Sunday, July 14, 2013

আলহামদুল্লিাহ! ইউরোপজুড়ে গির্জা ভেঙে গড়ে উঠছে পবিত্র মসজিদ

আলহামদুল্লিাহ! ইউরোপজুড়ে গির্জা ভেঙে গড়ে উঠছে পবিত্র মসজিদ 

লিখেছেন: মহানন্দা

 

যুক্তরাজ্যের একটি ক্যাথলিক গির্জা মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। কব্রিজের সেন্ট পিটার্স ক্যাথলিক চার্চের স্থানে গড়ে উঠবে ‘মদীনা মসজিদ’ নামক পবিত্র মসজিদ। উপাসনাকারীর সংখ্যা অস^াভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় গির্জাটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গির্জার একজন মুখপাত্র বলেছে, এই গির্জাটির রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এর পূজারির সংখ্যা এতটাই কমে গেছে যে, এখানে একজন যাজক রাখা এবং ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এভাবে ইউরোপজুড়েই খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি খ্রিস্টান ধর্মের স্থান দখল করে নিচ্ছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম।
ফ্রান্সের বিখ্যাত এমানুয়েল মুনিয়ার, জর্জেস বার্নানোস, ফ্রাসোয়া মরিয়াক, জ্যাক মরিটেইন, তেইলহার্ড ডি চার্ডিনসহ বহু গির্জার স্থানে মজসিদ, শো-রুম ও শপিং মল গড়ে উঠছে। দা অবজার্ভেটরি ফর রিলিজিয়াস হেরিটেজ জানায়, প্রথমবারের মত (খ্রিস্টান) উপাসনালয়গুলো ভেঙে সেখানে পার্কিং সুবিধা, রেঁস্তোরা, বুটিক হাউস, বাগান ও ঘরবাড়ি গড়ে উঠছে।
ফ্রান্সের সিনেট জানিয়েছে, দেশটির ২,৮০০ খ্রীস্ট ধর্মীয় ভবন উচ্ছেদ করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও ফ্রান্সে ৪০,০০০ যাজক ছিলো। এখন সেই সংখ্যা নেমেছে ৯০০০-এ। অনেক গির্জা ভেঙে গড়ে উঠেছে মসজিদ।
সেইন্ট ক্রিস্টোফারের পুরাতন গির্জা কুই মালাকফ নান্টিসের স্থানে গড়ে উঠেছে ‘ফোরকান মসজিদ’।
ইতিহাসবিদ ডিডিয়ার রিকনার লিখেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম গির্জাগুলো গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। গত জুনে ভিরজনের সেইন্ট-ইলোই গির্জাকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই দা ন্যাশনাল ফেডারেশন অব দা গ্রেট মস্ক অব প্যারিস খালি পড়ে থাকা গির্জাগুলোকে জুমার নামাযের জন্য ভাড়া দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
জার্মানির বড় বড় গির্জাগুলোকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। ব্রান্ডেবার্গের সেইন্ট বার্নার্ড গির্জাটি বিক্রির দাম হাকা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ইউরো। গত ১০ বছরের এই এলাকায় এটি নিয়ে ২৫টি গির্জা বিক্রি হবে। ‘ঈশ্বর মৃত’ সেøাগান দিয়ে জার্মানির গির্জাগুলো বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন স্পিরিটের হিসেবে, আগামী দুই বছরের মধ্যে জার্মানির ৪৫ হাজার গির্জার মধ্যে ১৫ হাজার বা প্রায় এক তৃতীয়াংশই উচ্ছেদ অথবা বিক্রি হয়ে যাবে।
