটের মালিক এবং সেগুলোর জন্য আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি আর এই ঘর। এর একজন রব , মালিক প্রভু আছেন তিনি নিজেই এর হেফাজত করবেন। আবরাহা জবাব দেয় , তিনি একে আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না। আবদুল মুত্তালিব বলেন , ব্যাপারে আপনি জানেন তিনি জানেন একথা বলে তিনি সেখান থেকে উঠে পড়েন আবরাহা তাঁকে তাঁর উটগুলো ফিরিয়ে দেয়।
ইবনে আব্বাস (রা) ভিন্ন ধরনের বর্ণনা পেশ করেছেন। তাঁর বর্ণনায় উট দাবীর কোন কথা নেই। আবদ ইবনে হুমাইদ , ইবনুল মুনযির , ইবনে মারদুইয়া , হাকেম , আবু নুআইম বাইহাকী তাঁর থেকে যে ঘটনা বর্ণনা করেছেন তাতে তিনি বলেন , আবরাহা আসসিফাই ( আরাফাত তায়েফের পাহাড়গুলোর মধ্যে হারম শরীফের সীমানার কাছাকাছি একটি স্থান ) পৌঁছে গেলে আবদুল মুত্তালিব নিজেই তার কাছে যান এবং তাকে বলেন , আপনার এখানে আসার কি প্রয়োজন ছিল ? আপনার কোন জিনিসের প্রয়োজন থাকলে আমাদের কাছে বলে পাঠাতেন। আমরা নিজেরাই সে জিনিস নিয়ে আপনার কাছে পৌঁছে যেতাম। জবাবে সে বলে , আমি শুনেছি , এটি শান্তি নিরাপত্তার ঘর। আমি এর শান্তি নিরাপত্তা খতম করতে এসেছি। আবদুল মুত্তালিব বলেন , এটি আল্লাহর ঘর। আজ পর্যন্ত তিনি কাউকে এর ওপর চেপে বসতে দেননি। আবরাহা জবাব দেয় , আমি একে বিধ্বস্ত না করে এখান থেকে সরে যাবো না।আবদুল মুত্তালিব বলেন, আপনি যা কিছু চান আমাদের কাছ থেকে নিয়ে চলে যান কিন্তু আবরাহা অস্বীকার করে আবদুল মুত্তালিবকে পেছনে রেখে নিজের সেনাবাহিনী নিয়ে সে সামনে দিকে এগিয়ে যায়।
উভয় বর্ণনার বিভিন্নতাকে যদি আমরা যথাস্থানে রেখে দিই এবং এদের মধ্য থেকে একটিকে অন্যটির ওপর প্রাধান্য না দিই তাহলে যে ঘটনাটিই ঘটুক না কেন আমাদের কাছে একটি জিনিস অত্যন্ত সুস্পষ্ট সেটি হচ্ছে , মক্কা তার চারপাশের গোত্রগুলো এতবড় সেনাদলের সাথে যুদ্ধ করে কাবাকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখতো না। কাজেই একথা সহজেই অনুধাবন করা যায় যে , কুরাইশরা তাদেরকে বাধা দেবার চেষ্টাই করেনি। কুরাইশরা তো আহযাবের যুদ্ধের সময় মুশরিক ইহুদি গোত্রগুলোকে সাথে নিয়ে বড় জোর দশ বারো হাজার সৈন্য সংগ্রত করতে পেরেছিল। কাজেই তারা ৬০ হাজার সৈন্যের মোকাবিলা করতো কিভাবে ?
মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক বর্ণনা করেন , আবরাহার সেনাদলের কাছ থেকে ফিরে এসে আবদুল মুত্তালিব কুরাইশদেরকে বলেন , নিজেদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে পাহাড়ের ওপর চলে যাও , এভাবে তারা ব্যাপক গণহত্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। তারপর তিনি কুরাইশদের কয়েকজন সরদার হারম শরীফে হাযির হয়ে যান। তারা কাবার দরজার কড়া ধরে আল্লাহর কাছে এই বলে দোয়া করতে থাকেন যে , তিনি যেন তাঁর ঘর তাঁর কাদেমদের হেফাজত করেন। সে সময় কাবা ঘরে ৩৬০ টি মূর্তি ছিল। কিন্তু এই সংকটকালে তারা সবাই এই মূর্তিগুলোর কথা ভুলে যায়। তারা একমাত্র আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার জন্য হাত ওঠায় ইতিহাসের বইগুলোতে তাদের প্রার্থনা বাণী উদ্ধৃত হয়েছে তার মধ্যে এক আল্লাহ ছাড়া আর কারোর নাম পর্যন্ত পাওয়া যায় না। ইবনে হিশাম তাঁর সীরাত গ্রন্থে আবদুল মুত্তালিবের নিম্নোক্ত কবিতাসমূহ উদ্ধৃত করেছেন :
 “ হে আল্লাহ ! বান্দা নিজের ঘর রক্ষা করে তুমিও তোমার ঘর রক্ষা করো।
 “ আগামীকাল তাদের ক্রুশ তাদের কৌশল যেন তোমার কৌশলের ওপর বিজয় লাভ না করে
 “ যদি তুমি ছেড়ে দিতে চাও তাদেরকে আমাদের কিবলাহকে তাহলে তাই করো যা তুমি চাও।
সুহাইলীরওযুল উনুফগ্রন্থে প্রসংগে নিম্নোক্ত কবিতাও উদ্ধৃত করেছেন :
 “ ক্রুশের পরিজন তার পূজারীদের মোকাবিলায় আজ নিজের পরিজনদেরকে সাহায্য করো।
আবদুল মুত্তালিব দোয়া করতে করতে যে , কবিতাটি পড়েছিলেন ইবনে জারীর সেটিও উদ্ধৃত করেছেন। সেটি হচ্ছে :
 “ হে আমার রব ! তাদের মোকাবিলায়
তুমি ছাড়া কারো প্রতি আমার আশা নেই,
হে আমার রব ! তাদের হাত থেকে
তোমার হারমের হেফাজত করো
এই ঘরের শত্রু তোমার শত্রু ,
তোমার জনপদ ধবংস করা থেকে
তাদের বিরত রাখো।

