Tuesday, September 10, 2013

কোরআনের ভাষ্যমতে মক্কা একটি নিরাপদ নগরী, তো সেখানে দুর্ঘটনা কেন ঘটে?

নিরাপত্তা’র ব্যখ্যায় আজো পর্যন্ত কোন তাফসীরবেত্তা এ কথা বলেন নি যে, মক্কা ও হারামের নিরাপদ হওয়ার অর্থ-‘মক্কায় মনুষ্যসৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না’। বরং অন্য দশটি শহরের মতো মক্কাতেও এসব ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি কা’বাকেও স্পর্শ করতে পারে। যেমনটি ইতিপূর্বে একাধিকবার ঘটেছেও বটে। সুতরাং সেসবের সাথে কুরআনে বর্ণিত নিরাপত্তার ঘোষণার কোন সাংঘর্ষিকতা নাই।
মক্কায় কাল তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল, সেই সাথে বইছিল প্রচণ্ড বাতাস। এরই মাঝে ক্রেন ভেঙ্গে ঘটে গেলো মক্কার ইতিহাসের পঞ্চম বড় দূর্ঘটনা। আবরাহার হস্তি বাহিনীর আক্রমনের পর অত্যাচারী শাসক হাজ্জাজ বিন ইউসুফের যুগে মক্কায় ঘটেছিল দ্বিতীয় হতাহতের ঘটনা। যাতে হাজ্জাজের আক্রমনে একজন সাহাবীসহ বহু লোক নিহত হন। আর তৃতীয় হতাহতের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে- শিয়াদের বিদ্রোহের সময়। তখনও বহু মানুষ হতাহত হয়েছ। এরপর ১৯৮৯ সালে দুইটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফলে মক্কায় ঘটেছিল চতুর্থতম আরেকটি বড় দুর্ঘটনা। এতে একজন নিহত ও ১৬জন আহত হন। আর পঞ্চম অথচ আকারে সবচে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে গেলো ১১ সেপ্টেম্ব ২০১৫। যাতে এখনো পর্যন্ত ১৩২জন নিহত ও ১৮৪জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্যের হ্রদয়ে রক্ষক্ষরণ শুরু হয়েছে, নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