তবে দাবি করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে গির্জাগুলো বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে না। জার্মানরা ক্রমেই ধর্ম ত্যাগ করছে। প্রতি ৭৫ সেকেন্ডে একজন জার্মান গির্জায় যাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে।
জার্মানি ইভানজেলিকাল চার্চই ১৯৯০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ৩৪০টি গির্জা বন্ধ করে দিয়েছে। সম্প্রতি হামবুর্গে মুসলিম সম্প্রদায় একটি গির্জা কিনে নিয়েছে।
জার্মানির প্রভাবশালী দার স্পাইজেল সাময়িকী জানায়, স্পানদাউয়ে সেন্ট রাফায়েল গির্জাকে মুদি দোকানে রূপান্তর করা হয়েছে, নাস্তিক কাল মার্কসের শহরে একটি গির্জাকে জিমে পরিণত হয়েছে। কোলোনে একটি গির্জাকে বিলাসবহুল বাসভবেন পরিণত করা হয়েছে, যেখানে প্রাইভেট পুলও তৈরি করা হয়েছে।
ফ্রাঙ্কফুটে গত শতাব্দীর ৫০ এর দশকে প্রোটেস্ট্যান্টের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজারে। এখানকার এক চতুর্থাংশ গির্জাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নেদারল্যান্ডে প্রতি সপ্তাহে দুটি খ্রীস্ট ধর্মীয় ভবন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যাজক জান স্টুইট বলেছে, ‘নেদারল্যান্ডে রবিবার গির্জায় ক্যাথলিকদের উপস্থিতি ছিল ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, শতকরা ৯০ জন। এখন এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা ১০ জনে।’
নেদারল্যান্ডে প্রতি বছর ৬০টি খিস্টীয় উপাসনালয় উচ্ছেদ, বন্ধ অথবা বিক্রি হয়ে যায়। ১৯৭০ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ২০৫টি গির্জা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় ১৪৮টি গির্জাকে লাইব্রেরি, রেঁস্তোরা, জিম, অ্যাপার্টমেন্ট ও মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছে। আমস্টারডামে একটি গির্জার জায়গায় গড়ে উঠেছে ফিটি কামি পবিত্র মসজিদ। শহরের সবচেয়ে পুরনো সেইন্ট জ্যাকোবাস গির্জাটিকে বিলাসবহুল বাসভবনে রুপান্তর করা হয়েছে।
এই শহরের প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জাগুলোর অনুসারীর সংখ্যা প্রতি বছর ৬০,০০০ করে কমছে। এই হার অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে এখানে আর কোনো প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান থাকবে না।
সম্প্রতি ইউট্রেস্টট ও আমস্টারডামের দুটি গির্জাকে মসজিদে রুপান্তর করা হয়েছে। এই হলো পাশ্চাত্যের বর্তমান অবস্থা। সূর্যাস্তের দেশগুলোয় খ্রীস্ট ধর্মের সূর্য এরূপ করুণভাবে অস্ত যাচ্ছে। সেখানে উদিত হচ্ছে প্রাচ্যের নতুন সূর্য ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম’।


