Saturday, July 13, 2013

আওলীয়া গনের কিরামতি

আওলীয়া গনের কিরামতি

- মুহা, লুকমান রাকীব



কারামতে আওলীয়ার ব্যাপারে আহ্‌লুস্‌সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিশ্বাসঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদার অন্যতম অংশহচ্ছে আউলীয়াদের কারামত এবং আল্লাহ তাআলা তাদের হাতে অলৌকিক ও সাধারণঅভ্যাসের বিপরীত যে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ করেন তাতে বিশ্বাস করাতবে অলীহওয়ার জন্য কারামত প্রকাশিত হওয়া জরুরী নয়আউলীয়াদের কারামত সত্যআল্লাহতাআলা তাদের হাতে অলৌকিক ও সাধারণ নিয়মের বিপরীত এমন ঘটনা প্রকাশ করেথাকেন যাতে তাদের কোন হাত নেইতবে কারামত চ্যালেঞ্জ আকারে প্রকাশিত হয় না; বরং আল্লাহই তাদের হাতে কারামত প্রকাশ করেনএই উম্মাতের মধ্যে প্রচুরপরিমাণ ও বড় বড় কারামত প্রকাশিত হয়েছেকারণ আমাদের নবীর মুজিযাগুলো হচ্ছেবড় বড় এবং আল্লাহ্‌ তাআলার নিকট তাঁর সম্মানও অনেক বড়প্রত্যেক পরহেজগারমুমিনই আল্লাহর অলীআল্লাহ তাআলা বলেনঃ )
أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ لَهُمْ الْبُشْرَى فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ
 মনে রেখো যে, আল্লাহর অলীদের কোন ভয় নেইআরতারা বিষন্নও হবেনাতারা হচ্ছে সেই সমস্ত লোক যারা ঈমান এনেছে এবংপরহেজগারিতা অবলম্বন করে থাকেতাদের জন্যে সুসংবাদ রয়েছে পার্থিব জীবনেএবং পরকালেও। (সূরা ইউনূসঃ ৬২-৬৪) এই আয়াতে আল্লাহর অলীর সংজ্ঞা ও পরিচয় তুলে ধরা হয়েছেঈমান ও সৎকর্মই হচ্ছে আল্লাহর অলী হওয়ার পরিচয়ঈমানদার, মুত্তাকী এবং শরীয়তেরপুরোপুরি অনুসারীর হাতে যদি আল্লাহ কারামাত বা অলৌকিক কিছু বের করেন তবেতিনি আল্লাহর অলী হিসেবে গণ্য হবেনআর ইসলামী শরীয়তের পাবন্দী নয়, এমনলোকের হাতে যদি কারামাত প্রকাশিত হয়, তবে সে আল্লাহর অলী নয়; বরং সেআল্লাহর শত্রু এবং শয়তানের অলীআল্লামা ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) এ বিষয়েএকটি গুরুত্বপূর্ণ কিতাব রচনা করেছেনকিতাবটির নাম আল-ফুরকানু বাইনাআউলীয়াউর্‌ রাহমান ওয়া আউলীয়াউশ শায়তানআল্লাহর প্রকৃত অলী এবং ভন্ডদের পার্থক্য সম্পর্কে এতে বিশদ আলোচনা করা হয়েছেযারা এ বিষয়ে বেশী জানতে চান তাদের প্রতি কিতাবটি পড়ার অনুরোধ থাকল কুরআন মযীদের সূরা কাহাফে এবং অন্যান্য সূরায় পূর্ব যামানার অলীদের যে সমস্ত কারামত বর্ণিত হয়েছে এবং এই উম্মাতের প্রথম যুগের তথা সাহাবী, তাবেয়ী, অন্যান্য সৎ লোকের হাতে যে সমস্ত কারামত প্রকাশিত হয়েছে তাতেও আমরা বিশ্বাস করিকিয়ামত পর্যন্ত এই উম্মাতের আউলীয়াদের হাতে কারামত প্রকাশিত হতে থাকবেআল্লাহ তাআলা তাঁর দ্বীনকে শক্তিশালী করা, কাফের-মুশরিকদেরকে পরাজিত করা, হুজ্জত কায়েম করা এবং তার অলীদের সম্মান ওফজীলত বৃদ্ধি করার জন্যই কারামত প্রকাশ করেন
কতিপয় কারামাতে আওলীয়ার উদাহরণ:
পবিত্র কুরআনে অনেক কারামতের বিবরণ পাওয়া যায়যেমন স্বামী ব্যতীত মরিয়ম (আঃ)এর গর্ভে ঈসা (আঃ)এর জন্ম গ্রহণ এবংঅলৌকিকভাবে আল্লাহর পক্ষ হতে রিযিক প্রাপ্ত হওয়া, সূরা কাহাফে বর্ণিতগুহাবাসীর কারামত, যুল-কারনাইনের ঘটনা, মুসা (আঃ)এর সাথে খিযির (আঃ)এর ঘটনাইত্যাদি সহীহ হাদীছেও রয়েছে পূর্ব যুগের এবং অনেক সাহাবী ও তাবেয়ীর কারামতের ঘটনা  
উমার বিন খাত্তাব (রাঃ)এর কারামতঃ উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) মদীনার মিম্বার থেকেদেখতে পেলেন যে, ইরাকের নাহাওয়ান্দে যুদ্ধরত মুসলিম বাহিনী শত্রুদের আক্রমণের কবলে পড়তে যাচ্ছেতাই তিনি সেনাপতি সারিয়াকে মদীনার মসজিদের মিম্বারে দাঁড়িয়ে ইয়া সারিয়া! আল- জাবালঅর্থাৎ হে সারিয়া পাহাড়ে আশ্রয়নাও, বলে ডাক দিলেনতাঁর আওয়াজ সিরিয়াতে অবস্থানরত সারিয়ার কাছে পৌঁছে গিয়েছিলসারিয়া খলীফা উমারের সেই ডাক শুনে সতর্কতা অবলম্বন করে পাহাড়ের উপর আশ্রয় গ্রহণ করলেন এবং শত্রুদের আক্রমণের কবল হতে নিরাপদ হলেনউমার (রাঃ)এর কারামাতের বিস্তারিত বিবরণ এইযে, উমার (রাঃ) একদল সৈনিক পাঠালেন এবং সারিয়া নামক এক ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর আমীর নিযুক্ত করলেনউমার (রাঃ) মদীনার মিম্বারে খুৎবারত অবস্থায় ইয়া সারিতা!আল-জাবাল, ইয়া সারিতা! আল-জাবাল বলে উচ্চস্বরে ডাক দিলেনসৈনিকদের দূত মদীনায় এসে বললেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন! আমরা শত্রুদের মুকাবিলা করতে গেলে তারা আমাদেরকে পরাজিত করে ফেলেতখন আমরা একজন লোককে চিৎকার করে বলতে শুনলামঃ ইয়া সারিতা! আল-জাবালঅর্থাৎ হে সারিয়া পাহাড়ে আশ্রয় নাওএতে আমরা সতর্কতা অবলম্বন করে পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করলামশত্রুদের আক্রমণের কবল হতে নিরাপদ হলামআল্লাহ্‌ তাআলা শত্রুদেরকে পরাজিত করলেন। (মাজমূআয়েফাতাওয়া ইবনে তাইমীয়াঃ ১১/২৭৮, উয়ূনুল আছার ১/২৫২)
নীল নদের কাছে উমার (রাঃ)এর চিঠি লেখার ঘটনাটি ইবনে কাছীর তার গ্রন্থ আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়াতে উল্লেখ করেছেনঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, মিশরের শাসক আমর বিন আস উমার (রাঃ)কে সংবাদ দিল যে, মিশরবাসীরা প্রতিবছর নীল নদকে একটি করে কুমারী মেয়ে উৎসর্গ করলেই তা প্রবাহিত হয়আমর বিন আসমিশরবাসীকে জানালেন যে, ইসলামে এধরণের কর্ম সম্পূর্ণ হারামস্বয়ং আমর বিনআস উমার (রাঃ)এর বরাবর এমর্মে একটি পত্র লিখে পাঠালেনউমার (রাঃ) নীল নদেরকাছে এই পত্র লিখে পাঠালেনঃ من عبد الله عمر أمير المؤمنين إلى نيل مصر أما بعد: فان كنت تجري من قبلك ومن أمرك فلا تجر فلا حاجة لنا فيك وإن كان الله الواحد القهار هو الذي يجريك فنسأل الله أن يجريك فألقى عمرو البطاقة في النيل فجرى أفضل مما كانআল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন উমার (রা)এরপক্ষ হতে মিশরের নীল নদের প্রতি প্রেরিত এই পত্রঅতঃপর হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ হতে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ হতে আর প্রবাহিত হয়ো নাতোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেইআর তুমি যদি মহা প্ররাক্রমশালী এক আল্লাহর হুকুমে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেনআমর (রাঃ) পত্রটি নীলনদে নিক্ষেপ করার সাথে সাথে তা পূর্বের চেয়ে আরো দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হতে লাগল। (দেখুনঃ বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ৭/১০২) 