আল্লাহ তাআলা কুরআনের একাধিক জায়গায় মক্কাকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা দিয়েছেন। তবে কেন মক্কায় এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটলো এবং কেন এমন হতাহতের সংবাদ এলো? সম্প্রতি ক্রেন ভেঙ্গে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর এই প্রশ্নটি হয়তো বহু মানুষের মনেই জাগ্রত হয়েছে। সুরা আলে ইমরানের ৯৭ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন –‘যে ব্যক্তি সেখানে (মক্কার হারাম) প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে’। সুরাতুল আনকাবুতের (আয়াত নং ৬৭) আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-‘তারা কি দেখে না যে, আমি (মক্কা নগরীকে) একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল করেছি। অথচ এর চতুপার্শ্বে যারা আছে, তাদের উপর আক্রমণ করা হয়’। সুরা তীনে আল্লাহ তাআলা মক্কাকে নিরাপদ শহর হিসেবে অভিহিত করেছেন। সুরা বাকারায় (আয়াত ১২৫) আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-‘আর স্মরণ করো তখনকার কথা যখন আমি এই গৃহকে (কাবা) লোকদের জন্য কেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল গণ্য করেছিলাম’।
সম্প্রতি সৌদি আরবের মক্কায় ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনাটি নিয়ে যে বা যারাই এমন প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, কুরআনে বর্ণিত উপরোল্লেখিত মক্কা ও মক্কার মসজিদকে ‘নিরাপদ’ বলে আখ্যায়িত করার বিখ্যাত কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে। ব্যাখ্যাগুলো নিন্মরূপ-
১. আয়াতে উল্লেখিত নিরাপত্তা বলতে জাহেলী যুগের নিরাপত্তার কথা বুঝানো হয়েছে। তখন হারামে কেউ প্রবেশ করলে আর তাকে কেউ কোন ধরণের আক্রমন করতো না। অনেকে সাধারণ অর্থে হারামে প্রবেশকারীর নিরাপদ থাকার অর্থ করেছেন। অর্থাৎ হারামকে আল্লাহ তা’আলা এতোটা মর্যাদা ও গাম্ভীর্য দান করেছেন যে, কোন খুনির কাছ থেকেও কেউ সেখানে খুনের বদলা নিয়ে নিজের হাত রক্তে রাঙ্গাতে চায় না।
২. কোন কোন তাফসীরবেত্তার মতে হারাম শরীফের নিরাপত্তার মানে হলো, মানুষের গুনাহের ফলে আল্লাহ প্রদত্ত যে আযাব-গজব নাজিল হয়ে থাকে, তা থেকে মক্কার এই মসজিদ নিরাপদ থাকবে। (এই দু’টি ব্যখ্যা ইমাম তাবারীর তাফসীর গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।) যেমনটি (সুরাতুল বাকারা ১২৬ নং আয়াতে) ইবরাহিম [আ.] দু’আ করেছিলেন।
৩. কেয়ামতের পূর্বলগ্নে পৃথিবির কোন শহর ও জনপদ দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে না। প্রতিটি স্থানে সে হানা দিবে। কিন্তু মক্কা (এবং মদীনা) নগরীতে সে প্রবেশ করতে পারবে না। এমর্মে সহীহ বোখারী ও মুসলিমে একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এর আলোকে অনেক মুফাসসির বলেন-মক্কা ও তাতে প্রবেশ কারীর নিরাপত্তা বলতে মনবিতিহাসের সবচে বড় ফিতনা দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকার কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে।
৪. অনেকের মতে, এখানে ‘সংবাদ সূচক শব্দ’ ব্যবহার করা হলেও উদ্দেশ্য নির্দেশ জারি করা। যা কুরআনের বহুল প্রচলিত ও প্রশিদ্ধ একটি পদ্ধতি। উদ্দেশ্য হলো, সাশকগণ যেন হারামে প্রবেশকারীদের কোন প্রকার অনিষ্ট সাধন না করেন, বরং তাদের নিরাপত্তা বিধান করেন। ইমাম জাসসাস সহ অনেকেই এমনটি ইঙ্গিত করেছেন।
৫. অনেকে বলেছেন, মক্কার হারামে প্রবেশকারীকে নিরাপদ বলার অর্থ হলো, সেখানে কোনরূপ দণ্ড বাস্তবায়ন চলবে না। সুতরাং সেখানে কোন খুনী বা কাফেরকে হত্যা করা যাবে না, চোরের হাত কাটা যাবে না ইত্যাদি।
৬. বিগত ৫ হাজার বছরে মক্কা কখনো বহির্শক্তি দ্বারা আক্রান্ত হয় নি। ইবরাহিম [আ.] -এর দোআর ভিত্তিতে সেই দিক থেকে (বহির্শক্তির আক্রমন ও দখল হতে) নিরাপদ রাখার অর্থও হতে পারে। সুরাতুল আনকাবুতের ৬৭ নং আয়াতে এদিকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
মোদ্দাকথা হলো, নিরাপত্তা’র ব্যখ্যায় আজো পর্যন্ত কোন তাফসীরবেত্তা এ কথা বলেন নি যে, মক্কা ও হারামের নিরাপদ হওয়ার অর্থ-‘মক্কায় মনুষ্যসৃষ্ট কিংবা প্রাকৃতিক কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না’। বরং অন্য দশটি শহরের মতো মক্কাতেও এসব ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি কা’বাকেও স্পর্শ করতে পারে। যেমনটি ইতিপূর্বে একাধিকবার ঘটেছেও বটে। সুতরাং সেসবের সাথে কুরআনে বর্ণিত নিরাপত্তার ঘোষণার কোন সাংঘর্ষিকতা নাই।
– আহমাদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ দেলোয়ার হুসাইন, ইসলামিক কালচারাল অফিস, দাম্মাম, সৌদি আরব

Friday, August 23, 2013

রাখে আল্লাহ মারে কে?-এর নিদর্শন হিসাবে কিছু সত্য ঘটনা

রাখে আল্লাহ মারে কে?

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ আগস্ট, ২০১৩

রাখে আল্লাহ মারে কে? জীবন-মৃত্যু নিয়ে নানা অভাবনীয় ঘটনার কারণেই সম্ভবত এ প্রবচনের উদ্ভব। তেমনি একটি অসাধারণ ঘটনা মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছাকাছি ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ঘটেছে পথচারী ও এলাকার লোকজনের। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘায়েল হয়েও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। ধাবমান বাসের ধাক্কায় মোটরবাইকটির দফারফা হলেও মোটরসাইকেলের চালক শরিফুল ইসলাম (৩০) যাত্রীবাহী বাসটির নিচে পড়েও নির্ঘাত মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন নিজ বুদ্ধিমত্তা, উপস্থিত বুদ্ধি এবং শারীরিক কসরতের কারণে।
শরিফের (মেট্রো হ-২৭-৬৩৯২) মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে ছিটকে পড়ে মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ছিটকে পড়েন শরিফও একইভাবে দুর্ঘটনাকারী বাসটির সামনে। পথচারীরা ‘হায় হায়’ করে ওঠেন সমস্বরে। এই ‘বুঝি সব শেষ’। কিন্তু না, চোখের পলকে সিনেমার ‘হিরোর’ মতো তার ওপরে ওঠে যাওয়া বাসটির নিচে চেচিসের একটি রড আঁকড়ে ধরেন যুবক শরিফ। মাথা বাঁচিয়ে মরিয়া হয়ে রড আঁকড়ে ধরে থাকলেও পলায়নপর বাসের চালক গাড়ি না থামিয়ে প্রায় ১০০ গজ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যায়। মাথা বাঁচলেও বাসটি শরিফকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ১০০ গজ। পথের লোকজনের আর্তচিৎকার এবং কিছু লোকের ধাওয়ার মুখে বাসটি থামাতে বাধ্য হন চালক। বাসের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় শরিফুল ইসলামকে। রাখে আল্লাহ মারে কে? প্রাণে বাঁচলেও আহত শরিফুল একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
  - See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2013/08/21/22243#sthash.wyTYhznL.dpuf