সাগরের পানিতে ভাসমান মসজিদ

সাগরের পানিতে ভাসমান মসজিদ

- কাব্য রহমান


প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের কথা শুনলে মনে হয় বিশাল এক বাগান যেন শূন্যে ঝুলে আছে আর বাতাসে দোল খাচ্ছে। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। তেমনি দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভেসে আছে কিন্তু আসলে ভেসে নেই, এমন একটি মসজিদ আছে মরক্কোয়।

বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এ মসজিদটি তৈরি করেছেন কাসাব্লাঙ্কা শহরে। মসজিদটির নির্মাণ কাজ করেছেন ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের প্রকৌশলীরা। আর এর নকশা তৈরি করেছিলেন বাদশা হাসানের ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ।
মসজিদটিকে যে কারণে ভাসমান মসজিদ বলা হয় সেটি হলো মসজিদটির তিনভাগের একভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে আর মুসলি্লরা যেন নামাজ পড়ছেন পানির ওপর।
মসজিদটি কিন্তু ছোটখাটো নয়। এখানে প্রায় ১ লাখ মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। এর মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার! আর মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মসজিদের ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট পরপর যান্ত্রিকভাবে খুলে যায়। ফলে মসজিদের ভেতরে প্রাকৃতিক আলো ও মুক্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে। তবে বৃষ্টির সময় ছাদটি খোলা হয় না। মসজিদটি এতই বড় যে, এর মূল কাঠামোর ভেতরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা সেন্ট পিটার্সকেও অনায়াসে বসিয়ে দেওয়া যাবে। ২২.২৪ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এ মসজিদের মূল ভবনের সঙ্গেই আছে লাইব্রেরি, কোরআন শিক্ষালয়, ওজুখানা এবং কনফারেন্স রুম।


