আল-কোরআনের লোহা সংক্রান্ত মিরাকল
কোরআনের একটি বিষ্ময়কর বিষয় হচ্ছে লোহা
ধাতুর বিবরণ। কোরআনের সুরা “আল হাদীদ” এ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আমি লোহা
নাযিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রচুর শক্তি ও মানুষদের জন্যে প্রভূত কল্যাণ ।”
লোহা নাযিলের বিষয়টি তাফসীরকারকরা নানাভাবে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন; কিন্তু
যেখানে আল্লাহ তায়ালার স্পষ্ট “নাযিল” শব্দটি রয়েছে সেখানে এত ব্যাখ্যা
বিশ্লেষনের দিকে না গিয়ে আমরা যদি কোরআনের আক্ষরিক অর্থের দিকে তাকাই তাহলে
দেখতে পাবো, আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভাবনীও ঠিক একথাটাই বলছে।
পদার্থবিজ্ঞানীরা বলেন, লোহা উৎপাদনের জন্য যে ১৫ লক্ষ সেলসিয়াস তাপমাত্রা
প্রয়োজন তার কোনো উপকরণ আমাদের পৃথিবীতে নেই। এটা একমাত্র নক্ষত্রের
তাপমাত্রা দ্বারাই সম্ভব। লক্ষ লক্ষ বছর আগে মহাশূণ্যে কোন নক্ষত্রে সুপার নোভা প্রচন্ড
বিস্ফোরণের ফলে লোহা নামের এ ধাতু মহাশূন্যে ছিটকে পড়ে। পৃথিবীর
মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে তা পৃথিবীতে “নাযিল” হয়। এ সম্পর্কে বিজ্ঞানের বক্তব্য জানার জন্য এই লিংকটি ব্রাউজ করি - 10-Billion-Year-Old Exploding Stars Were a Source of Earth's Iron
এখন দেখা যাক লোহা সম্পর্কে আল্লাহ কি বলছেন-
আল-হাদীদের ২৫ নং আয়াতে বলা হচ্ছে--
আল-হাদীদের ২৫ নং আয়াতে বলা হচ্ছে--
আমি আমার রসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ প্রেরণ করেছি এবং তাঁদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাতে মানুষ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড শক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার। এটা এজন্যে যে, আল্লাহ জেনে নিবেন কে না দেখে তাঁকে ও তাঁর রসূলগণকে সাহায্য করে। আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী। [সুরা হাদীদ: ২৫]
(57:25) Indeed We sent Our Messengers with Clear Signs, and sent down with them the Book and the Balance that people may uphold justice.And We sent down iron, wherein there is awesome power and many benefits for people, so that Allah may know who, without even having seen Him, helps Him and His Messengers. Surely Allah is Most Strong, Most Mighty.
লক্ষ করুন এখানে স্পস্ট বলা হচ্ছে লোহাকে "নাযিল"( sent down )করা হয়েছে।
আরবিতে وَأَنزَلْنَا ("anzalna,")-আনযালনা মানে পাঠান বা প্রেরন করা বা নাযিল করা।
বিস্ময়করভাবে কোরআন বলছে লোহাকে পৃথিবীতে পাঠান হয়েছে(sent down), যে তথ্যটি একদম সঠিক। শেষে দেয়া লিংকের মাধ্যমে ভিডিও দেখলে বিষয়টি পূর্ণরূপে অনুধাবন করা যাবে।
এবার আসুন আমরা দেখি লোহার গঠন প্রকৃতি--
১/লোহার ৪ টি স্টেবল আইসটোপ আছে- 54Fe, 56Fe,57Fe, 58Fe
অর্থাৎ ৫৪, ৫৬, ৫৭, ৫৮ এই ৪ টি আইসটোপ ।
২/ লোহার এটমিক নাম্বার ২৬
৩/ লোহার স্টেবল আইসটোপগুলো নিউট্রন সংখ্যা ২৮, ৩০, ৩১, ৩২
কোরআনে এই তথ্যগুলো কোড করা হয়েছে এভাবে--
১/ কোরআনের ৫৭ নং সুরার নাম লোহা বা আল-হাদীদ, এই সুরার আগে ৫৬ টি ও পরে ৫৭ টি সুরা আছে (মোট ১১৪ টি সুরা), এই সংখ্যাগুলো লোহার আইসটোপের সাথে সামন্জস্যপুর্ন