দোয়া করার পর আবদুল মুত্তালিব তার সাথীরাও পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে দিন আবরাহা মক্কায় প্রবশে করার জন্য এগিয়ে যায়। কিন্তু তার বিশেষ হাতী মাহমুদ ছিল সবার আগে , সে হঠাৎ বসে পড়ে। কুড়ালের বাঁট দিয়ে তার গায়ে অনেকক্ষণ আঘাত করা হয় তারপর বারবার অংকুশাঘাত করতে করতে আহত করে ফেলা হয়। কিন্তু এত বেশী মারপিট নির্যাতনের পরেও সে একটুও নড়ে না। তাকে উত্তর , দক্ষিণ পূর্ব দিকে মূখ করে চালাবরা চেষ্টা করলে সে ছুটতে থাকে কিন্তু মক্কার দিকে মুখ ফিরিয়ে দিলে সংগে সংগেই গ্যাট হয়ে বসে পড়ে। কোন রকমেই তাকে আর একটুও নড়ানো যায় না।
সময় ঝাঁকে ঝাকে পাখিরা ঠোঁটে পাঞ্জার পাথর কণা নিয়ে উড়ে আসে তারা সেনাদলের ওপর পাথর বর্ষণ করতে থাকে। যার ওপর পাথর কণা পড়তো তার দেহ সংগে সংগে গলে যেতে থাকতো। মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক ইকারামার বর্ণনা মতে, সেটা ছিল বসন্ত রোগ এবং আরব দেশে সর্বপ্রথম বছরই বসন্ত দেখা যায়। ইবনে আব্বাসের (রা) বর্ণনা মতে যার ওপরই পাথর কণা পড়তো তার সারা গায়ে ভীষণ চুলকানি শুরু হতো এবং চুলকাতে চূলকাতে চামড়া ছিঁড়ে গোশত রক্ত পানির মতো ঝরতে থাকতো এবং হাড় বের হয়ে পড়তো। আবরাহা নিজে এই অবস্থার সম্মুখীন হয়। তার শরীর টুকরো টুকরো হয়ে খসে পড়তো এবং যেখান থেকে এক টুকরো গোশত খসে পড়তো সেখান থেকে রক্ত পুঁজ ঝরে পড়তে থাকতো বিশৃংখলা হুড়োহুড়ি ছুটাছুটির মধ্যে তারা ইয়ামনের দিকে পালাতে শুরু করে। খাশআম এলাকা থেকে যে নুফাইল ইবনে হাবীব খাশআমীকে তারা পথপ্রদর্শক হিসেবে নিয়ে আসে তাকে খুঁজে পেয়ে সামনে নিয়ে আসা হয় এবং তাকে ফিরে যাবার পথ দেখিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু সে সরাসরি অস্বীকার করে বসে সে বলে :
 “এখন পালাবার জায়গা কোথায়
যখন আল্লাহ নিজেই করছেন পশ্চাদ্ধাবন ?
আর নাককাটা আবরাহা পরাজিত
সে বিজয়ী নয়।