২৫০০ পিলারের ওপর স্থাপিত এ মসজিদের ভেতরের পুরোটাই টাইলস বসানো। শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও আবার সোনার পাত দিয়ে মোড়া। মসজিদ এলাকার আশপাশে সাজানো আছে ১২৪টি ঝরনা এবং ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালের আগস্টে। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পীর দিনে দুই শিফট শ্রমের ফলে প্রায় সাত বছরে নির্মিত হয় এ মসজিদ।
মসজিদটির উদ্বোধন করা হয় ১৯৯৩ সালের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর দিনে। বিলাসবহুল এ মসজিদটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে তৎকালীন ৮০ কোটি ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা!
 

Source: http://www.somewhereinblog.net

 

Watch these video:  

Saturday, July 13, 2013

আল্লাহ'র ওলী: কারামত ও শয়তানীয়াত

আল্লাহ'র ওলী: কারামত ও শয়তানীয়াত

এটি এমন একটি ঘটনা, যা বর্ণনা করেছেন আল আযহার বিশ্ব বিদ্যালয়ের একজন শাইখ। আসুন ঘটনাটি শুনি।
শাইখ তার আলোচনায় বলেনঃ পূর্বকালে এমন একজন আলেম ও সৎ লোক ছিলেন, যিনি মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিতেন এবং অসৎ কাজের নিষেধ করতেন। এমনকি তিনি হাঁটে-বাজারে গিয়েও দাওয়াতী কাজ অব্যাহত রাখতেন। একবার তিনি বাজারে গিয়ে দেখলেন একজন আতর ব্যবসায়ী মাদক দ্রব্য তথা নেশা জাতীয় বস্তু বিক্রয় করছে। এ দৃশ্য দেখে স্বীয় অভ্যাস মোতাবেক তিনি জোরালো প্রতিবাদ করলেন। তিনি অনবরত প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে থাকলেন। এতে আতর ব্যবসায়ী অসন্তু হলো। প্রতিবাদের এক পর্যায়ে উক্ত আলেম ও সৎ লোকটি পশুর ন্যায় জ্ঞানশুণ্য হয়ে গেলো। তাঁর অনুসারী ও ছাত্রগণ তাঁকে বাড়িতে নিয়ে গেলো। তারা তাদের উস্তাদের বিষয়টি নিয়ে হতাশ হয়ে গেলেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। চিকিৎসা সম্পর্কে তারা লোকদেরকে জিজ্ঞেস করা শুরু করলেন। লোকেরা এমন একজনই চিকিৎসকের কথা বললো, যাকে যুল জানাহাইন তথা দুই ডানা ওয়ালা বলে ডাকা হয়। অর্থাৎ তাদের বিশ্বাস ছিল যুল জানাহাইন দুই প্রকার ইলমের অধিকারী। একটি হচ্ছে শরীয়তের ইলম তথা যাহেরী ইলম আর অপরটি হচ্ছে হাকীকত-মারেফত তথা বাতেনী ইলম।
যাই হোক তাকে সেই যুল জানাহাইনের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। ছাত্ররা যুল জানাহাইনের কাছে তাদের উস্তাদের ঘটনা বর্ণনা করার পর সে বললোঃ মদ আতর ব্যবাসায়ীর (বিক্রয়কারীর) কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার কারণেই তোমাদের উস্তাদের এই অবস্থা হয়েছে। তোমরা কি কি জান না যে, উক্ত মদ ব্যবসায়ী মানুষের মানুষের মাঝে বিরাট একজন অলী হিসাবে পরিচিত? এরপর যুল জানাহাইন ছাত্রদেরকে বললোঃ তোমরা তাকে ঐ আতর ব্যবসায়ীর (নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রয়কারীর) কাছে নিয়ে যাও এবং তার কাছে ক্ষমা চাও। এতে তোমাদের উস্তাদ জ্ঞান ফিরে পাবে। তারা তাই করলো। তারা তাঁকে নিয়ে উক্ত আতর বিক্রেতা এবং কল্পিত অলীর কাছে নিয়ে গেলেন এবং তাদের উস্তাদকে ক্ষমা করে দেয়ার আবেদন করলেন। এতে আতর ব্যবসায়ী অলী আলেমের উপর সন্তুষ্ট হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পরই ঘুমন্ত মানুষ জাগ্রত হওয়ার ন্যায় উক্তম স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পেলেন এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলেন।
এবার শরীয়তের এই আলেম তাঁর মুসীবতে পড়ার কারণ বুঝতে পারলেন এবং ইলমে মারেফতের গুরুত্বও বুঝতে সক্ষম হলেন। সুতরাং তিনি ঐ আতর ব্যবসায়ী (হাশীশ, মদ, হেরোইন ইত্যাদি) বিক্রয়কারীর কাছে ক্ষমা চাইলেন।