রাখে আল্লাহ মারে কে? জীবন-মৃত্যু নিয়ে নানা অভাবনীয় ঘটনার কারণেই সম্ভবত প্রবচনের উদ্ভব তেমনি একটি অসাধারণ ঘটনা মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছাকাছি ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ঘটেছে পথচারী এলাকার লোকজনের। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘায়েল হয়েও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। ধাবমান বাসের ধাক্কায় মোটরবাইকটির দফারফা হলেও মোটরসাইকেলের চালক শরিফুল ইসলাম (৩০) যাত্রীবাহী বাসটির নিচে পড়েও নির্ঘাত মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন নিজ বুদ্ধিমত্তা, উপস্থিত বুদ্ধি এবং শারীরিক কসরতের কারণে।
শরিফের (মেট্রো -২৭-৬৩৯২) মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে ছিটকে পড়ে মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ছিটকে পড়েন শরিফও একইভাবে দুর্ঘটনাকারী বাসটির সামনে। পথচারীরাহায় হায়করে ওঠেন সমস্বরে। এইবুঝি সব শেষ কিন্তু না, চোখের পলকে সিনেমারহিরোরমতো তার ওপরে ওঠে যাওয়া বাসটির নিচে চেচিসের একটি রড আঁকড়ে ধরেন যুবক শরিফ। মাথা বাঁচিয়ে মরিয়া হয়ে রড আঁকড়ে ধরে থাকলেও পলায়নপর বাসের চালক গাড়ি না থামিয়ে প্রায় ১০০ গজ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যায়। মাথা বাঁচলেও বাসটি শরিফকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ১০০ গজ। পথের লোকজনের আর্তচিৎকার এবং কিছু লোকের ধাওয়ার মুখে বাসটি থামাতে বাধ্য হন চালক। বাসের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় শরিফ ইসলামকে। রাখে আল্লাহ মারে কে? প্রাণে বাঁচলেও আহত শরিফুল একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

রাখে আল্লাহ মারে কে! 

২১ জুন (রেডিও তেহরান): চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের নিংঘাই শহরে বৃহস্পতিবার রাতে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুকন্যা পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে।

শিশুটি পাঁচতলায় অবস্থিত নিজ বাসভবনের জানালার কাছে খেলতে খেলতে যখন নিচে পড়ে যাচ্ছিল, তখন রাস্তায় অবস্থানরত কিছু মানুষ তার চিত্‌কার শুনতে পান। তারা তাত্‌ক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে উদ্ধারে এগিয়ে যান।

তারা একত্রে তাদের বাহু দিয়ে দ্রুতগতিতে নেমে আসা শিশুটিকে আটকে দেন। ফলে শিশুকন্যাটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় প্রাণে রক্ষা পায়। অবশ্য উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণকারী দু’ব্যক্তি হাতে চোট পান। শিশুটির চোখের পাশে সামান্য আঘাত লেগেছে।

কিকি নামের শিশুটির বাবা-মা জানিয়েছেন, সে ঘুমিয়ে পড়লে তাকে একাকি ঘরে রেখে তারা বাইরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘুম থেকে জেগে সে জানালা বেয়ে উপরে উঠে আসে।#
Source: http://bangla.irib.ir , শুক্রবার, 21 জুন 2013

মিরাকল বেবি, রাখে আল্লাহ মারে কে!