  জুরাইজের ঘটনাঃ বানী ইসরাঈলের মধ্যে জুরাইয নামের একজন পরহেজগার লোক ছিলসে ইবাদতের জন্য একটি গীর্জা তৈরী করে তথায় সর্বদাইবাদতে লিপ্ত ছিলসে এক দিন নামাযরত অবস্থায় ছিলএমন সময় তার মা এসে ডাকদিলজুরাইজ বললঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার মা এবং আমার নামাযঅর্থাৎ আমি এখন কি করব? আমার মায়ের ডাকে সাড়া দিব? না নামাযে লিপ্ত থাকব? এই বলে সেনামাযের মধ্যে রয়ে গেলমায়ের ডাকে সাড়া দিলনামা ব্যর্থ হয়ে চলে গেলপরের দিন তার মা আবার আগমণ করলসেদিনও জুরাইয নামাযে ছিলতার মায়ের কন্ঠশুনে সে বললঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার মা এবং আমার নামাযঅর্থাৎ আমি এখন কি করব? আমার মায়ের ডাকে সাড়া দিব? না নামাযে লিপ্ত থাকব? এই বলে সে নামাযের মধ্যে রয়ে গেলমায়ের ডাকে সাড়া দিলনামা ব্যর্থ হয়ে আজও চলে গেলতৃতীয় দিনেও তার মা এসে তাকে নামায রত পেলজুরাইজ তার মার ডাকে সাড়া না দিয়েই নামাযেই রয়ে গেলএবার তার মা রাগাম্বিত হয়ে জুরাইযের উপর এই বলে বদ্‌দুআ করল যে, হে আল্লাহ! জুরাইয যেন বেশ্যা মহিলার মুখ দেখার পূর্বে মৃত্যু বরণ না করেবনী ইসরাঈলের মধ্যে জুরাইয এবং তার ইবাদতের সুনাম ছড়িয়ে পড়লতাদের মধ্যকার কিছু লোক তাকে পথভ্রষ্ঠ করার জন্য চক্রান- শুরু করলএকজন বেশ্যা মহিলা সেসময় সেজেগোজে ঘুরে বেড়াতসে প্রস-াব করল যে, তোমরা যদি চাও আমি তাকে গোমরাহ করতে পারিনবী (সাঃ) বলেন, অতঃপর সেই মহিলা জুরাইযের কাছে গিয়ে নিজেকে পেশ করলকিনজুরাইয সে দিকে কোন ভ্রুক্ষেপই করলনাজুরাইযের গীর্জায় একজন ছাগলের রাখাল আসা-যাওয়া করতমহিলাটি জুরাইযের কাছে কোন সুযোগ না পেয়ে রাখালের কাছে গিয়ে তার সাথে খারাপ কাজে লিপ্ত হলএতে সে গর্ভবতী হয়ে গেলপ্রসব করার পর সে বলল এটি জুরাইযের সন্তানলোকেরা দলে দলে আগমণ করে জুরাইযকে গীর্জা থেকে টেনে বের করল এবং তার গীর্জাটিও ভেঙ্গে চুরমার করে দিললোকেরা মারতে শুরু করলজুরাইয জিজ্ঞাসা করল, তোমাদের কি হল? আমাকে মারছ কেন? আমার ইবাদতখানাটিই বা কেন ভেঙ্গে ফেললে? লোকেরা বললঃ তুমি এই মহিলার সাথে ব্যভিচার করেছযার কারণে মহিলাটি সন্তান প্রসব করেছেজুরাইয জিজ্ঞাসা করলঃ শিশুটি কোথায়? তারা শিশুটিকে নিয়ে অসলজুরাইয বলল আমাকে নামায পড়ার জন্য একটু সময় দাওতারা তাকে নামায পড়ার সুযোগ দিলনামায শেষ করে শিশুটির কাছে গিয়ে তার পেটে খুচা দিয়ে বললঃ এই ছেলে? তোমার বাপ কে? ছেলেটি বলে দিল, ছাগলের রাখাল নবী (সাঃ) বলেন, একথা শুনে লোকেরা আসল তথ্য অনুধাবন করতে পেরে জুরাইযকে চুম্বন করতে শুরু করল এবং তাকে জড়িয়ে ধরলতারা নিজেদের ভুলের কারণে জুরাইযের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল এবং বলল আপনি অনুমতি দিলে আমরা আপনার গীর্জাটি স্বর্ণ দিয়ে তৈরী করে দিবজুরাইয বললঃ স্বর্ণ দিয়ে তৈরী করার দরকার নেই; বরং যেমন ছিল তেমন করেই মাটি দিয়ে তৈরীকরে দাওতারা তাই করল। (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুয্‌ যিক্‌র) 
তিন জন অলীর ঘটনাঃ ইবনে উমার (রাঃ) নবী (সাঃ) হতে বর্ণনা করেনযে, অতীত কালে তিনজন লোক পথ চলতেছিলপথিমধ্যে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলনিরাপদ আশ্রয় হিসাবে তারা একটি পাহাড়ের গুহায় ঢুকে পড়লউপর থেকে বিশাল আকারের একটি পাথর গড়িয়ে এসে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেলতাদের জন্য বের হওয়ার কোন সুযোগ অবশিষ্ট রইলনাতাদের একজন অপরজনকে বলতে লাগল, তোমরা প্রত্যেকেই আপন আপন সৎ আমল আল্লাহর দরবারে তুলে ধরে তার উসীলা দিয়ে দুআ করএতে হয়ত আল্লাহ আমাদের জন্য বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন তাদের একজন বলল, হে আল্লাহ! আমার পিতা-মাতা অতিবৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হয়েছিল, আমার কতিপয় শিশু সন্তানও ছিলআমি ছিলাম তাদের জন্য একমাত্র উপার্জনকারীআমি প্রতিদিন ছাগল চরানোর জন্য মাঠে চলে যেতাম বিকালে ঘরে ফেরত এসে দুধ দহন করে আমি প্রথমে পিতা-মাতাকে পান করাতাম, পরে আমার শিশু সন্তানদেরকে পান করাতামএটি ছিল আমার প্রতিদিনের অভ্যাসএকদিন ঘাসের সন্ধানে আমি অনেক দূরে চলে গেলামএসে দেখি আমার পিতা-মাতা ঘুমিয়ে পড়েছেআমার অভ্যাসমত আমি দুধ দহন করে দুধের পেয়ালা নিয়ে তাদের মাথার পাশে দাড়িয়ে রইলামআমি তাদেরকে ঘুম থেকে জাগ্রত করাকে অপছন্দ করলামযেমনভাবে অপছন্দ করলাম পিতা-মাতার পূর্বে সন্তানদেরকে দুধ পান করানোকেশিশুসন্তানগুলো আমার পায়ের কাছে ক্ষুধার তাড়নায় চিৎকার করতেছিলএভাবে সারা রাত কেটে গিয়ে ফজর উদীত হলআমার পিতা-মাতা ঘুম থেকে জাগলেনআমি তাদেরকে প্রথমে পান করালাম অতঃপর আমার ছেলে-মেয়েদেরকে পান করালাম হে আল্লাহ! আপনি অবশ্যই জানেন যে, আমি একাজটি একমাত্র আপনার সনষ্টি অর্জনের জন্য সম্পাদন করেছিএই আমলটির উসীলায় আমাদের জন্য বের হওয়ার রাস্তা করে দিনএভাবে দুআ করার সাথে সাথে পাথরটি একটু সরে গেল, তারা আকাশ দেখতে পেল, কিনতখনও বের হওয়ার মত রাস্তা হয়নি দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমার একজন চাচাতো বোন ছিলসে ছিল আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় এবং একজন পুরুষ কোন মহিলার প্রতি যতদূর আসক্ত হতে পারে, আমি ছিলাম তার প্রতি ততটুকু আসক্তআমি তার কাছে আমার মনোবাসনা পেশ করলাম সে একশত স্বর্ণমুদ্রা দেয়ার শর্তে তাতে সম্মত হলআমি অনেক পরিশ্রম করে একশত স্বর্ণমুদ্রা সংগ্রহ করে তার কাছে গমণ করলামসে সম্মতি প্রকাশ করারপর আমি তার উভয় উরুর মধ্যে বসে পড়লামএমন সময় সে বলে উঠল, হে আল্লাহরবান্দা! আল্লাহকে ভয় কর, আমার স্বতীত্ব নষ্ট করোনাএকথা শুনে আমি তাকে ছেড়ে দিলাম হে আল্লাহ! আপনি যদি মনে করেন যে, আমি আপনার ভয়ে সেদিন পাপের কাজ থেকে বিরত হয়েছি, তাহলে আজ আমাদেরকে এখান থেকে বের হওয়ার ব্যবসা করে দিনসাথে সাথে পাথরটি আরো একটু সরে গেল কিনতখনও বের হওয়ার মত রাস্তা হয়নি তৃতীয়জন বললঃ হে আল্লাহ! নির্ধারিত বেতনের বিনিময়ে আমি একজন শ্রমিক নিয়োগ করলামকাজ শেষ করে সে আমার কাছে পারিশ্রমিক চাইলে আমি তা প্রদান করলাম, কিনসে উহা গ্রহণ না করেই চলে গেলআমি তার প্রাপ্য টাকা বাড়াতে থাকলামএকপর্যায়ে তা একপাল গরুতে পরিণত হলআমি গরুগুলো মাঠে চরানোর জন্য একজন রাখালও নিয়োগ করলাম অনেক দিন পর সেই লোকটি আমার কাছে এসে তার মজুরী চাইলআমি বললামঃ তুমি রাখালসহ উক্ত গরুর পালটি নিয়ে চলে যাওসে বলল, হেআল্লাহর বান্দা! আমার প্রাপ্য দিয়ে দাও এবং আমার সাথে বিদ্রুপ করোনাআমি বললাম, বিদ্রুপ করি নাইবরং এগুলো তোমারআমি তোমার এক দিনের মজুরী দিয়ে এগুলো করেছিতাই তুমি রাখালসহ গরুর পালটি নিয়ে চলঅতঃপর সে গরুর পালটি নিয়ে চলে গেলএকটিও রেখে যায়নি হে আল্লাহ! আপনি যদি মনে করেন যে, আমি আপনার সনষ্টির জন্য একাজটি করেছি, তাহলে আজ আমাদেরকে এখান থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দিনসাথেসাথে পাথরটি সম্পূর্ণরূপে সরে গেলতারা নিরাপদে সেখান থেকে বের হয়ে এল (বুখারী, অধ্যায়ঃ আহাদীছুল আম্বীয়া)  
এক বৃদ্ধ কৃষকের কারামতঃ  অতীত কালে একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলছিলহঠাৎ মাথার উপর মেঘমালা থেকে একটি শব্দ শুনল যে, অমুকের বাগানে বর্ষণ করলোকটি মেঘমালাকে অনুসরণ করে পথ চলতে থাকলঅবশেষে একটি যমিনে বৃষ্টি বর্ষণ হলসেখানে দেখতে পেল একজন লোক কোদাল হাতে নিয়ে বাগানে কাজ করছেলোকটি বাগানওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করল তোমার নাম কি? সে বললঃ আমার নাম অমুকযে নামটি সেমেঘ থেকে শুনেছিলতারপর বাগানের মালিক জিজ্ঞাসা করল, তুমি কেন আমার নাম জিজ্ঞাসা করছ? উত্তরে সে বললঃ যে মেঘ থেকে এই বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে, আমি তোমার নামটি সেই মেঘের ভিতরে শুনতে পেয়েছিতাই আমি তোমার নাম জিজ্ঞেস করছিতোমার কাছে আমার আরো একটি প্রশ্ন হল, তুমি কিভাবে এই বাগানের ফসলব্যয় কর, তাও আমি জানতে চাই সেবললঃ আমার যমিনে উৎপাদিত ফসলকে তিনভাগে বিভক্ত করিএকভাগ আমার পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করিএকভাগ পুনরায় ফসল আবাদের কাজে ব্যয় করিআরএক ভাগ ফকীর, মিসকীন এবং মুসাফিরদের মাঝে বন্টন করে দেই। (মুসলিম, তাফসীরে ইবনে কাছীর)