প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ! এই ঘটনার বর্ণনাকারী হচ্ছেন মিশরের স্বনাম ধন্য ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শাইখ। তিনিও এই ধরণের কল্পিত কাহিনীতে বিশ্বাস করেন এবং মানুষের কাছে তা বর্ণনা করেন। আমাদের দেশের দিকেও যদি আমরা একটু দৃষ্টি দেই তাহলে দেখতে পাবো আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কালেজ ও উঁচু মানের মাদরাসাগুলোর প্রফেসর, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, শিক্ষক, আদালতের বিচারপতি, আইনজীবিসহ সকল পেশার শিক্ষিত লোকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে খুবই যত্মশীল। তারা যখন ছাত্রদেরকে ক্লাশে পাঠ দান করতে যান তখন তারা প্রতিটি বিষয় পড়াতে গিয়ে ছাত্রদের জন্য উপযুক্ত রেফারেন্স সরবরাহ করতে সচেষ্ট থাকেন এবং সঠিক ও নির্ভুল তথ্যটিই প্রদান করতে গিয়ে বিষয়বস্তুর চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন। কোর্টের বিচারপতি ও আইনজীবিগণ আসামীকে অভিযুক্ত করার জন্য একাধিক সাক্ষী ও দলীল প্রমাণ খুঁজতে থাকেন।
কিন্তু যখন তারা কোন পীরের হাতে মুরীদ হতে যান তখন তারা পীরের এমন কারামত ও কাহিনীর কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যান এবং চোখ বন্ধ করে তা বিশ্বাস করেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তারা একবারের জন্যও যাচাই বাছাই করে দেখেন না যে, ইসলামী শরীয়তের সাথে এ বিষয়গুলো সাংঘর্ষিক কি না?
আযহারের শাইখ যে কিচ্ছাটি শুনালেন তাতে দেখা যাচ্ছে শরীয়তের সুস্পষ্ট আদেশ লংঘনকারীও আল্লাহর অলী হতে পারে, শরীয়তের কোন বিধান না মানলেও প্রকৃত পক্ষে তারা আল্লাহর অলী। কেননা তারা তো কারামত দেখাতে পারে। তারা মানুষকে পাগল করে দিতে পারে, মৃতকে জীবিত করতে পারে, বৃষ্টি বর্ষণ করতে পারে এবং নদ-নদীও তাদের আদেশে চলে।
আমরা বলছিঃ এগুলো কারামত নয়। এগুলো হচ্ছে শয়তানীয়াত বা শয়তানের খেলা-তামাশা। এরা আল্লাহর অলী নয়; শয়তানের অলী। এই সমস্ত শয়তানীয়াতে যারা বিশ্বাস করে তাদের জীবদ্দশায় যদি মিথ্যুক ও কানা দাজ্জাল আসে তবে তারা সেই দাজ্জালের কথাও বিশ্বাস করবে। কিয়ামতের আগে দাজ্জাল এসেও অনেক বড় বড় কাজ করে দেখাবে। সে আকাশকে বৃষ্টি বর্ষণের আদেশ দিলে আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করবে, জমীনকে ফসল উৎপন্ন করতে বললে জমীন তা পালন করবে এবং সে মৃত মানুষকেও জীবিত করে দেখাবে। এগুলো দেখিয়ে সে রুবুবীয়তের দাবীও করবে। সুফীবাদের মাশায়েখরা এভাবে মানুষের জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট কারামত বর্ণনা করার মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য দাজ্জালের প্রতি বিশ্বাস করার পথই যে সহজ করে দিচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআতের লোকেরা অলীদের কারামতে বিশ্বাসী। স্বাভাবিক ও প্রচলিত রীতির বাইরে যা প্রকাশিত হয় তাই কারামত। তার মাঝে এবং শয়তানীয়াতের মধ্যে পার্থক্য করার মূলনীতি হচ্ছে, আমরা দেখবো যে কার থেকে তা বের হয়েছে? তিনি যদি কুরআন ও সুনাহ-এর অনুসারী মুমিন ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং হারাম ও গর্হিত কাজ থেকে দূরে থাকেন তাহলে আমরা তাঁর কারামতে বিশ্বাস করি। এ ধরণের অনেক কারামত সাহাবী ও সালাফদের থেকে বর্ণিত হয়েছে। এগুলো আমরা কখনই অস্বীকার করি না।
পক্ষান্তরে যারা মদ্যপায়ী, হারাম কাজে সদা মশগুল এবং শরীয়তের উপর আমল করে না, তাদের থেকে চিরাচরিত নিয়মের বাইরে কিছু বের হলে আমরা সেগুলোকে দাজ্জাল ও শয়তানের কাজ বলেই মনে করি। এগুলো ইসলামের পক্ষে নয়; বরং বিপক্ষে এবং ইসলামের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ সব থেকে মুসলিমদের সাবধান ও সতর্ক থাকা জরুরী। সঠিক ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনই সকল প্রকার গোমরাহী থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।