রাখে আল্লাহ মারে কে। শব্দটির যথার্থতা নতুন করে বিশ্বকে জানিয়েছে এক নবজাতক, বেবি-৫৯। একই সঙ্গে সে প্রমাণ করেছে সৃষ্টিকর্তা না চাইলে কাউকে কেউ মারতে পারে না। এক সন্তান নীতির দেশ চীনের জেইঝিয়াং প্রদেশের পূর্ব জিনহুয়া এলাকায় এমন-ই এক মিরাকল ঘটনার জন্ম দিয়েছে এক নবজাতক। সুয়ারেজের পাইপ লাইনে দুদিন আটকে থাকার পর তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনীর কর্মীরা। খবর ডেইলি মেইল’র।
দমকল কর্মীদের ধারণা, দু-তিন দিন আগে এই মানব শিশু জন্ম নিয়েছে। বেবি-৫৯ (ইনকিউবেটরের নম্বর অনুসারে নামকরণ করেছে বিশ্ব মিডিয়া)- কে তার জন্মদাতা ইচ্ছেকৃতভাবে পরিত্যক্ত করতে কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়। এক সন্তানের নীতি থাকায় চীনে অনেকেই ছেলে সন্তানের আশা করে থাকেন। সেক্ষেত্রে কারও মেয়ে সন্তান হলে পিতা-মাতা সেটিকে পরিত্যক্ত করে থাকে, যা অহরহই দেশটিতে খবর হতে দেখা যায়। কিন্তু নিয়তি ছেলে শিশু বেবি ৫৯- কে বাঁচিয়ে রাখে। সুয়ারেজের পাইপে কান্নার শব্দ পেয়ে শনিবার ওই ভবনের চার তলার এক মহিলা বিষয়টি দমকল বাহিনীকে জানায়। পরে সেটি সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার হলে সমালোচনার সঙ্গে দেশটিতে ব্যাপক ফেলে।
এরপর দীর্ঘ দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর দমকল বাহিনীর কর্মীরা টয়লেটের পাইপ লাইন থেকে তাকে উদ্ধার করে। শিশুটি এল-শেপ আকারে পাইপে আটকে ছিল। সেখান থেকে উদ্ধারের পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালের ইনকিউবেটরে নেওয়া হয়। সেখানে নার্সদের সেবায় এখন তার অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক।
যে পাইপ থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি মাত্র ৩ ইঞ্চি (১০ সেন্টিমিটার) ব্যাসের বলে চীনা পত্রিকাগুলো খবর দিয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা পুরো পাইপটি কেটে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে চিকিৎসকরা ৬ দশমিক ২ পাউন্ডের (২ কেজি ৮০০ গ্রাম) ওই শিশুটিকে নিরাপদে বের করে আনে। শিশুটির দুই হাত দুইপাশে পিন দিয়ে আটকানো ছিল এবং টয়লেটের নোংরা বর্জ্যে তার চোখ, মুখ ও শরীর ঢেকে ছিল। বের করার পর দেখা গেছে, শিশুটি মাথায় আঘাত পেয়েছে। তবে সে এখন আশঙ্কামুক্ত।
হাসপাতালে শিশুটি স্বাভাবিক আছে এবং তার জন্মদাতাকে খুঁজছে দেশটির পুলিশ। তবে এ ধরনের ঘৃণ্যকাজের জন্য শিশুটির মা-বাবার বিরুদ্ধে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই খবর প্রকাশের পর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষেরা দুধ, ডায়পারসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী পুজিয়াং হাসপালে পাঠাচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালে বিপুলসংখ্যক মানুষ এই মিরাকল বেবিকে দেখতে ভিড় করছেন।
এদিকে, হাসপাতালের নার্সরা জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর হাসপাতালে আনা হলে শিশুটির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিল। তবে এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল। জিনহুয়ার পুজিয়াং সরকারি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক বিভাগের নার্স জাহাং সঙ্গী বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি মাথার উপরিভাগে আঘাতে শিশুটি জখম হয়েছে। কিন্তু সবকিছুই এখন স্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘শিশুটির মাকে খুঁজে বের করা হয়েছে এবং এখন তিনি হাসপাতালে শিশুটির কাছেই আছেন।’
জাহাং সঙ্গী আরো বলেন, ‘তারা শুনেছেন, শিশুটির মাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তিনি এখন হাসপাতালে আছেন। আমি শুনেছি ২২ বছর বয়সী ওই মা এখন পর্যন্ত অবিবাহিত।’ তবে ঠিক কি কারণে ওই মা এ ধরনের কাজ করতে গেছেন তা তিনি জানাননি। তবে পুলিশের ধারণা, ওই তরুণী অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মা হয়েছেন। আর সেজন্যই এই ঘটনার জন্ম হয়েছে। চীনে সম্প্রতি এ ধরনের মা হওয়ার সংখ্যা বেড়ে গেছে বলেও পুলিশ দাবি করেছে।
নার্সরা জানান, এই ঘটনার পর তিন থেকে চারটি দল এসে শিশুটিকে দেখে বিভিন্ন পথ্য বাতলে গেছেন। এদের অনেকেই তাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দত্তক নিতে চাইছেন। তারা জানান, তারা শুধু শিশুটির যত্ন করছেন। তবে কবে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে তা তারা জানেন না।
তবে যেখানে শিশুটিকে পাওয়া গেছে, সেটি একটি ভবনের বিশ্রামকক্ষ। সেখানে পুলিশ রক্তজাতীয় গর্ভপাতের কোনো আলামত উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি সম্প্রতি সেখানে এই ধরনের কোনো সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনাও কোনো বাসিন্দা জানাতে পারেননি। শিশুটি কিভাবে টয়লেটের পাইপে গেছে, তা উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও দেশটির পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে একটি হত্যাচেষ্টার মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
পুজিয়াং পুলিশ ব্যুরো তাদের মাইক্রো ব্লগের অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, ‘শিশুটির মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তানাধীন। এর বেশি কিছু জানানো আপাতত সম্ভব নয়।’ এ ভিডিও পোষ্টটি দেখুন- মিরাকল বেবি, রাখে আল্লাহ মারে কে!