২/ ২৫ নং আয়াতে সর্বপ্রথম "হাদীদ বা লোহা" শব্দটি এসেছে। এই আয়াত পর্যন্ত ২৬ বার আল্লাহ নামটি এসেছে। ২৬ লোহার এটমিক নাম্বার।
আল্লাহ শব্দটি এসেছে-- আয়াত নং ১, ৪, ৫, ৭, ৮, ৯, ১০(৪বার),১১, ১৪(২বার), ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১(৩ বার), ২২, ২৩, ২৪, ২৫(২বার)। মোম
মোট ২৬ বার।
৩/ এই সুরায় আয়াত আছে ২৯টি, আর "লোহা বা হাদীদ" শব্দটি এসেছে ২৫ নং আয়াতে , ২৯-২৫= ৪। আর লোহার স্টেবল আইসটোপ সংখ্যা হল ৪ টি।
৪/ পুরা হাদীদ সুরায় আল্লাহর নাম এসেছে ৩২ বার যা একটি স্টেবল আইসটোপের নিউট্রন সংখ্যার সমান।
আমরা যদি সংখেপে দেখি তাহলে পাব--
--- আল্লাহ বলেছেন লোহাকে নাযিল ( sent down) করা হয়েছে , যা একদম সঠিক
--- কোরআনের ৫৭ নং সুরার নাম লোহা বা আল-হাদীদ, লোহার একটি স্টেবল আইসটোপের মান ৫৭।
--- লোহার এটমিক নাম্বার ২৬ , আর আল্লাহর নাম এসেছে ২৬ বার ( ২৫ নং আয়াত পর্যন্ত , যে আয়াতে লোহা শব্দটি আছে।
---পুরা হাদীদ সুরায় আল্লাহর নাম এসেছে ৩২ বার যা একটি স্টেবল আইসটোপের নিউট্রন সংখ্যার সমান
অর্থাৎ স্পস্টতই কোরআনে লোহা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সন্নিবেশীত হয়েছে অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে।
এ বিষয়টি আল-কোরআন যে কোন মানবরচিত গ্রন্থ নয় তার একটি স্পষ্ট প্রমাণ।
১/লোহার ৪ টি স্টেবল আইসটোপ আছে- 54Fe, 56Fe,57Fe, 58Fe
অর্থাৎ ৫৪, ৫৬, ৫৭, ৫৮ এই ৪ টি আইসটোপ ।
২/ লোহার এটমিক নাম্বার ২৬
৩/ লোহার স্টেবল আইসটোপগুলো নিউট্রন সংখ্যা ২৮, ৩০, ৩১, ৩২
কোরআনে এই তথ্যগুলো কোড করা হয়েছে এভাবে--
১/ কোরআনের ৫৭ নং সুরার নাম লোহা বা আল-হাদীদ, এই সুরার আগে ৫৬ টি ও পরে ৫৭ টি সুরা আছে (মোট ১১৪ টি সুরা), এই সংখ্যাগুলো লোহার আইসটোপের সাথে সামন্জস্যপুর্ন
২/ ২৫ নং আয়াতে সর্বপ্রথম "হাদীদ বা লোহা" শব্দটি এসেছে। এই আয়াত পর্যন্ত ২৬ বার আল্লাহ নামটি এসেছে। ২৬ লোহার এটমিক নাম্বার।
আল্লাহ শব্দটি এসেছে-- আয়াত নং ১, ৪, ৫, ৭, ৮, ৯, ১০(৪বার),১১, ১৪(২বার), ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১(৩ বার), ২২, ২৩, ২৪, ২৫(২বার)। মোম
মোট ২৬ বার।
৩/ এই সুরায় আয়াত আছে ২৯টি, আর "লোহা বা হাদীদ" শব্দটি এসেছে ২৫ নং আয়াতে , ২৯-২৫= ৪। আর লোহার স্টেবল আইসটোপ সংখ্যা হল ৪ টি।
৪/ পুরা হাদীদ সুরায় আল্লাহর নাম এসেছে ৩২ বার যা একটি স্টেবল আইসটোপের নিউট্রন সংখ্যার সমান।
আমরা যদি সংখেপে দেখি তাহলে পাব--
--- আল্লাহ বলেছেন লোহাকে নাযিল ( sent down) করা হয়েছে , যা একদম সঠিক
--- কোরআনের ৫৭ নং সুরার নাম লোহা বা আল-হাদীদ, লোহার একটি স্টেবল আইসটোপের মান ৫৭।
--- লোহার এটমিক নাম্বার ২৬ , আর আল্লাহর নাম এসেছে ২৬ বার ( ২৫ নং আয়াত পর্যন্ত , যে আয়াতে লোহা শব্দটি আছে।
---পুরা হাদীদ সুরায় আল্লাহর নাম এসেছে ৩২ বার যা একটি স্টেবল আইসটোপের নিউট্রন সংখ্যার সমান
অর্থাৎ স্পস্টতই কোরআনে লোহা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সন্নিবেশীত হয়েছে অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে।
এ বিষয়টি আল-কোরআন যে কোন মানবরচিত গ্রন্থ নয় তার একটি স্পষ্ট প্রমাণ।
Source: www.amarblog.com and others
Watch, download and save this video please:
No comments:
Post a Comment
https://isignbd.blogspot.com/2013/10/blog-post.html