 

ওলীগণের কারামতি

ওলীগণের কারামতি

- আবদুল্লাহিল হাদী মু. ইউসুফ

সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: এ প্রবন্ধে কারামতের সংজ্ঞা ও আল্লাহর ওলীগণের কারামত যে একটি বাস্তব সত্য বিষয় তা তুলে ধরা হয়েছে এবং এর কিছু বাস্তব নমূনা পেশ করা হয়েছে। তাছাড়া কারামত ও শয়তানের কারসাজির মধ্যেও পার্থক্য নির্ণয় করা হয়েছে।
 
 
কারামত কি?
কারামত হল, অসাধারণ কোন ঘটনা যা আল্লাহ্ তাঁর নেক বান্দাগণের মাধ্যমে তাদের জীবিতাবস্থায় অথবা তাদের মৃত্যুর পর তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ঘটিয়ে থাকেন, এর মাধ্যমে তিনি তাঁর বান্দাকে কোন অনিষ্তা থেকে হেফাযত করেন, অথবা তাঁর বান্দার কোন কল্যাণ সাধন করেন, অথবা তিনি এর মাধ্যমে হকের সাহায্য করে থাকেন। (সৌদী আরবের ফতোয়া বোর্ডের লাজনা দায়েমার ফাতওয়া ১/৩৮৮)
কারামতের সংজ্ঞায় সুলাইমান বিন আবদুল্লাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন, কারামত এমন একটি বিষয় যা আল্লাহ্  তাঁর মু’মিন এবং মুত্তাকী বান্দার মাধ্যমে প্রকাশ করেন, হয় তার দো‘আর কারণে অথবা তার কোন সৎ আমলের কারণে, আর এতে অলীর কোন হাত বা শক্তি নেই। (তাইসিরুল আযীযিল হামীদ, ৪১৩)
অলীগণের মাধ্যমে কারামত সংঘটিত হতে পারে তার দলীলঃ
নিশ্চয় আল্লাহ মু’মিনদেরকে রক্ষা করেন তাদের দুশমন থেকে, তিনি কোন বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। (সূরা হাজ্ব-৩৮)
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, হাদীস কুদসী আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেন,
«مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالحَرْب»
যে ব্যক্তি আমার অলীর (প্রিয় বান্দার) সাথে শত্রুতা করে আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। (বখারী, ৬৫০২)
অলী কে?
যে আল্লাহর প্রিয় বিষয়সমূহ পালনের মাধ্যমে তাঁর আনুগত্য করে এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাঁর নৈকট্য লাভ করতে চেষ্টা করে।