উসায়েদ ইবনে হুযায়ের-এর কারামতঃ উসাইদ ইবনে হুযাইর (রাঃ) বলেন, আমি একদিন রাত্রি বেলায় সূরা বাকারা তেলাওয়াত করছিলামআমার ঘোড়াটি কাছেই বাধা ছিলহঠাৎ করে ঘোড়াটিলাফিয়ে উঠলআমি কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দিলামঘোড়াটিও থেমে গেলআবার তেলাওয়াত শুরু করলামআবার ঘোড়াটি লাফাতে শুরু করলআমি আবার কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দিলামঘোড়াটিও থেমে গেলতারপর আমি একেবারেই তেলাওয়াত বন্ধ করে দিলামকারণ আমার শিশু পুত্র ইয়াহয়া ঘোড়াটির পাশেই ঘুমন্ত ছিলআমার ভয় হল যে, ঘোড়াটি হয়ত ইয়াহয়াকে আঘাত করতে পারে, এই ভয়েই আমি মূলত কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দিলামঅতঃপর আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখলাম, মাথার উপরে অসংখ্য আলোক বর্তিকার মত কি যেন দেখা যাচ্ছেআলোক বর্তিকাগুলো আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠে গেলএকটিও অবশিষ্ঠ রইলনা সকাল বেলা আমি রাসূল (সাঃ)এর নিকট গিয়ে ঘটনাটি বর্ণনা করলামবললাম হে আল্লাহর নবী! গত রাত্রে আমি কুরআন তেলাওয়াত করছিলামআমার ঘোড়াটি কাছেই বাধা ছিলহঠাৎ করে ঘোড়াটি লাফিয়ে উঠলআমি আবার কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দিলামঘোড়াটিও থেমে গেলআবার তেলাওয়াত শুরু করলামআবার ঘোড়াটি লাফাতে শুরু করলআমি আবার কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দিলামঘোড়াটিও থেমে গেলতারপর আমি একেবারেই তেলাওয়াত বন্ধ করে দিলাম কারণ আমার শিশু পুত্র ইয়াহয়া ঘোড়াটির পাশেই ঘুমন- ছিলআমার ভয় হল যে, ঘোড়াটি হয়ত ইয়াহয়াকে আঘাত করতে পারে, এই ভয়েই আমি মূলত কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দিলামঅতঃপর আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখলাম, মাথার উপরে অসংখ্য আলোকবর্তিকার মত কি যেন দেখা যাচ্ছেআলোক বর্তিকাগুলো আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠে গেলএকটিও অবশিষ্ঠ রইলনা রাসূল (সাঃ) আমাকে বললেন, তুমি কি জান এগুলো কি? তারা হলো আল্লাহর ফেরেশতাতোমার কুরআন তেলাওয়াত শুনার জন্য তারা আগমণ করেছিলতুমি যদি সকাল পর্যন্ত তেলাওয়াত অব্যাহত রাখতে, তাহলে দুনীয়ার মানুষেরা তাদেরকে দেখতে পেতকারণ কুরআন তেলাওয়াত শুনা ছেড়ে দিয়ে আত্মগোপন করা কখনই তাদের পক্ষে সম্ভব হতনা (বুখারী, অধ্যায়ঃ ফাযায়িলুল কুরআন)
আব্বাদ বিন বিশরের করামাতঃ আব্বাদ বিন বিশ্‌র এবং উসাইদ ইবনে হুজাইর নবী (সাঃ)এর সাথে ইশা নামায আদায় করার পর অনেক ক্ষণ পর্যন্ত তাঁর সাথে কথাবার্তা বললেনএতে অনেক রাত হয়ে গেলরাত্রিটি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন কথাবার্তা শেষে তারা যখন নবী (সাঃ)এর দরবার থেকে বের হলেন তখন তাদের সামনে একটি আলোক বর্তিকা প্রকাশিত হয়ে রাস্তা আলোকিত করে দিলআলোক বর্তিকাটি তাদের আগে আগে চলতে লাগলরাস্তায় যখন তাদের পৃথক হওয়ার সময় হল একটি আলোকবর্তিকা দুটিতে পরিণত হয়ে গেলএকটি আব্বাদ বিন বিশরের রাস্তাকে আলোকিত করে তার আগে আগে চলতে লাগলআর তিনিও উক্ত আলোতে পথ চলতে চলতে বাড়িতে পৌঁছেগেলেনএমনিভাবে অন্য আলোটি উসাইদ বিন হুজাইরের রাস্তাকে আলোকিত করলে তিনিও নির্ভিগ্নে বাড়িতে চলে গেলেন। (বুখারী, অধ্যায়ঃ আব্বাদ বিন বিশর ওউসাইদ বিন হুযায়েরের ফজীলত)
ওয়াইসআল-কারণীর ঘটনাঃ উসাইর ইবনে যাবের (রাঃ) বলেন, যখনই ইয়্যমেন থেকে কোন যুদ্ধের কাফেলা মদীনায় আগমণ করতেন, তখন উমার (রাঃ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতেন, তোমাদের মাঝে ওয়াইস বিন আমের আল-কারণী নামে কোন লোক আছে কি? কোন এক সময় ওয়াইস বিন আমের আগমণ করেছে জানতে পেরে উমার (রাঃ) তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি ওয়াইস বিন আমের? তিনি বললেনঃ হ্যাঁতারপর জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কার্‌ন গোত্রের মুরাদ শাখার লোক? উত্তরে তিনি বললেন হ্যাঁতোমার শরীরে কি শ্বেত রোগ ছিল, যা থেকে তুমি সুস্থ হয়েছ, কিন্তু সামান্য স্থানে তার চিহ্ন রয়ে গেছেতিনিবললেন হ্যাঁউমার (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার মাতা জিবীত আছে? তিনিবললেন, হ্যাঁএরপর উমার (রাঃ) বললেন, আমি রাসূল (সাঃ)কে বলতে শুনেছি, অদূর বভিষ্যতে তোমাদের কাছে ওয়াইস বিন আমের নামে একজন লোক আগমণ করবেতার ছিল শ্বেতরোগসামান্য স্থান ব্যতীত তাঁর শরীরের চামড়া ভাল হয়ে গেছেতিনিতাঁর ময়ের খেদমতে নিয়োজিত রয়েছেতিনি তাঁর মায়ের প্রতি খুবই সদাচরণকারী এবং আনুগত্যশীলসম্ভবতঃ সে কারণেই সে আমার কাছে আসতে পারছে নাসে যদি আল্লাহর নামে কোন শপথ করে, আল্লাহ তা পূর্ণ করার ব্যবস্থা করে দেনতুমি যদি তাকে পাও, তার কাছে তোমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার আবেদন করিওসুতরাং তুমি আমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করওয়াইস আল-কারণী উমার (রাঃ)এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেনঅতঃপর উমার (রাঃ)জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি এখন কোথায় যাবে? সে বলল, কূফার দিকে যাওয়ার ইচ্ছাপোষণ করছিউমার (রাঃ) বললেন, কূফার গভর্ণরের কাছে তোমার জন্য কিছু লিখে দিব কি? সে বলল, না কোন কিছু লিখার প্রয়োজন নেইআমি দারিদ্র হালতে এবংফকীর-মিসকীনদের সাথে বসবাস করা পছন্দ করিপরবর্তী বছরে কূফার একজন লোক হজ্জ করতে আসলউমার (রাঃ) তাকে ওয়াইস আল-কারণী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেনসে বললঃ আমি তাকে একটি পুরাতন ঘরের মধ্যে অসহায় অবস্থায় বসবাস করতে দেখে এসেছিউমার (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূল (সাঃ)কে বলতে শুনেছি, অদূর বভিষ্যতে তোমাদের কাছে ওয়াইস বিন আমের নামে একজন লোক আগমণ করবেতার ছিল শ্বেত রোগসামান্য স্থান ব্যতীত তাঁর শরীরের চামড়া ভাল হয়ে গেছেতিনি তাঁর মাতার খেদমতে নিয়োজিত রয়েছেতিনি তাঁর মায়ের প্রতি খুবই সদাচরণকারী এবংআনুগত্যশীলসম্ভবতঃ সে কারণেই সে আমার কাছে আসতে পারছে নাসে যদি আল্লাহরনামে কোন শপথ করে, আল্লাহ তা পূর্ণ করার ব্যবস্থা করে দেনতুমি যদি তাকেপাও, তার কাছে তোমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার আবেদন করিওসুতরাং তুমিও তার কছে গিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করিওকূফাবাসী লোকটি দেশে ফিরে গিয়ে ওয়াইস আল-কারণীর সাথে সাক্ষাত করে তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে বললেনপ্রথমে সে এই বলে আবেদন প্রত্যাখ্যান করলেন যে, তুমি হজ্জের সফর থেকে কেবলমাত্র আগমণ করেছসুতরাং তুমিই আমার জন্য দুআ করএ কথাটি সে কয়েকবার বলার পর জিজ্ঞাসা করল তুমি উমার (রাঃ)এর সাথে দেখা করেছ? কূফাবাসী বললঃ হ্যাঁঅতঃপর ওয়াইস আল-কারণী তার জন্য দু করলেন মানুষের কাছে ওয়াইসের বিষয়টি প্রকাশিত হয়ে গেলে সে অদৃশ্য হয়ে গেল হাদীসের বর্ণনাকারী উসাইর ইবনে যাবের বলেন, আমি তাকে একটি চাদর দান করেছিলামযখনই মানুষ তাকে এই চাদরটি পরিহিত অবস্থায় দেখত, তারা বলতঃ ওয়াইসএই চাদরটি কোথায় পেল? (মুসলিম, অধ্যায়ঃ ফাযায়িলুস্‌ সাহাবাহ) আমাদের দেশে ওয়ইস আল-কারণী সম্পর্কে৩২ দাঁত ভাঙ্গার যে ঘটনা বর্ণনা করা হয়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা
আবু বকর (রাঃ)এর করামাতঃ আবু বকর (রাঃ)এর খেলাফতকালে আরবের কতিপয় গোত্রমুরতাদ হয়ে যাওয়ার সময় আল্লাহ্‌ তাঁর হাতে কারামত প্রকাশ করেনআবু বকরের হাতে প্রকাশিত আরেকটি মুজিযা হচ্ছে, আবু যার্‌ (রাঃ) বলেনঃ রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসন্ধান করার জন্য মদীনার কোন বাঘানে গেলামগিয়ে দেখলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বসে আছেনআবুযার্‌ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কাছে গিয়ে তাঁকে সালাম দিলেনআবু যার্‌ বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর সামনে কতগুলো পাথর রাখা ছিলতিনি সেগুলো হাতে নিলে সেগুলো তাসবীহ পাঠ করা শুরু করলঅতঃপর তিনি তা মাটিতে রাখলে তাসবীহ পাঠ বন্ধ করে দেয়নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামসেগুলো হাতে নিয়ে আবু বকরের হাতে রাখলে আবার তাসবীহ পাঠশুরু করে দেয়আবু বকর (রাঃ) সেগুলো মাটিতে রাখলে চুপ হয়ে যায়হাদীছেবর্ণিত আছে যে, পাথর দানাগুলো উমার ও উছমানের হাতেও তাসবীহ পাঠ করেছিল (ইবনু আবী আসেম, কিতাবুস্‌ সুন্নাহইমাম আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন, দেখুন সিলসিলায়ে সহীহা হাদীছ নং- ১১৪৬)

