Saturday, June 8, 2013

পাখিদের উড্ডয়ন: রহস্য ও প্রজ্ঞার V

পাখিদের উড্ডয়ন: রহস্য ও প্রজ্ঞার V

- ম্যাভেরিক

 


শীতের হিমেল হাওয়ায় ভেসে আসা অতিথি রাজহংস কিংবা সন্ধ্যায় নীড়ে ফেরা সরালীর ঝাঁকে যদি কখনো তাকান, দেখতে পাবেন V আকারে এগিয়ে চলছে পাখির দল।

কেন এই V আকারে ভেসে চলা? কারণটি কি এই, পাখিরা E বা G কিংবা অন্য কোনো বর্ণ ফুটিয়ে তুলতে পারে না আকাশে!

অধিকাংশ পাখি-বিশেষজ্ঞ (ornithologist) বিশ্বাস করেন, বিন্যাসটি সুদক্ষ উড্ডয়নের প্রয়োজনে গঠিত হয়, যদিও তারা এ ব্যাপারে অকাট্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি বহুদিন। এই শতাব্দীর একেবারে শুরুতে বিজ্ঞানীদের একটি দল ছোট বিমানের পেছন পেছন উড্ডয়নের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক ঝাঁক পেলিক্যানের উপর গবেষণা করে দেখতে পান, V বিন্যাসে উড়ার সময় পাখির হৃদস্পন্দন, একা একা উড়ার সময়কার হৃদস্পন্দনের চেয়ে কম থাকে। ধীরে ধীরে প্রমাণ মেলে পাখির বায়ুগতিবিদ্যা (aerodynamics) সংক্রান্ত নানা বিস্ময়কর তথ্যের:

উড্ডয়নের জন্য ঝাঁকের একটি পাখি যখন ডানা ঝাপটায়, এর ঠিক পেছনের পাখিটির উপর বায়ুর ঊর্ধ্বমুখী ঘূর্ণাবর্ত (vortex) সৃষ্টি হয়। ঊর্ধ্বচাপের সুবিধা কাজে লাগিয়ে পেছনের পাখিটি সামনেরটির চেয়ে একটু উপরে অবস্থান করে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কম শক্তি ব্যয় করেও ভেসে থাকে। এভাবে পাখির ঝাঁকটি একা একা উড্ডয়নে অতিক্রান্ত দূরত্বের চেয়ে ন্যূনতম ৭০ শতাংশ অতিরিক্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে!

যদি কোনো পাখি বিন্যাসের বাইরে চলে যায়, সাথে সাথে এটি বাতাসের অতিরিক্ত টান (drag) ও বাধা অনুভব করে। পরিবর্তনটি বুঝতে পেরে পাখিটি দ্রুত বিন্যাসে চলে আসে এবং সামনের পাখিটির কাছ থেকে সৃষ্ট উড্ডয়ন সুবিধা লাভ করে।

সামনের দলনেতা পাখিটি বাতাসের সবচেয়ে বেশি বাধা অনুভব করে, এবং ক্লান্ত হয়ে গেলে পাখা ঝাপটানোর বেগ কমিয়ে দিয়ে এটি ঝাঁকের পেছন দিকে সরে আসতে থাকে। পেছনের আরেকটি পাখি তখন নেতার স্থানটি গ্রহণ করে। মজার ব্যাপার হলো, V-এর দুই ডানার সবচেয়ে পেছনের পাখি দুটি আবার মাঝের পাখিগুলির চেয়ে বেশি টান অনুভব করে, ফলে ক্লান্তি লাঘবের জন্য এদেরও নিয়মিত স্থান পরিবর্তিত হতে থাকে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সব পাখি ঝাঁকের মাঝখানে থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা লাভ করে এবং অগ্রভাগে নেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি বাধার মুখোমুখি হয়।