কারামত কেন সংঘটিত হয়?
কারামত সংঘটিত হওয়ার মাঝে অনেক কল্যাণ এবং হিকমত রয়েছে তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,
ক) আল্লাহর অসীম ক্ষমতা এবং তাঁর ইচ্ছা বাস্তবায়নের বহিঃপ্রকাশ এবং তিনি যা চান তা করতে পারেন, এমনিভাবে আমরা সচরাচর আল্লাহর দেয়া বিষয়সমূহের যা কিছু দেখছি তার বাহিরেও আরো অনেক কিছু আছে যার কিছু বহিঃপ্রকাশ এই কারামাত, যে বিষয়ে মানুষ অবগত নয়।
খ) কোন বান্দার মাধ্যমে কারামত সংঘটিত হওয়া তা তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ যা তাকে আল্লাহ্ পৃথিবীতে দিয়ে দিলেন। এ সুসংবাদ তাকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা বলে প্রমাণ করে এবং তার সুভ পরিণতির পূর্বাভাস।
গ) যার মাধ্যমে তা সংঘটিত হয় সে নবীর সঠিক অনুসারী বলে প্রমাণিত।
ইতিপূর্বে সংঘটিত কিছু কারামতঃ
১) সূরা কাহাফে উল্লেখিত আসহাবে কাহাফের ঘটনা, যেখানে তারা আল্লাহর কৃপায় তিনশত বছরের অধিক সময় যাবৎ ঘুমিয়ে ছিলেন, অথচ এই দীর্ঘসময়ে তাদের শরীরের কোন ক্ষতি হয় নি
২) মারইয়াম বিনতে ইমরানের নিকট মেহরাবে খাবার উপস্থিত হওয়া যা দেখে যাকারিয়া আলাইহিস সালাম আশ্চার্য হতেন।
৩)  ওমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) একটি সেনাদল যুদ্ধের জন্য পাঠলেন, এদলটির নেতৃত্বে যিনি ছিলেন তার নাম ছিল সারিয়া, ওমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) মদীনায় খুতবা দিচ্ছিলেন এমতাবস্থায় তিনি হঠাৎ উচ্চস্বরে বললেনঃ হে সারিয়া, পাহাড় পিছনে রাখ! হে সারিয়া, পাহাড় পিছনে রাখ! যখন সেনাদল ফিরে আসল তখন ওমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তাদেরকে তাদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল, তখন তারা বলল, হে আমিরুল মুমেনীন আমরা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে যাচ্ছিলাম এমতাবস্থায় আমরা একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম যে, হে সারিয়া, পাহাড় পিছনে রাখ, পাহাড় পিছনে রাখ! তখন আমরা দিক পরিবর্তন করলাম এবং আল্লাহ্ আমাদেরকে বিজয় দান করলেন।
৪) খালেদ ইবন ওলীদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কাফেরদের একটি কেল্লা অবরোধ করে তাদেরকে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানালেন তখন তারা বলল, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করব না যতক্ষণ না তুমি আমাদের দেয়া পানীয় পান করবে, অথচ তারা গোপনে সে পানীয়ে বিষ মিশ্রিত করেছিল। কিন্তু খালিদ তা জানতেন না। খালেদ ইবন ওলীদ সে পানীয় পান করলেন এবং আল্লাহর মেহেরবাণীতে এতে তার কোনই ক্ষতি হয় নি
জ্বিন বা শয়তানের মাধ্যমেও কি এধরণের অসাধারণ কিছু ঘটনা ঘটতে পারে?
শয়তানও কিছু মানুষের দ্বারা এধরণের অস্বাভাবিক কিছু ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তবে শয়তান ঐসমস্ত লোকদের মাধ্যমে তা ঘটায় যারা কুরআন এবং হাদীস থেকে দূরে। যেমন, কোন ব্যক্তি হাওয়ার মধ্যে উড়ে যাচ্ছে, জ্বলন্ত আগুনে হাত দিচ্ছে ইত্যাদি। এটা অবশ্য মানুষ সে ব্যক্তির ঈমান ও চারিত্রিক দিকের তাকিয়েই পার্থক্য করে নিতে পারে।
কোন ভাল মানুষকে নিয়েও কি জ্বিন বা শয়তান এসমস্ত কিছু করতে পারে?
্যাঁ, এটাও সম্ভব, যেমন ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) তিনি তাঁর নিজের একটি ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যখন আমি মিসরে জেলে বন্দি ছিলাম, তখন তুর্কির এক অঞ্চলে জ্বিন আমার আকৃতি ধারণ করে মানুষকে বলতে লাগল যে, আমি ইমাম ইবনু তাইমিয়া এবং সে ওখানে আমার আচার আচরণ এবং চাল চলনের মত সব কিছু করতে লাগল, তখন সেখানকার শাসক মারদীন এই বার্তা দিয়ে মিসরের বাদশার নিকট একজন দূত পাঠাল, তারা বিষয়টিকে অলৌকিক কোন বিষয় বলে মনে করল, ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেনঃ আমি তখনো বন্দি অবস্থায় ছিলাম এবং এটা ছিল একজন মুসলিম জ্বিনের কাজ যে আমাকে ভাল জানত এবং তার ভাল জানা থেকে সে তা করেছিল, লোকেরা ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহকে বললঃ এটাকে আপিনি জ্বিন বলছেন কেন? সে তো ফেরেশতাও হতে পারে? উত্তরে ইমাম বললেনঃ না ফেরেশ্তা কখনো মিথ্যার আশ্রয় নেয় না। (মাজমূ ফাতাওয়া,.১৩ পৃ.৯২)
যারা এধরণের সংবাদ প্রচার করে তাদের সত্য মিথ্যা কিভাবে বুঝা যাবে?
প্রথমতযে লোক বলছে তার আমল আখলাক ভাল হওয়া।
দ্বিতীয়তঃ যখন সে এ ধরণে কোন কথা বলছে তখন আয়াতুল কুরসী পাঠ করে তাকে ঝাড় ফুঁক করা, যদি বিষয়টি শয়তানী হয় তাহলে তা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
উপসংহার
পরিশেষে প্রিয় পাঠকদেরকে বলতে চাই বিষয়টি জ্বিন, শয়তান বা আধুনিক প্রযুক্তির তেলাসমতিও হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে বার্তাবাহককে উল্লেখিত পদ্ধতি যাচাই করলে সংশয় দূরীভূত হবে ইনশা আল্লাহ্।