এই পলায়ন তৎপরতার মধ্যে লোকেরা পথে ঘাটে এখানে সেখানে পড়ে মরতে থাকে। আতা ইবনে ইয়াসার বর্ণনা করেছেন তখনই এক সাথে সবাই মারা যায়নি। বরং কিছু লোক সেখানে মারা পড়ে আর দৌড়াতে দৌড়াতে কিছু লোক পথের ওপর পড়ে যেতে থাকে এভাবে সারাটা পথে তাদের লাশ বিছিয়ে থাকে। আবরাহাও খাশআম এলাকায় পৌঁছে মারা যায়। *
* মহান আল্লাহ হাবশীদেরকে শুধূমাত্র শাস্তি দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি বরং তিন চার বছরের মধ্যে ইয়ামনের ওপর থেকে হাবশী কর্তৃত্ব পুরোপুরি খতম করে দেন। ইতিহাস থেকে জানা যায় , হাতির ঘটনার পর ইয়ামনে তাদের শক্তি সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে ইয়ামনী সরদাররা ইরানের বাদশাহর কাছ থেকে সামরিক সাহায্য গ্রহণ করে। ছয়টি জাহাজে চড়ে ইরানের এক হাজার সৈন্য ইয়ামনে অবতরণ করে। হাবশী শাসনের অবসান ঘটাবার জন্য এক হাজার সৈন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়। এটা ৫৭৫ খৃষ্টাব্দের ঘটনা।
মুযদালিফা মিনার মধ্যে অবস্থিত মহাসাব উপত্যকার সন্নিকটে মুহাসসির নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে। ইমাম মুসলিম আবু দাউদের বর্ণনা অনুযায়ী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিদায় হজ্জের যে ঘটনা ইমাম জাফর সাদেক তাঁর পিতা ইমাম বাকের থেকে এবং তিনি হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে উদ্ধৃত করেছেন , তাতে তিনি বলেন : রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মুযদালিফা থেকে মিনার দিকে চলেন তখন মুহাসসির উপত্যকায় তিনি চলার গতি দ্রুত করে দেন। ইমাম নববী এর ব্যাখ্যায় লিখেছেন , আসহাবে ফীলের ঘটনা এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। তাই জায়গাটা দ্রুত অতিক্রম করে যাওয়াটাই সুন্নাত মুআত্তায় ইমাম মালিক রেওয়ায়াত করেছেন , রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন মুযদালিফার সমগ্র এলাকাটাই অবস্থান স্থল। তবে মুহাসসির উপত্যকায় অবস্থান না করা উচিত ইবনে ইসহাক নুফাইল ইবনে হাবীবের যেসব কবিতা উদ্ধৃত করেছেন তাতে এই ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ এভাবে পেশ করা হয়েছে :
 “ হায় যদি তুমি দেখতে হে রুদাইনা !
তবে তুমি দেখতে পাবে না যা কিছু দেখেছি আমি
মুহাসসাব উপত্যকার কাছে।
আল্লাহ শোকর করেছি আমি
যখন দেখেছি পাখিদেরকে
শংকিত হচ্ছিলাম বুঝিবা পাথর ফেলে আমাদের ওপরও
নুফাইলের সন্ধানে ফিরছিল তাদের সবাই
আমি যেন হাবশীদের কাছে ঋণের দায়ে বাঁধা