আলা ইবনুল হাযরামী (রাঃ)এর ঘোড়ার ঘটনা: আলা ইবনুল হাযরামী (রাঃ) অশ্বারোহী বাহিনী রোমানদের সাথে যুদ্ধের সময় ঘোড়ায় আরোহন করে সাগর পার হয়েছিলঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, তিনি উমার (রাঃ)এর খেলাফতকালে একদল সৈনিক নিয়ে যুদ্ধে বের হলেনশত্রু ও তার বাহিনীর মধ্যে একটি সাগর অন-রায় হয়ে দাঁড়ালতিনি আল্লাহর কাছে দুআ করে সাগরের উপর দিয়ে ঘোড়া ছুটালেন সাগর পাড় হয়ে তিনি শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করে ফেরার পথে পুনরায় আল্লাহরকাছে দুআ করে মুসলিম বাহিনী নিয়ে সাগরের উপর দিয়ে ঘোড়া ছুটিয়ে পার হলেন (দেখুন আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ৬/১৬২)

আরো কিছু কারামত:

. উরওয়াহ ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, সাঈদ ইবনে যায়দ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বিরুদ্ধে আরওয়া বিনতে আওস নামক এক মহিলা মারওয়ান ইবনে হাকামের দরবারে মোকাদ্দামা পেশ করল; সে দাবি জানাল যে, ‘সাঈদ আমার কিছু জমি আত্মসাৎ করেছেন।সাঈদ বললেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে (এ বিষয়ে ধমক) শোনার পরও কি আমি তার কিছু জমি দাবিয়ে নিতে পারি?’ মারওয়ান বললেন, ‘আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কি (ধমক) শুনেছেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো এক বিঘত জমি দাবিয়ে নেবে, (কিয়ামতের দিনে) সাত তবক জমিন তার গলায় লটকে দেওয়া হবে।এ কথা শুনে মারওয়ান বললেন, ‘এরপর আমি আপনার কাছে কোন প্রমাণ তলব করব না।সুতরাং সাঈদ (বাদী পক্ষীয়) মহিলার প্রতি বদ্দুআ করে বললেন, ‘হে আল্লাহ! এ মহিলা যদি মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে ওর চক্ষু অন্ধ করে দাও এবং ওকে ওর জমিতেই মৃত্যু দাও।
বর্ণনাকারী বলেন, ‘মহিলাটির মৃত্যুর পূর্বে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে গিয়েছিল এবং একবার সে নিজ জমিতে চলছিল। হঠাৎ একটি গর্তে পড়ে মারা গেল।-বুখারী ও মুসলিম
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, উহুদের যুদ্ধ যখন সংঘটিত হয়। রাতে আমাকে আমার পিতা ডেকে বললেন, ‘আমার মনে হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহচরবৃন্দের মধ্যে যারা সর্বপ্রথম শহীদ হবেন, আমিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর, তোমাকে ছাড়া ধরা-পৃষ্ঠে প্রিয়তম আর কাউকে ছেড়ে যাচ্ছি না। আমার উপর ঋণ আছে, তা পরিশোধ করে দেবে। তোমার বোনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে।সুতরাং যখন আমরা ভোরে উঠলাম, তখন দেখলাম যে, সর্বপ্রথম উনিই শাহাদত বরণ করেছেন। আমি তাঁর সাথে আর এক ব্যক্তিকে সমাধিস্থ করলাম। তারপর অন্যজনকে তাঁর সঙ্গে একই কবরে দাফন করাতে আমার মনে শান্তি হল না। সুতরাং ছয়মাস পর আমি তাঁকে কবর হতে বের করলাম। (দেখা গেল) তার কান ব্যতীত (তার দেহ) সেদিনকার মত অবিকল ছিল, যেদিন তাকে কবরে রাখা হয়েছিল। অতঃপর আমি তাকে একটি আলাদা কবরে দাফন করলাম। .-বুখারী ] 

. আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীর মধ্য থেকে দুজন সাহাবী অন্ধকার রাতে তাঁর নিকট হতে বাইরে গমন করেন। আর তাঁদের আগে আগে প্রদীপের ন্যায় কোন আলো বিদ্যমান ছিল। পরে যখন তাঁরা একে অপর থেকে আলাদা হয়ে গেলেন, তখনও প্রত্যেকের সঙ্গে আলো ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁরা প্রত্যেকে নিজ নিজ গৃহে পৌঁছে গেলেন। (এটিকে বুখারী কয়েকটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কোন কোন বর্ণনায়, ঐ দুই সাহাবীর নাম ছিল, উসাইদ ইবনে হুযাইর ও আববাদ ইবনে বিশ্র। রাদিয়াল্লাহু আনহুমা।)  

   ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যখনই কোন বিষয়ে আমি উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলতে শুনতাম, ‘আমার মনে হয়, এটা এই হবেতখনই (দেখতাম) বাস্তবে তাই হত; যা তিনি ধারণা করতেন!(বুখারী)

      ভন্ড নবী আসওয়াদ আনাসী আবু মুসলিম খাওলানী (রাঃ)কে আগুনে নিক্ষেপ করলে আবু মুসলিম আগুনের ভিতর নামায আদায় করেছেনআবুমুসলিম খাওলানীর কারামাত এই যে, ভন্ড নবী আসওয়াদ আনাসী আবু মুসলিমখাওলানীকে ডেকে নিয়ে বললঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে আমি আল্লাহর রাসূল? আবুমুসলিম বললনেঃ আমি তোমার কথা শুনতে পাচ্ছি নাআসওয়াদ আনাসী পুনরায় বললঃতুমি কি এই সাক্ষ্য দাও যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল? আবু মুসলিম বললেনঃ হ্যাঁইতিহাসের কিতাবগুলোতে বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত হয়েছে এছাড়া আরও অনেক কারামাত নবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামএর যুগে, তারপর সাহাবী, তাবেয়ীদের যুগে প্রকাশিত হয়েছে এমনিভাবে কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবেএই কারামতগুলো তাদের পরবর্তী যুগে এবং বর্তমান যুগেও অব্যাহত রয়েছেএমনিভাবে কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে
         এখানে বিশেষভাবে স্মরণ রাখা দরকার যে, নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসারী নয় এমন লোকের হাতে যদি স্বাভাবিক অভ্যাসের বিপরীত কোন কিছু প্রকাশিত হয়, তবে তা কারামত নয়; বরং তা ফিতনা ও ভেলকিবাজিযার হাতে এমন কিছু প্রকাশিত হবে, সে আল্লাহর অলী নয়; বরং শয়তানের অলী

 Source: http://www.bokolom.com  and Other

 

Friday, July 12, 2013

রাসূলে পাকের হস্ত চুম্বনের বিখ্যাত কারামত

রাসূলে পাকের হস্ত চুম্বনের বিখ্যাত কারামত


হযরত সাইয়্যেদ আহমদ কবীর রেফায়ী (রহ.) এর সর্বাপেক্ষা অধিক প্রসিদ্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ কারামত হচ্ছে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুবারক চুম্বন করা। এই সৌভাগ্য কেবলমাত্র হযরত রেফায়ী কবীরেরই হয়েছে। ইতিহাসে এ ধরনের আর একটি ঘটনাও অশ্র“ত। ঘটনার বিবরণে শেখ উমর ফারুকী বলেন, হযরত রেফায়ী কবীর রহ. পাঁচশত পঞ্চান্ন হিজরী সনে প্রথম হজ্বব্রত পালন করেন। আমিও হযরত রেফায়ী রহ. সঙ্গে ছিলাম। হজ্বব্রত পালন করেই মদীনা পাকের সফর। শাম, ইরাক, ইয়ামান, মরক্কো, হেজায, ও আরব বিশ্বের নব্বই হাজারের অধিক হাজী সাহেবান হজ্ব শেষে যিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদীনা পাকে সমবেত ছিল। হযরত রেফায়ী কবীর রহ. মদীনা পাকের এলাকায় পৌঁছেই পায়ের জুতা খুলে ফেলেন এবং আদব ও এহতেরামের সাথে অগ্রসর হন। যখন রওযা পাকের সম্মুখে হাজির হলেন তখন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে এশকের হালতে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে এভাবে সালাম পেশ করেন :
السلام عليك يا جيدى
হে নানাজী! আপনার প্রতি সালাম! সাথে সাথে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে উত্তর দিলেন :
وعليكم السلام يا ولدى
হে আমার আওলাদ! তোমার প্রতিও আমার সালাম।
হযরত রেফায়ী রহ. উত্তর শুনে ওয়াজদে ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়েন। তাঁর বরকতে উপস্থিত সকলেও রাসূলে পাকের সালাম শুনে সৌভাগ্যশীল হন। একটু শান্ত হয়ে হযরত রেফায়ী রহ. প্রেমের আবেগে নিম্নের কবিতা সমূহ আবৃত্তি করলেন :
فى حالة البعد كنت روحى ارسلها : تقبل الارض على وهى نائبى
وهذه دولة الاشباح حضرت : فامد ديمينك كئ تحظى بها شفتى
* দূরে অবস্থানকালে আমার রূহকে আপনার দরবারে পাঠিয়ে দিতাম, যেন সে আমার পক্ষে আপনার কদমবুসি করে যায়।
* এবার আমি স্বশরীরে আপনার মহান দরবারে হাজির হয়েছি; সুতরাং মেহেরবাণী করে আপনার হাত বাড়িয়ে দিন! যেন আমার ওষ্ঠাধর আপনার হাত মুবারক চুম্বনের সৌভাগ্য লাভে ধন্য হয়।
কবিতা পাঠের সাথে সাথে রওযা মুবারক থেকে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হস্ত মুবারক বের হয়ে আসে এবং সমস্ত মসজিদে নববী আলোকিত হয়ে যায়। আর হযরত রেফায়ী কবীর রহ. রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র হাত চুম্বন করে সৌভাগ্যশীল হন। উপস্থিত সকলেই রাসূলে পাকের হস্ত মুবারক যিয়ারত করে ধন্য হয়। হযরত শেখ হায়াত বিন কায়েস হারবুনী, শেখ আদী বিন মুসাফির, শেখ আকীল, কুতবে আলম মাহবুবে সুবহানী আব্দুল কাদের জিলানী, শেখ আহমাদুল কবী যাফরানী, শেখ আলী তাবারী, শেখ আহমাদ বিন মাহমূদী রিবযী , আমীর আসাদুদ্দীন বিন সাদী, শেখ হাসান বিন মুহাম্মাদ হুসাইনী ও শেখ আব্দুর রাযযক ওয়াসেতীও সেখানে হাজির ছিলেন, তারাও রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হস্ত মুবারক যিয়ারত করে ধন্য হন।
শেখ ইজ্জুদ্দীন ফারুছী বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলমীনের আমার প্রতি বিশেষ রহমত যে, ছয়শত বাষট্টি হিজরী সনে আমার শ্রদ্ধেয় পিতা, হযরত রেফায়ী কবীর রহ. মাযার যিয়ারতের উদ্দেশ্যে ফারুছ থেকে উম্মে আবীদার পথে রওনা হন, আমার বয়স তখন মাত্র আঠারো। শ্রদ্ধেয় পিতা মেহেরবাণী করে আমাকে সাথে নিলেন। তখন রেফায়ী তরীকার উত্তরাধিকারী হিসেবে ছিলেন শেখ শাসুদ্দীন মুহাম্মাদ রেফায়ী। আমরা খানকাহে পৌছলাম। প্রাথমিক সাক্ষাতের পর আমাদের থাকার জন্য খানকাহের নিকটে একটি ভিন্ন হুজরাখানা দেয়া হলো। আশে-পাশের অসংখ্য হুজরাখানা এবং লোকে লোকারণ্য। জুমার দিন বাদ নামায শেখ আহমাদ কবীর রেফায়ী রহ. এর মাযারের দরজা খুলে দেয়া হলো। লক্ষ লক্ষ লোক যিয়ারতের উদ্দেশ্যে অসম্ভব ভীড় করছে। এমন সময় শ্রদ্ধেয় পিতা আমার হাত ধরে একজন বুযুর্গের সাথে সাক্ষাত করালেন এবং দোয়ার জন্য দরখাস্ত করলেন। শ্রদ্ধেয় পিতা আমার হাত ধরে একজন বুযুর্গের সাথে সাক্ষাত করালেন এবং দোয়ার জন্য দরখাস্ত করলেন। শ্রদ্ধেয় পিতা ঐ বুযুর্গের হাত চুম্বন করলেন, আমাকেও চুম্বন করতে বললেন, সুতরাং আমিও চুম্বন করলাম। তিনি দোয়া করে চলে গেলেন। আব্বাজান আমাকে বললেন, এই বুযুর্গের নাম শেখ আহমাদ বিন মুাহমূদ রেফায়ী, যিনি হযরত রেফায়ী কবীর রহ.-এর সাথে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হস্তু মুবারকের যিয়ারত লাভ করেছেন। এর কিছুক্ষণ পর শেখ মুবারক বিন জাফর উনয়াবী, শেখ আব্দুর রহমান দাইবিনী, শেখ রমযান বিন আবদে রাব্বিহী ও শেখ আব্দুল মুহসিন ওয়াসেতী আনসারী তাশরীফ আনলেন। আব্বাজান সকলের হাত চুম্বন করলেন এবং দোয়ার দরখাস্ত করলেন। আমিও পিতার অনুসরণ করলাম। আরো অসংখ্য লোকজন তাদের হস্তু চুম্বন করেন এবং দোয়ার দরখাস্ত করেন। সকলের চেহারায় তাদের প্রতি ছল প্রাণভরা ভক্তি শ্রদ্ধা। সকলের চোখ থেকেই অশ্র“ ঝরছিল। সকলেই তাদেরকে দেখে দেখে ওয়াজদের হালতে রোদন করছি। আব্বা আমাকে বললেন, তারা সকলেই রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাত মুবারক যিয়ারতের সৌভাগ্য লাভ করেছে, এ কারণেই লোকেরা এশকে ব্যাকুল হয়ে ক্রন্দন করছে। এ ঘটনাকে হযরত রেফায়ী কবীরের এর কারামতের মধ্যে গণ্য করা হয়। অসংখ্য ওলামা মাশায়েখ, মুহাদ্দিসীন ও ঐতিহাসিকগণ এঘটানাকে সত্য বলে রায় দিয়েছেন। তাই এর সত্যতার প্রশ্নে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। আল্লাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, শেখ ছফেরী শেক ইজ্জুদ্দীন, ফারুছী, শেখ মুহাম্মাদ ওতবী. এবং আরো অসংখ্য উলামা মাশায়েখ বলেছেন: 
يخشى على منكر هذه القصة السعيدة سوء الخاتمة
যে ব্যক্তি এই কারামতকে অস্বীকার করবে তার অপমৃত্যুর ভয় আছে। 
আল্লামা সামেরায়ী বলেন:
قدافتى كثير من العلماء بان من ينكر هذه القصة قد ضل وغوى
অসংখ্য ওলামাদের ফাতওয়া অনুসারে এই কারামতের অস্বীকারকারী গোমরাহ এবং পথভ্রষ্ট।