তথ্য সূত্রঃ
১- আল ফুরকান বাইনা আওলিয়ায়ির রহমান ওয়া আওলিয়ায়িশ-ইতান
২- আল আক্বীদা আল ওয়াসেতি্যাহ, মাজমূ ফাতাওয়া লি শাইখিল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা।
৩- শাইখ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহর) ওয়েব পেইজ।

মুমিনের কারামত - হাদীছের সত্য ঘটনা

মুমিনের কারামত - হাদীছের সত্য ঘটনা
- মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী

বনী ইসরাঈলের জনৈক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির নিকট এক হাযার স্বর্ণমুদ্রা কর্য চাইলে কর্যদাতা বলল, কয়েকজন লোক নিয়ে আস, আমি তাদেরকে সাক্ষী রাখব। গ্রহীতা বলল, ‘আল্লাহই সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট’। কর্যদাতা পুনরায় বলল, তবে একজন যামিনদার উপস্থিত কর! সে বলল, ‘আল্লাহই যামিনদার হিসাবে যথেষ্ট’। তখন কর্যদাতা বলল, তুমি ঠিকই বলেছ। তারপর সে নির্ধারিত সময়ে পরিশোধের শর্তে তাকে এক হাযার স্বর্ণমুদ্রা ধার দিল। অতঃপর সে (গ্রহীতা) সমুদ্রযাত্রা করল এবং তার (ব্যবসায়িক) প্রয়োজন পূরণ করল। পরিশোধের সময় ঘনিয়ে আসলে সে যানবাহন খুঁজতে লাগল, যাতে নির্ধারিত সময়ে কর্যদাতার নিকট এসে পৌঁছতে পারে। কিন্তু সে কোন যানবাহন পেল না। তখন সে এক টুকরো কাঠ নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং কর্যদাতার নামে একখানা চিঠি ও এক হাযার দীনার ওর মধ্যে পুরে ছিদ্রটি বন্ধ করে দিল। তারপর ঐ কাষ্ঠখণ্ডটা সমুদ্র তীরে নিয়ে গিয়ে বলল, ‘হে আল্লাহ! তুমি তো জান, আমি অমুকের নিকট এক হাযার স্বর্ণমুদ্রা কর্য চাইলে সে আমার কাছ থেকে যামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহই যামিনদার হিসাবে যথেষ্ট। এতে সে রাযী হয়ে যায় (এবং আমাকে ধার দেয়)। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। তাতে সে রাযী হয়ে যায়। আমি তার প্রাপ্য তার নিকট পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করলাম, কিন্তু পেলাম না। আমি ঐ এক হাযার স্বর্ণমুদ্রা তোমার নিকট আমানত রাখছি। এই বলে সে কাষ্ঠখণ্ডটা সমুদ্রবক্ষে নিক্ষেপ করল। তৎক্ষণাৎ তা সমুদ্রের মধ্যে ভেসে চলে গেল। অতঃপর লোকটি ফিরে গেল এবং নিজের শহরে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে লাগল।
ওদিকে কর্যদাতা (নির্ধারিত দিনে) এ আশায় সমুদ্রতীরে গেল যে, হয়তবা ঋণগ্রহীতা তার পাওনা টাকা নিয়ে কোন নৌযানে চড়ে এসে পড়েছে। ঘটনাক্রমে ঐ কাষ্ঠখণ্ডটা তার নযরে পড়ল, যার ভিতরে স্বর্ণমুদ্রা ছিল। সে তা পরিবারের জ্বালানির জন্য বাড়ী নিয়ে গেল। যখন কাঠের টুকরাটা চিরল, তখন ঐ স্বর্ণমুদ্রা ও চিঠিটা পেয়ে গেল। কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাযার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে (পাওনাদারের নিকট) এসে হাযির হ’ল। সে বলল, আল্লাহ্‌র কসম! আমি তোমার (প্রাপ্য) মাল যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যানবাহনের খোঁজে সর্বদা চেষ্টিত ছিলাম। কিন্তু যে জাহাযটিতে করে আমি এখন এসেছি এর আগে আর কোন জাহাযই পাইনি (তাই সময়মত আসতে পারলাম না)। কর্যদাতা বললেন, তুমি কি আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে? ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই যে, এর আগে আর কোন জাহাযই পাইনি। অতঃপর ঋণদাতা বলল, আল্লাহ পাক আমার নিকট তা পৌঁছিয়েছেন, যা তুমি পত্রসহ কাষ্ঠখণ্ডে পাঠিয়েছিলে। কাজেই এক হাযার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে আনন্দচিত্তে ফিরে যাও।
{আবু হুরায়রা (রা.) হ’তে বর্ণিত, ছহীহ বুখারী হা/২২৯১, ‘যামিন হওয়া’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১}।

এক অসাধারণ #না’তসহ দরূদ - বালাগাল উলা বি-কামালিহি: ইতিহাস, অনুবাদ ও তাৎপর্য