রাখে আল্লাহ মারে কে!

ডেইলি সিলেট ডট কম : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৩ |

 

ডেস্ক রিপোর্ট : ইরানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সর্বোচ্চ সাজা কার্যকরের পরও বিস্ময়করভাবে রক্ষা পেয়েছেন আলী রেজা নামে এক দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি। এদিকে তাকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। তবে এখন তার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন দেশটির বিচার বিভাগ।
দেশটির বিচারমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাদক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৩৭ বছর বয়সী আলী রেজাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকরের আদেশ দেন দেশটির আদালত। গত সপ্তাহে তার দ- কার্যকর করা হয়। ফাঁসির দড়িতে ১২ মিনিট ঝুলে ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ নেয়া হয় কারাগারের মর্গে।
দ- কার্যকরের পরদিন পরিবারের সদস্যরা লাশ আনতে মর্গে যান। সেখানে গিয়ে তারা আলী রেজাকে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেখেন। এরপর হাসপাতালে নেয়া হয়। তাকে কড়া নিরাপত্তায় সেখানে রাখা হয়েছে। তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে কোমায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইরানের বিচারমন্ত্রী মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি বলেন, মৃৃত্যুদ- কার্যকরের পরও কোনো দ-িত ব্যক্তি বেঁচে গেলে তাকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝোলানোর কোনো প্রয়োজন নেই।
বিচারমন্ত্রী বলেন, বেঁচে যাওয়া ওই ব্যক্তিকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হলে তা ইরানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হবে।
ইরানের বিচার বিভাগের ওপর দেশটির সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই আলী রেজার ভাগ্য দেশটির বিচার বিভাগই নির্ধারণ করবেন।
এদিকে আলী রেজাকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে খবর বের হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে না ঝোলানোর জন্য ইরান সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
দ্বিতীয় দফায় ফাঁসির কাষ্ঠে যাওয়া থেকে রেজাকে বাঁচাতে তার আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কাছেও ছুটে যান। 

Source: http://dailysylhet.com 

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিচারমন্ত্রী মোস্তফা পুর-মুহাম্মাদি বলেছেন, ফাঁসিতে ঝুলেও বেঁচে যাওয়া সেই ব্যক্তিকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝোলানো হবে না। তিনি আরো বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিটিকে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র দিয়ে রাখা হয়েছে। জীবিত থাকলে তাকে আর ফাঁসিতে ঝোলানো হবে না। 

Source: http://bangla.irib.ir 

 

রাখে আল্লাহ মারে কে?

ফেনী সংবাদদাতা(বৃহস্পতিবার 29 August 2013) : কুদরতের মহিমা বোঝে কার সাধ্য। কালে ভদ্রে এমন অবিশ্বাষ্য ঘটনা ঘটে যা দেখেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। শেষ পর্যন্ত বিশ্বাসীরা সেই ঘটনাকে আল্লাহর কুদরত বলে স্বীকার করতে বাধ্য হয় আর অবিশ্বাসীরা খোঁজে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। কিন্তু তাতে কোন কুল কিনারা খুঁজে পায় না।
তেমনি এক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা সদরে। চার বছর বয়সী ফুটফুটে শিশু জাহিদ হোসেন রূপক, পিতা কাতার প্রবাসী জহিরুল আলম পাঁচ তলা ভবনের ওপর নির্মিত পানির ট্যাংকের ওপর থেকে পিছলে পড়ে যায় একেবারে মাটিতে। স্থানীয় আল হেলাল একাডেমীর নিকটস্থ পাটোয়ারী ভিলা নামক উক্ত ভবনে রূপকরা বাস করে। দুষ্টুমি  করতে গিয়ে পানির ট্যাংক থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যাওয়ার পর সংজ্ঞাহীন রূপককে স্থানীয়রা দ্রুত সোনাগাজী হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখান থেকে ফেনী কসমোপলিটন হাসপাতালে নেয়া হলে হাসপাতালের নিউরোমেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডা. মোঃ আলাউদ্দিন তার চিকিৎসা করেন। রূপকের বাম হাতের কুনুইয়ের কাছে হাড়ে আঘাত লাগে এবং মাথার তালুতে তিনটি সেলাই দিতে হয়। এছাড়া তার শরীরে আর কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
গতকাল বুধবার সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ডা. আলাউদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার দীর্ঘ চিকিৎসা জীবনে এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা আর দেখেননি। এঘটনার সঠিক কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই, এক কথায় এটা একটি ‘মিরাকল’ বলে তিনি উল্লেখ করেন। হাসপাতালের এমডি ডা. এম.এ. মোমেন বলেন, শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে বহু লোক ভিড় করেছিল।


রাখে আল্লাহ মারে কে !