The measure of beauty created in nature: The golden ratio

The measure of beauty created in nature: The golden ratio

- Harun yahya

 

Allah has appointed a measure for all things. (Surat at-Talaq, 3)
… You will not find any flaw in the creation of the All-Merciful. Look again-do you see any gaps? Then look again and again. Your sight will return to you dazzled and exhausted! (Surat al-Mulk, 3-4)
... If a pleasing or exceedingly balanced form is achieved in terms of elements of application or function, then we may look for a function of the Golden Number there ... The Golden Number is a product not of mathematical imagination, but of a natural principle related to the laws of equilibrium. (1)
What do the pyramids in Egypt, Leonardo do Vinci's portrait of the Mona Lisa, sunflowers, the snail, the pine cone and your fingers all have in common?
The answer to this question lies hidden in a sequence of numbers discovered by the Italian mathematician Fibonacci. The characteristic of these numbers, known as the Fibonacci numbers, is that each one consists of the sum of the two numbers before it. (2)

L. Pisano Fibonacci
Fibonacci numbers
0, 1, 1, 2, 3, 5, 8, 13, 21, 34, 55, 89, 144, 233, 377, 610, 987, 1597, 2584, …
Fibonacci numbers have an interesting property. When you divide one number in the sequence by the number before it, you obtain numbers very close to one another. In fact, this number is fixed after the 13th in the series. This number is known as the "golden ratio."

GOLDEN RATIO = 1.618
233 / 144 = 1.618
377 / 233 = 1.618
610 / 377 = 1.618
987 / 610 = 1.618
1597 / 987 = 1.618
2584 / 1597 = 1.618

THE HUMAN BODY AND THE GOLDEN RATIO
When conducting their researches or setting out their products, artists, scientists and designers take the human body, the proportions of which are set out according to the golden ratio, as their measure. Leonardo da Vinci and Le Corbusier took the human body, proportioned according to the golden ratio, as their measure when producing their designs. The human body, proportioned according to the golden ratio, is taken as the basis also in the Neufert, one of the most important reference books of modern-day architects.

Leonardo da Vinci used the golden ratio in setting out the proportions of the human body.
THE GOLDEN RATIO IN THE HUMAN BODY
The "ideal" proportional relations that are suggested as existing among various parts of the average human body and that approximately meet the golden ratio values can be set out in a general plan as follows: (3)
The M/m level in the table below is always equivalent to the golden ratio. M/m = 1.618
The first example of the golden ratio in the average human body is that when the distance between the navel and the foot is taken as 1 unit, the height of a human being is equivalent to 1.618. Some other golden proportions in the average human body are:
The distance between the finger tip and the elbow / distance between the wrist and the elbow,
The distance between the shoulder line and the top of the head / head length,
The distance between the navel and the top of the head / the distance between the shoulder line and the top of the head,
The distance between the navel and knee / distance between the knee and the end of the foot.
The Human Hand
Lift your hand from the computer mouse and look at the shape of your index finger. You will in all likelihood witness a golden proportion there.
Our fingers have three sections. The proportion of the first two to the full length of the finger gives the golden ratio (with the exception of the thumbs). You can also see that the proportion of the middle finger to the little finger is also a golden ratio. (4)
You have two hands, and the fingers on them consist of three sections. There are five fingers on each hand, and only eight of these are articulated according to the golden number: 2, 3, 5, and 8 fit the Fibonacci numbers.
The Golden Ratio in the Human Face
There are several golden ratios in the human face. Do not pick up a ruler and try to measure people's faces, however, because this refers to the "ideal human face" determined by scientists and artists.
For example, the total width of the two front teeth in the upper jaw over their height gives a golden ratio. The width of the first tooth from the centre to the second tooth also yields a golden ratio. These are the ideal proportions that a dentist may consider. Some other golden ratios in the human face are:
Length of face / width of face,
Distance between the lips and where the eyebrows meet / length of nose,
Length of face / distance between tip of jaw and where the eyebrows meet,
Length of mouth / width of nose,
Width of nose / distance between nostrils,
Distance between pupils / distance between eyebrows.
Golden Proportion in the Lungs
In a study carried out between 1985 and 1987 (5), the American physicist B. J. West and Dr. A. L. Goldberger revealed the existence of the golden ratio in the structure of the lung. One feature of the network of the bronchi that constitutes the lung is that it is asymmetric. For example, the windpipe divides into two main bronchi, one long (the left) and the other short (the right). This asymmetrical division continues into the subsequent subdivisions of the bronchi. (6) It was determined that in all these divisions the proportion of the short bronchus to the long was always 1/1.618.
THE GOLDEN RECTANGLE AND THE DESIGN IN THE SPIRAL

A rectangle the proportion of whose sides is equal to the golden ratio is known as a "golden rectangle." A rectangle whose sides are 1.618 and 1 units long is a golden rectangle. Let us assume a square drawn along the length of the short side of this rectangle and draw a quarter circle between two corners of the square. Then, let us draw a square and a quarter circle on the remaining side and do this for all the remaining rectangles in the main rectangle. When you do this you will end up with a spiral.
The British aesthetician William Charlton explains the way that people find the spiral pleasing and have been using it for thousands of years stating that we find spirals pleasing because we are easily able to visually follow them. (7)
The spirals based on the golden ratio contain the most incomparable designs you can find in nature. The first examples we can give of this are the spiral sequences on the sunflower and the pine cone. In addition to this, an example of Almighty Allah's flawless creation and how He has created everything with a measure, the growth process of many living things also takes place in a logarithmic spiral form. The curves in the spiral are always the same and the main form never changes no matter their size. No other shape in mathematics possesses this property. (8)
The Design in Sea Shells