এটা একটা মস্তবড় ঘটনা ছিল। সমগ্র আরবে ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে অনেক কবি নিয়ে কবিতা লেখেন। সমস্ত কবিতার একক বৈশিষ্ট হচ্ছে এই যে , সবখানেই একে আল্লাহর অলৌকিক ক্ষমতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। কোন একটি কবিতাতেই ইশারা - ইংগিতেই একথা বলা হয়নি যে , কাবার অভ্যন্তরে রক্ষিত যেসব মূর্তির পূজা করা হতো তাদের কারো এতে সামান্যতম হাত ছিল। উদাহরণ স্বরূপ আবদুল্লাহ ইবনে যিবারা বলেন :
 “ ষাট হাজার ছিল তারা
ফিরতে পারেনি নিজেদের স্বদেশ ভূমিতে,
আর ফেরার পরে তাদের রুগ্ন ব্যক্তি ( আবরাহা ) জীবিত থাকেনি।
এখানে তাদের পূর্বে ছিল আদ জুরহুম ,
আর আল্লাহ বান্দাদের ওপর রয়েছেন ,
তাদেরকে রেখেছেন তিনি প্রতিষ্ঠিত করে।
আবু কায়েস ইবনে আসলাত তার কবিতায় বলেন :
 “ ওঠো , তোমার রবের ইবাদাত করো ,
এবং মক্কা মিনার পাহাড়গুলোর মাঝখানে
বায়তুল্লার কোণগুলো স্পর্শ করো।
আরশবাসীদের সাহায্য যখন পৌঁছুল তোমাদের কাছে
তখন সেই বাদাশাহর সেনাবাহিনী
তাদের ফিরিয়ে দিল এমন অবস্থায় ---
তাদের কেউ পড়ে ছিল মৃত্তিকার পরে
আর কেউ ছিল প্রস্তরাঘাতে ছিন্নভিন্ন

শুধু এখানেই শেষ নয় বরং হযরত উম্মে হানী ( রা) যুবাইর ইবনুল আওয়ামের () বর্ণনা অনুযায়ী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : কুরাইশরা ১০ বছর ( অন্য রেওয়ায়াত অনুযায়ী বছর ) পর্যন্ত এক লাশরীক আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদাত করেনি। উম্মে হানীর রেওয়ায়াতটি ইমাম বুখারী তাঁরতারীখগ্রন্থে এবং তাবারানী , হাকেম , ইবনে মারদুইয়া বাইহাকী তাদের হাদীস গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন। আর তাবারানী , ইবনে মারদুইয়া ইবনে আসাকির হযরত যুবাইরের (রা) বর্ণনাটি উদ্ধৃত করেছেন খতীব বাগদাদী তার ইতিহাস গ্রন্থে হযরত ইবনুল মুসাইয়েবের যে মুরসাল রেওয়ায়াতটি উদ্ধৃত করেছেন তা থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায়।
যে বছর ঘটনাটি ঘটে , আরববাসীরা সে বছরটিকেআমূল ফীল ’ ( হাতির বছর ) বলে আখ্যায়িত করে। সেই বছরেই রসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম হয়। আসহাবে ফীলের ঘটনাটি ঘটে মহররম মাসে এবং রসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম হয় রবিউল আউয়াল মাসে। বিষয়ে সকল মুহাদ্দিস ঐতিহাসিক একমত পোষণ করেন। অধিকাংশের মতে , রসূলের (সা) জন্ম হয় হাতির ঘটনার ৫০ দিন পরে
সুরা ফীলের বাংলা অনুবাদসহ তেলাওয়াতের ভিডিওটি দেখুন:


সুরা ফীলের তাফসিরের ভিডিওটি দেখুন: 
 

সুরা ফীলের তাফসিরের ভিডিওটি ডাউনলোড করার জন্য এই লিংকে ব্রাউজ করুন: সুরা ফীলের তাফসির

সুরা ফীলের তাফহীমুল কোরআনের তাফসিরটি ডাউনলোড করার জন্য এই লিংকে ব্রাউজ করুন: সুরা ফীল






এক অসাধারণ #না’তসহ দরূদ - বালাগাল উলা বি-কামালিহি: ইতিহাস, অনুবাদ ও তাৎপর্য