ঈদগাঁও প্রতিনিধি ॥

 ঈদগাঁওতে“ রাখে আল্লাহ মারে কে ?” প্রবাদটির আবার ও সত্যতা মিললো। বিকট আওয়াজে আকস্মিক বজ্রপাতের ছোবল থেকে প্রাণে রক্ষা পেলো স্থানীয় দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ৩ অক্টোবর ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া এসব ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝতে পারলো জীবন মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। জানা যায়, বুধবার দুপুরে ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে বিকট শব্দে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে ঈদগাঁওতে। বিকট আওয়াজের বজ্রপাত ঈদগাহ্‌ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও ঈদগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংযোগ স্থলে আঘাত হানে। বজ্রপাতের আঘাতে সংযোগ স্থানে অবস্থিত নারিকেল গাছটি মুহূতেই পুরে যায় এবং গাছে সংযুক্ত বিদ্যুৎ তার ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। অন্যদিকে একই বজ্রপাতের আঘাতে হাইস্কুল মার্কেটের ছাদে স্থাপিত একটি ডিজিটাল ব্যানার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ভয়াবহ এ বজ্রপাতের ছোবল থেকে ভাগ্যক্রমে প্রাণে রক্ষা পায় দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী। নবম শ্রেণির ছাত্রী শাকিলা শাবনুর আইরিন জানায়, বজ্রপাত তাদের শ্রেণির সামনে আঘাত হানলেও ভাগ্যক্রমে তারা সবাই অক্ষত রয়ে যায়। বিদ্যালয়ের সিনিয়র মোঃ আবু তাহের জানান, এ ঘটনায় ছাত্র/ছাত্রীরা আবার ও রাখে আল্লাহ্‌ মারে কে? প্রবাদের সত্যতা অনুধাবন করতে পারলো। 
Source: http://www.dainikazadi.org 

রাখে আল্লাহ মারে কে?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্ট\\ রেললাইনের ওপর বসে আছেন সত্তোরোধর্্ব এক বৃদ্ধা। ওই লাইনের ওপর দিয়েই আসছে ট্রেনের ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটি খুব কাছাকাছি চলে আসলেও বৃদ্ধাটি নড়াচড়া করছিলনা। পাশেই দাড়িয়ে থাকা লোকজন চিৎকার চেচামেচি করলেও তা কোনভাবেই কানে পৌছেনি চালক কিংবা বৃদ্ধার। ইঞ্জিনটি বৃদ্ধার ওপর দিয়ে চলে যায়। বৃদ্ধার নিশ্চিত মৃতু্য ভেবেই লোকজন এগিয়ে আসে। কিন্তু একি ওই বৃদ্ধা তখনও জীবিত। এভাবেই সত্তোরোধর্্ব বৃদ্ধার অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়ার কথা বললেন প্রত্যৰদশর্ী দীপক দাস। তিনি জানান, এ সময় অবশ্য কেউ ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি। কিছু সময় পর রম্নবেল, রাকেশ, ওমেশ, মাহফুজ নামে কয়েক যুবক আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে আখাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই বৃদ্ধার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। অনেকটা কঙ্কালসার ওই মহিলা হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন কথা বলতে পারেননি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন এলাকায়। ভৈরব থেকে শায়েসত্দাগঞ্জগামী বাল্লা লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন সান্টিং করে ফিরে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে। আহত বৃদ্ধার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। ঘটনার আরেক প্রত্যদর্শী রেলওয়ে পূর্বকলোনীর মুন্না জানান, ওই বৃদ্ধা ইঞ্জিনের ধাক্কা খেয়ে রেললাইনের দুই পাতের মাঝখানে পড়ে যান। ইঞ্জিনটি কিছু দূর এগিয়ে থামলে তাঁকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে। 

Date: 05/10/2010

Source: http://www.dailybrahmanbaria.com 

 


"Sign of Rasulullah" Label's Other Link
http://isignbd.blogspot.com/2013/09/blog-post_18.html