The flawless design in the nautilus shell contains the golden ratio.
When investigating the shells of the living things classified as mollusks, which live at the bottom of the sea, the form and the structure of the internal and external surfaces of the shells attracted the scientists' attention:
The internal surface is smooth, the outside one is fluted. The mollusk body is inside shell and the internal surface of shells should be smooth. The outside edges of the shell augment a rigidity of shells and, thus, increase its strength. The shell forms astonish by their perfection and profitability of means spent on its creation. The spiral's idea in shells is expressed in the perfect geometrical form, in surprising beautiful, "sharpened" design. (9)
The shells of most mollusks grow in a logarithmic spiral manner. There can be no doubt, of course, that these animals are unaware of even the simplest mathematical calculation, let alone logarithmic spirals. So how is it that the creatures in question can know that this is the best way for them to grow? How do these animals, that some scientists describe as "primitive," know that this is the ideal form for them? It is impossible for growth of this kind to take place in the absence of a consciousness or intellect. That consciousness exists neither in mollusks nor, despite what some scientists would claim, in nature itself. It is totally irrational to seek to account for such a thing in terms of chance. This design can only be the product of a superior intellect and knowledge, and belongs to Almighty Allah, the Creator of all things:
"My Lord encompasses all things in His knowledge so will you not pay heed?" (Surat al-An'am, 80)
Growth of this kind was described as "gnomic growth" by the biologist Sir D'Arcy Thompson, an expert on the subject, who stated that it was impossible to imagine a simpler system, during the growth of a seashell, than which was based on widening and extension in line with identical and unchanging proportions. As he pointed out, the shell constantly grows, but its shape remains the same. (10)
One can see one of the best examples of this type of growth in a nautilus, just a few centimetres in diameter. C. Morrison describes this growth process, which is exceptionally difficult to plan even with human intelligence, stating that along the nautilus shell, an internal spiral extends consisting of a number of chambers with mother-of-pearl lined walls. As the animal grows, it builds another chamber at the spiral shell mouth larger than the one before it, and moves forward into this larger area by closing the door behind it with a layer of mother-of-pearl. (11)
The scientific names of some other marine creatures with logarithmic spirals containing the different growth ratios in their shells are:
Haliotis Parvus, Dolium Perdix, Murex, Fusus Antiquus, Scalari Pretiosa, Solarium Trochleare.
Ammonites, extinct sea animals that are today found only in fossil form, too, had shells developing in logarithmic spiral form.
Growth in a spiral form in the animal world is not restricted to the shells of mollusks. Animals such as antelopes, goats and rams complete their horn development in spiral forms based on the golden ratio. (12)
The Golden Ratio in the Hearing and Balance Organ
The cochlea in the human inner ear serves to transmit sound vibrations. This bony structure, filled with fluid, has a logarithmic spiral shape with a fixed angle of ?=73°43´ containing the golden ratio.
Horns and Teeth That Grow in a Spiral Form
Examples of curves based on the logarithmic spiral can be seen in the tusks of elephants and the now-extinct mammoth, lions' claws and parrots' beaks. The eperia spider always weaves its webs in a logarithmic spiral. Among the micro-organisms known as plankton, the bodies of globigerinae, planorbis, vortex, terebra, turitellae and trochida are all constructed on spirals.
THE GOLDEN RATIO IN THE MICRO WORLD
Geometrical shapes are by no means limited to triangles, squares, pentagons or hexagons. These shapes can also come together in various ways and produce new three-dimensional geometrical shapes. The cube and the pyramid are the first examples that can be cited. In addition to these, however, there are also such three-dimensional shapes as the tetrahedron (with regular four faces), octahedron, dodecahedron and icosahedron, that we may never encounter in our daily lives and whose names we may never even have heard of. The dodecahedron consists of 12 pentagonal faces, and the icosahedron of 20 triangles. Scientists have discovered that these shapes can all mathematically turn into one another, and that this transformation takes place with ratios linked to the golden ratio.
Three-dimensional forms that contain the golden ratio are very widespread in micro-organisms. Many viruses have an icosahedron shape.
The best known of these is the Adeno virus. The protein sheath of the Adeno virus consists of 252 protein subunits, all regularly set out. The 12 subunits in the corners of the icosahedron are in the shape of pentagonal prisms. Rod-like structures protrude from these corners.
The first people to discover that viruses came in shapes containing the golden ratio were Aaron Klug and Donald Caspar from Birkbeck College in London in the 1950s. The first virus they established this in was the polio virus. The Rhino 14 virus has the same shape as the polio virus.
Why is it that viruses have shapes based on the golden ratio, shapes that it is hard for us even to visualise in our minds? A. Klug, who discovered these shapes, explains:
My colleague Donald Caspar and I showed that the design of these viruses could be explained in terms of a generalization of icosahedral symmetry that allows identical units to be related to each other in a quasi-equivalent way with a small measure of internal flexibility. We enumerated all the possible designs, which have similarities to the geodesic domes designed by the architect R. Buckminster Fuller. However, whereas Fuller's domes have to be assembled following a fairly elaborate code, the design of the virus shell allows it to build itself. (14)
Klug's description once again reveals a manifest truth. There is a sensitive planning and intelligent design even in viruses, regarded by scientists as "one of the simplest and smallest living things." (15) This design is a great deal more successful than and superior to those of Buckminster Fuller, one of the world's most eminent architects.
The dodecahedron and icosahedron also appear in the silica skeletons of radiolarians, single-celled marine organisms.
Structures based on these two geometric shapes, like the regular dodecahedron with feet-like structures protruding from each corner, and the
various formations on their surfaces make up the varying beautiful bodies of the radiolarians. (16)
As an example of these organisms, less than a millimetre in size, we may cite the icosahedron based Circigonia Icosahedra and the Circorhegma Dodecahedra with dodecahedron skeleton. (17)
The Golden Ratio in DNA
The molecule in which all the physical features of living things are stored, too, has been created in a form based on the golden ratio. The DNA molecule, the very program of life, is based on the golden ratio. DNA consists of two intertwined perpendicular helixes. The length of the curve in each of these helixes is 34 angstroms and the width 21 angstroms. (1 angstrom is one hundred millionth of a centimetre.) 21 and 34 are two consecutive Fibonacci numbers.
The Golden Ratio in Snow Crystals
The golden ratio also manifests itself in crystal structures. Most of these are in structures too minute to be seen with the naked eye. Yet you can see the golden ratio in snow flakes. The various long and short variations and protrusions that comprise the snow flake all yield the golden ratio. (18)
THE GOLDEN RATIO IN SPACE
In the universe there are many spiral galaxies containing the golden ratio in their structures.
The Golden Ratio in Physics
You encounter Fibonacci series and the golden ratio in fields that fall under the sphere of physics. When a light is held over two contiguous layers of glass, one part of that light passes through, one part is absorbed, and the rest is reflected. What happens is a "multiple reflection."
The number of paths taken by the ray inside the glass before it emerges again depends on the number of reflections it is subjected to. In conclusion, when we determine the number of rays that re-emerge, we find that they are compatible with the Fibonacci numbers.
The fact that a great many unconnected animate or inanimate structures in nature are shaped according to a specific mathematical formula is one of the clearest proofs that these have been specially designed. The golden ratio is an aesthetic rule well known and applied by artists.
Works of art based on that ratio represent aesthetic perfection. Plants, galaxies, micro-organisms, crystals and living things designed according to this rule imitated by artists are all examples of Allah's superior artistry. Allah reveals in the Qur'an that He has created all things with a measure. Some of these verses read:
… Allah has appointed a measure for all things. (Surat at-Talaq, 3)
… Everything has its measure with Him. (Surat ar-Ra'd, 8)


1- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 155.
2- Guy Murchie, The Seven Mysteries of Life, First Mariner Boks, New York, pp. 58-59.
3- J. Cumming, Nucleus: Architecture and Building Construction, Longman, 1985.
4- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 87.
5- A. L. Goldberger, et al., "Bronchial Asymmetry and Fibonacci Scaling." Experientia, 41 : 1537, 1985.
6- E. R. Weibel, Morphometry of the Human Lung, Academic Press, 1963.
7- William Charlton, Aesthetics: An Introduction, Hutchinson University Library, London, 1970.
8- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 77.
9- "The 'Golden' spirals and 'pentagonal' symmetry in the alive Nature," online at: http://www.goldenmuseum.com/index_engl.html
10- D'Arcy Wentworth Thompson, On Growth and Form, C.U.P., Cambridge, 1961.
11- C. Morrison, Along The Track, Withcombe and Tombs, Melbourne.
12- "The 'Golden' spirals and 'pentagonal' symmetry in the alive Nature," online at: http://www.goldenmuseum.com/index_engl.html
13- J. H. Mogle, et al., "The Stucture and Function of Viruses," Edward Arnold, London, 1978.
14- A. Klug, "Molecules on Grand Scale," New Scientist, 1561:46, 1987.
15- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 82.
16- Mehmet Suat Bergil, Doðada/Bilimde/Sanatta, Altýn Oran (The Golden Ratio in Nature/Science/Art), Arkeoloji ve Sanat Yayinlari, 2nd Edition, 1993, p. 85.
17- For bodies of radiolarians, see H. Weyl, Synnetry, Princeton, 1952.
18- Emre Becer, "Biçimsel Uyumun Matematiksel Kuralý Olarak, Altýn Oran" (The Golden Ratio as a Mathematical Rule of Formal Harmony), Bilim ve Teknik Dergisi (Journal of Science and Technology), January 1991, p.16.
19- V.E. Hoggatt, Jr. and Bicknell-Johnson, Fibonacci Quartley, 17:118, 1979.