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ আগস্ট, ২০১৩

রাখে আল্লাহ মারে কে? জীবন-মৃত্যু নিয়ে নানা অভাবনীয় ঘটনার কারণেই সম্ভবত এ প্রবচনের উদ্ভব। তেমনি একটি অসাধারণ ঘটনা মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছাকাছি ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ঘটেছে পথচারী ও এলাকার লোকজনের। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘায়েল হয়েও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। ধাবমান বাসের ধাক্কায় মোটরবাইকটির দফারফা হলেও মোটরসাইকেলের চালক শরিফুল ইসলাম (৩০) যাত্রীবাহী বাসটির নিচে পড়েও নির্ঘাত মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন নিজ বুদ্ধিমত্তা, উপস্থিত বুদ্ধি এবং শারীরিক কসরতের কারণে।
শরিফের (মেট্রো হ-২৭-৬৩৯২) মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে ছিটকে পড়ে মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ছিটকে পড়েন শরিফও একইভাবে দুর্ঘটনাকারী বাসটির সামনে। পথচারীরা ‘হায় হায়’ করে ওঠেন সমস্বরে। এই ‘বুঝি সব শেষ’। কিন্তু না, চোখের পলকে সিনেমার ‘হিরোর’ মতো তার ওপরে ওঠে যাওয়া বাসটির নিচে চেচিসের একটি রড আঁকড়ে ধরেন যুবক শরিফ। মাথা বাঁচিয়ে মরিয়া হয়ে রড আঁকড়ে ধরে থাকলেও পলায়নপর বাসের চালক গাড়ি না থামিয়ে প্রায় ১০০ গজ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যায়। মাথা বাঁচলেও বাসটি শরিফকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ১০০ গজ। পথের লোকজনের আর্তচিৎকার এবং কিছু লোকের ধাওয়ার মুখে বাসটি থামাতে বাধ্য হন চালক। বাসের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় শরিফুল ইসলামকে। রাখে আল্লাহ মারে কে? প্রাণে বাঁচলেও আহত শরিফুল একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2013/08/21/22243#sthash.wyTYhznL.dpuf
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ আগস্ট, ২০১৩

রাখে আল্লাহ মারে কে? জীবন-মৃত্যু নিয়ে নানা অভাবনীয় ঘটনার কারণেই সম্ভবত এ প্রবচনের উদ্ভব। তেমনি একটি অসাধারণ ঘটনা মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছাকাছি ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ঘটেছে পথচারী ও এলাকার লোকজনের। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘায়েল হয়েও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। ধাবমান বাসের ধাক্কায় মোটরবাইকটির দফারফা হলেও মোটরসাইকেলের চালক শরিফুল ইসলাম (৩০) যাত্রীবাহী বাসটির নিচে পড়েও নির্ঘাত মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন নিজ বুদ্ধিমত্তা, উপস্থিত বুদ্ধি এবং শারীরিক কসরতের কারণে।
শরিফের (মেট্রো হ-২৭-৬৩৯২) মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে ছিটকে পড়ে মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ছিটকে পড়েন শরিফও একইভাবে দুর্ঘটনাকারী বাসটির সামনে। পথচারীরা ‘হায় হায়’ করে ওঠেন সমস্বরে। এই ‘বুঝি সব শেষ’। কিন্তু না, চোখের পলকে সিনেমার ‘হিরোর’ মতো তার ওপরে ওঠে যাওয়া বাসটির নিচে চেচিসের একটি রড আঁকড়ে ধরেন যুবক শরিফ। মাথা বাঁচিয়ে মরিয়া হয়ে রড আঁকড়ে ধরে থাকলেও পলায়নপর বাসের চালক গাড়ি না থামিয়ে প্রায় ১০০ গজ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যায়। মাথা বাঁচলেও বাসটি শরিফকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ১০০ গজ। পথের লোকজনের আর্তচিৎকার এবং কিছু লোকের ধাওয়ার মুখে বাসটি থামাতে বাধ্য হন চালক। বাসের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় শরিফুল ইসলামকে। রাখে আল্লাহ মারে কে? প্রাণে বাঁচলেও আহত শরিফুল একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2013/08/21/22243#sthash.wyTYhznL.dpuf
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ আগস্ট, ২০১৩

রাখে আল্লাহ মারে কে? জীবন-মৃত্যু নিয়ে নানা অভাবনীয় ঘটনার কারণেই সম্ভবত এ প্রবচনের উদ্ভব। তেমনি একটি অসাধারণ ঘটনা মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছাকাছি ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ঘটেছে পথচারী ও এলাকার লোকজনের। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘায়েল হয়েও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। ধাবমান বাসের ধাক্কায় মোটরবাইকটির দফারফা হলেও মোটরসাইকেলের চালক শরিফুল ইসলাম (৩০) যাত্রীবাহী বাসটির নিচে পড়েও নির্ঘাত মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন নিজ বুদ্ধিমত্তা, উপস্থিত বুদ্ধি এবং শারীরিক কসরতের কারণে।
শরিফের (মেট্রো হ-২৭-৬৩৯২) মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে ছিটকে পড়ে মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ছিটকে পড়েন শরিফও একইভাবে দুর্ঘটনাকারী বাসটির সামনে। পথচারীরা ‘হায় হায়’ করে ওঠেন সমস্বরে। এই ‘বুঝি সব শেষ’। কিন্তু না, চোখের পলকে সিনেমার ‘হিরোর’ মতো তার ওপরে ওঠে যাওয়া বাসটির নিচে চেচিসের একটি রড আঁকড়ে ধরেন যুবক শরিফ। মাথা বাঁচিয়ে মরিয়া হয়ে রড আঁকড়ে ধরে থাকলেও পলায়নপর বাসের চালক গাড়ি না থামিয়ে প্রায় ১০০ গজ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যায়। মাথা বাঁচলেও বাসটি শরিফকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ১০০ গজ। পথের লোকজনের আর্তচিৎকার এবং কিছু লোকের ধাওয়ার মুখে বাসটি থামাতে বাধ্য হন চালক। বাসের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় শরিফুল ইসলামকে। রাখে আল্লাহ মারে কে? প্রাণে বাঁচলেও আহত শরিফুল একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2013/08/21/22243#sthash.w
রাখে আ
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ আগস্ট, ২০১৩

রাখে আল্লাহ মারে কে? জীবন-মৃত্যু নিয়ে নানা অভাবনীয় ঘটনার কারণেই সম্ভবত এ প্রবচনের উদ্ভব। তেমনি একটি অসাধারণ ঘটনা মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছাকাছি ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ঘটেছে পথচারী ও এলাকার লোকজনের। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘায়েল হয়েও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। ধাবমান বাসের ধাক্কায় মোটরবাইকটির দফারফা হলেও মোটরসাইকেলের চালক শরিফুল ইসলাম (৩০) যাত্রীবাহী বাসটির নিচে পড়েও নির্ঘাত মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন নিজ বুদ্ধিমত্তা, উপস্থিত বুদ্ধি এবং শারীরিক কসরতের কারণে।
শরিফের (মেট্রো হ-২৭-৬৩৯২) মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে ছিটকে পড়ে মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ছিটকে পড়েন শরিফও একইভাবে দুর্ঘটনাকারী বাসটির সামনে। পথচারীরা ‘হায় হায়’ করে ওঠেন সমস্বরে। এই ‘বুঝি সব শেষ’। কিন্তু না, চোখের পলকে সিনেমার ‘হিরোর’ মতো তার ওপরে ওঠে যাওয়া বাসটির নিচে চেচিসের একটি রড আঁকড়ে ধরেন যুবক শরিফ। মাথা বাঁচিয়ে মরিয়া হয়ে রড আঁকড়ে ধরে থাকলেও পলায়নপর বাসের চালক গাড়ি না থামিয়ে প্রায় ১০০ গজ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যায়। মাথা বাঁচলেও বাসটি শরিফকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ১০০ গজ। পথের লোকজনের আর্তচিৎকার এবং কিছু লোকের ধাওয়ার মুখে বাসটি থামাতে বাধ্য হন চালক। বাসের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় শরিফুল ইসলামকে। রাখে আল্লাহ মারে কে? প্রাণে বাঁচলেও আহত শরিফুল একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2013/08/21/22243#sthash.kyW6NK4a.dpuf
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ : ২১ আগস্ট, ২০১৩

রাখে আল্লাহ মারে কে? জীবন-মৃত্যু নিয়ে নানা অভাবনীয় ঘটনার কারণেই সম্ভবত এ প্রবচনের উদ্ভব। তেমনি একটি অসাধারণ ঘটনা মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ের কাছাকাছি ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ঘটেছে পথচারী ও এলাকার লোকজনের। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘায়েল হয়েও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। ধাবমান বাসের ধাক্কায় মোটরবাইকটির দফারফা হলেও মোটরসাইকেলের চালক শরিফুল ইসলাম (৩০) যাত্রীবাহী বাসটির নিচে পড়েও নির্ঘাত মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন নিজ বুদ্ধিমত্তা, উপস্থিত বুদ্ধি এবং শারীরিক কসরতের কারণে।
শরিফের (মেট্রো হ-২৭-৬৩৯২) মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে ছিটকে পড়ে মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ছিটকে পড়েন শরিফও একইভাবে দুর্ঘটনাকারী বাসটির সামনে। পথচারীরা ‘হায় হায়’ করে ওঠেন সমস্বরে। এই ‘বুঝি সব শেষ’। কিন্তু না, চোখের পলকে সিনেমার ‘হিরোর’ মতো তার ওপরে ওঠে যাওয়া বাসটির নিচে চেচিসের একটি রড আঁকড়ে ধরেন যুবক শরিফ। মাথা বাঁচিয়ে মরিয়া হয়ে রড আঁকড়ে ধরে থাকলেও পলায়নপর বাসের চালক গাড়ি না থামিয়ে প্রায় ১০০ গজ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যায়। মাথা বাঁচলেও বাসটি শরিফকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় ১০০ গজ। পথের লোকজনের আর্তচিৎকার এবং কিছু লোকের ধাওয়ার মুখে বাসটি থামাতে বাধ্য হন চালক। বাসের তলা থেকে উদ্ধার করা হয় শরিফুল ইসলামকে। রাখে আল্লাহ মারে কে? প্রাণে বাঁচলেও আহত শরিফুল একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
- See more at: http://www.jugantor.com/first-page/2013/08/21/22243#sthash.kyW6NK4a.dpuf
রাখে আল্লাহ মারে কে
রাখে আল্লাহ মারে কে

এক অসাধারণ #না’তসহ দরূদ - বালাগাল উলা বি-কামালিহি: ইতিহাস, অনুবাদ ও তাৎপর্য