 

Source: http://harunyahya.com 

 

Please watch this video:

Golden Ratio in Human Body

 

 

Thursday, July 11, 2013

The most beautiful and famous Mosques around the world

মুসলিম স্থাপত্যের অনুপম নিদর্শন মসজিদে নববী

মুসলিম স্থাপত্যের অনুপম নিদর্শন মসজিদে নববী

মসজিদে নববী মানে নবীর মসজিদ। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) মদিনা শরিফে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। পবিত্র কাবা শরিফ মসজিদে হারামের পরেই মদিনা মসজিদের অবস্থান। মহানবীর হিজরতের আগ পর্যন্ত মদিনার নাম ছিল ইয়াসরিব। মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) ইয়াসরিবের নাম পাল্টে রাখেন মদিনা। হিজরতের পর মুসলমানদের নামাজের জন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) কর্তৃক নির্মিত হয় মদিনা মসজিদ। ৬২২ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরের পর থেকে শুরু হয়ে ৬২৩ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মদিনা মসজিদের নির্মাণ কাল নির্ধারণ করা হয়।
 নির্মাণপ্রক্রিয়া
মুহাম্মদ(সা:) মদিনা মসজিদের নির্মাণের জন্য নাজ্জার গোত্রের সাহল ও সোহাইল নামক দুই জন বালকের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় জমি ক্রয় করেন। এর ক্ষুদ্র একটি অংশে বাসস্থান নির্মাণ করতঃ বাকী অংশে মদিনা মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রতিটি কোণ থেকে তীর নিক্ষেপ করে যে পরিমাণ জায়গা পাওয়া গেল তা হলো একটি ক্ষেত্র। বর্গের প্রতিটি বাহুর পরিমাণ দাৎড়ালো ১০০ হাত বা ৫৬ গজ। অর্থাৎ মদিনা মসজিদের প্রাথমিক আয়তন ছিল ১০০*১০০ হাত বা ৫৬*৫৬ গজ। মসজিদের ভিত্তি ও দেয়ালের নিম্নভাগ ৩ হাত পর্যন্ত প্রস্তর নির্মিত ছিল। প্রথম পর্যায়ে মদিনা মসজিদ রৌদ্র-শুষ্ক ইট দ্বারা নির্মিত হয়। এই রৌদ্র-শুষ্ক ইট বাকী আল-খাবখাবা উপত্যাকা হতে আনিত কাদা দ্বারা তৈরি হয়েছিল। তখন মদিনা মসজিদের দেয়াল ছিল ৭ হাত উঁচু। ছাদকে শক্তিশালী ও মজবুত রাখার জন্য মদিনা মসজিদের ৩৬টি খেজুর গাছকে স্তম্ভ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। মসজিদের ছাদ নির্মিত হয়েছিল খেজুর পাতা দিয়ে। ছাদকে সুন্দর করার জন্য, রৌদ্র ও বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য খেজুর পাতার উপর কাঁদামাটির আস্তরণ লেপে দেয়া হয়েছিল। সে সময় মদিনা মসজিদে প্রবেশের জন্য ৩টি দরজা ছিল। প্রধান প্রবেশ পথটি ছিল দক্ষিণ দিকে যা দিয়ে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করতেন ও বাহির হতেন। পশ্চিম দেয়ালে ছিল মসজিদের দ্বিতীয় প্রবেশ পথ যা "বাবে রহমত" নামে পরিচিত। তৃতীয় প্রবেশ পথটি ছিল পূর্ব দেয়ালে যা দিয়ে মুহাম্মদ (সা:) এ মসজিদে প্রবেশ করতেন। এ জন্য এটির নাম হয় "বাব উন নবী", ঐতিহাসিক উইনসিংকের মতে, মদিনা মসজিদের দরজা প্রস্তর নির্মিত ছিল। মদিনা মসজিদেই সর্ব প্রথম মেহরাব, মিম্বার, আজান দেয়ার স্থান বা মিনার ও ওজুর স্থান সংযোজন করা হয়। বর্তমানে মদিনা মসজিদে আগের চেয়ে অনেক সম্প্রসারিত। সম্পূর্ণ নতুন নকশার ভিত্তিতে এটিকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মুসল্লীর নামাযের সুব্যবস্থা করা হয়েছে। 
সংস্কার ও সম্প্রসারণ

মদিনা মসজিদ বা মসজিদে নববী মুসলমান শাসকদের দ্বারা বহুবার সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। মুহাম্মদ (সা:) ওফাতের পর হযরত ওমর (রা:) ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে মসজিদে রববীর সম্প্রসারণ করেন। তিনি মসজিদটি উত্তর দিকে ৩০ হাত, দক্ষিণ দিকে ১০ হাত, পশ্চিম দিকে ২০ হাত সম্প্রসারণ করেন। হযরত ওমর (রা:) এর সময় মসজিদের পরিমাণ দাঁড়ায় উত্তর-দক্ষিণে ১৪০ হাত, পূর্ব-পশ্চিমে ১২০ হাত। হযরত ওসমান (রা:) এর সময় ৬৪৬-৬৪৭ খ্রিস্টাব্দে খেজুরপাতার পরিবর্তে ছাদে সেগুণ কাঠ ব্যবহার করা হয়। ছাদের আকার দাঁড়ায় ১৬০*১৩০ হাত। এ সময় সম্প্রসারিত হয়ে মসজিদের আকার দাঁড়ায় উত্তর দক্ষিণে ১৬০ হাত এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১৫০ হাত। খলিফা আল ওয়ালিদের সময় মদিনা মসজিদটি আধুনিক ইমারতে পরিণত হয়। ওয়ালিদ ৭০৭ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে মসজিদে নববীকে সাজিয়ে তোলেন। তাঁর সময় মসজিদে নববীর পরিমাপ দাঁড়ায় ২০০*২০০ হাত। ৭০৭ খ্রিস্টাব্দে সর্ব প্রথম মদিনা মসজিদের চারকোণে ৪টি মিনার নির্মাণ করেন আল ওয়ালিদ। তখন প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ছিল ৫০ হাত এবং প্রস্থে ছিল ৮ হাত। খলিফা মাহদী ৭৭৫-৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি সম্প্রসারণ করেন ৩০০*৩০০ হাত। আর মামলুক সুলতান কয়েত-বে মসজিদে নববীতে গম্বুজ প্রতিষ্ঠিত করেন। এতে গম্বুজ করা হয় ১৪৮১ খ্রিষ্টাব্দে। গম্বুজ সবুজ রং-এর আস্তরণ দিয়েছিলেন ওসমানী সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দে। বর্তমান আধুনিকায়নে মসজিদ-এ নববীর রূপদান করেন সৌদি বাদশাহ আব্দুল আজিজ ইবনে সউদ। এর পরিকল্পনা করা হয় ১৯৪৮ খ্রীস্টাব্দে। ১৯৫৩-১৯৫৫ সাল নাগাদ মসজিদ আধুনিকায়ন করা হয়। বিশালকার মসজিদে নববীর সমস্ত রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব সৌদি রাজ পরিবারের।
জিয়ারত 
ইসলামে ফজিলত লাভের উদ্দেশ্যে তিন মসজিদে ভ্রমণ করার অনুমোদন আছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো মক্কা মুকাররমা বা কাবা শরীফ (সৌদি আরব)। দ্বিতীয়টি হচ্ছে মসজিদ আল-আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস : ইসলামের প্রথম কিবলা (ফিলিস্তিন)। তৃতীয়টি হলো মদীনা আল-মুনাওয়ারার মসজিদে নববী : নবীজিকে যেখানে চির শয়নে শায়িত করা হয়েছে। মদীনা নবীর শহর, একে আরবিতে বলা হয় ‘মদীনাতুন নবী।’ আর মদীনার প্রাণকেন্দ্র হলো ‘মসজিদে নববী।’ মদীনার ৯৯টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) মদীনার বরকতের জন্য দোয়া করেছেন, একে হারাম বা সম্মানিত ঘোষণা করেছেন।
* হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, ঘর থেকে অজু করে মসজিদে কুবায় গিয়ে নামাজ পড়লে একটি উমরাহ্র সওয়াব পাওয়া যায়। মসজিদে নববী থেকে সামান্য দূরে ইসলামের ১ম মসজিদ কুবা অবস্থিত।
* মসজিদে নববীর ভেতরে স্বয়ংক্রিয় ছাদের ব্যবস্থা আছে, যা দিনের বেলা সুইচের মাধ্যমে খুলে দেওয়া হয় আর রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মসজিদে নববীতে নারীদের জন্য আলাদা নামাজ পড়ার জায়গা আছে। ভেতরে কিছুদূর পরপর পবিত্র কোরআন মজিদ রাখা আছে, আর পাশে আছে জমজম পানি খাওয়ার ব্যবস্থা।
*পাশেই ‘জান্নাতুল বাকি’ গোরস্তান। এখানে হযরত ফাতেমা (রা.), বিবি হালিমা (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) সহ অগণিত সাহাবায়ে কিরামের কবর রয়েছে। এর একপাশে নতুন কবর হচ্ছে প্রত্যহ। এখানে শুধু একটি পাথরের খন্ড দিয়ে চিহ্নিত করা আছে একেকটি কবর।
* মসজিদে নববীর উত্তর দিকের গেট দিয়ে বেরিয়েই সাহাবাদের মসজিদ। পাশাপাশি দু’টি এবং একটি একটু দূরে একই ডিজাইনে করা তিনটি মসজিদ। এগুলোকে ‘সাহাবা মসজিদ’ বলা হয়। হযরত আলী, ওমর ফারুক ও আবু বকর (রাহ.) মসজিদ।
* মসজিদে নববীতে সালাত আদায় ও দোয়া করার উদ্দেশ্যেই মদীনায় গমন এবং সালাত আদায় করে রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারত করা ও সালাম পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের থাকে।
* জিয়ারত ও নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে মদীনায় যাওয়া সুন্নত। মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার ফজিলত বেশি।
* মসজিদে নববীতে জিয়ারতের জন্য ইহরাম বাঁধতে বা তালবিয়া পড়তে হয় না। তবে মদীনা থেকে যদি মক্কায় আবার আসতে হয়, তাহলে মিকাত বীর আলী পার হলে ইহরাম বেঁধে আসতে হবে।

Watch these Video:




Same Label's Other Link
http://isignbd.blogspot.com/2013/09/blog-post_18.html

এক অসাধারণ #না’তসহ দরূদ - বালাগাল উলা বি-কামালিহি: ইতিহাস, অনুবাদ ও তাৎপর্য