V-বিন্যাস পাখিদের যোগাযোগ রক্ষার কাজটি সহজতর করে। এ বিন্যাসে পাখিরা পরস্পরের সাথে খুব চমৎকার ঐক্ষিক যোগযোগ (visual contact) বজায় রাখতে পারে, যা ঝাঁকটি সুসংহত, ঐক্যবদ্ধ রাখে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমার সময় এতে ঝাঁক থেকে পাখি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কমে যায়। এ ছাড়া পেছনের পাখি চিৎকার করে সামনের পাখিকে নিয়মিত উৎসাহ দিয়ে যায়, যাতে সামনের পাখি তার গতিবেগ বজায় রাখে।

কোনো পাখি অসুস্থ, শিকারীর গুলিতে আহত, কিংবা খুব ক্লান্ত হয়ে বিন্যাসের বাইরে চলে গেলে, তার সাথে আরো পাখি নেমে আসে সাহায্য ও নিরাপত্তার জন্য। এরা অসহায় পাখিটির সাথে থেকে যায় যতক্ষণ না সে সুস্থ হয় বা মারা যায়। তারপর তারা উড়ে মূল দলের কাছে পৌঁছে যায়, নতুবা অন্য কোনো দলের সাথে জুড়ে যায়, কিংবা নিজেরাই নতুন বিন্যাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করে।


কত অপার রহস্য ছড়িয়ে রেখেছেন স্রষ্টা! চারপাশে বিরাজমান সহমর্মিতার কত না নিদর্শন! পাখির কাছে বিজ্ঞান ও মানবতার কী গভীর প্রজ্ঞা!

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০০৯ 

মন্তব্য ও মন্তব্যের জবাব:

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: দারুণ লাগল। দেখেছি অনেক, কিন্তু ভাবি নি কখনও। দ্যা ক্রেনস আর ফ্লাইং সিনেমার প্রথম ও শেষ দৃশ্যে সারস পাখি ওড়ার এ রকম একটি দৃশ্য আছে। লেখক বলেছেন: হ্যাঁ, বেশ মজার। বায়ুগতিবিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা করছেন কিভাবে পাখির ঝাঁকের মতো এক ঝাঁক উড়োজাহাজের উড্ডয়নকে দক্ষ করা যায়। কিন্তু পাখি যত দ্রুত বায়ুর সূক্ষ্ম পরিবর্তনের সাথে উড্ডয়ন অ্যাডজাস্ট করতে পারে, তার এখনও বহু পেছনে অ্যারোডাইনামিক্স।
বিবেক সত্যি বলেছেন: কী যে ভালো লাগলো !! +++++  পাখির উড়ার কৌশল কে আল্লাহ একটি নিদর্শন আর জ্ঞাণীদের জন্য চিন্তার খোরাক হিসেবে বলে দিয়েছেন ।
 
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগলো পোস্ট টা পড়ে। অনেক কিছু জানলাম যা জানা ছিলোনা। আরো চাই এ ধরনের পোস্ট।
পাখিদের এই ওড়ার ব্যাপারে আরো একটি ইন্টারেস্টিং ব্যাপার জানি যেটা সেটা হল পাখির ঝাঁক ওড়বার সময় ফিবোনাক্কি সিরিজ মেনে চলে। মানে প্রথমে একটি পাখি, তারপরেও একটি, এরপর দু'টি, এরপর তিনটি- এভাবে ওড়ে। "পাখির কাছে বিজ্ঞান ও মানবতার কী গভীর প্রজ্ঞা! " খুব ভালো লেগেছে কথাটা। লেখক বলেছেন: শুভেচ্ছা। খুব ভালো লাগল আপনাকে দেখে। পাখিদের ফিবোনাচি সিরিজ মেনে চলার ব্যাপারটি আসলেই খুব চমকপ্রদ। নিশ্চয়ই খুব সচেতনভাবে কাজটি করে পাখিরা।
জানজাবিদ বলেছেন: কোরআনের একটা আয়াত আছে পাখীদের ওড়ার ব্যাপারে। কেউ যদি বলতে পারেন খুশী হবো।


নাজনীন১ বলেছেন: @ জানজাবিদ,সূরা নাহ্‌ল, আয়াত ৭৯ঃ
"Do they not see the birds held (flying) in the midst of the sky? None holds them but Allah [none gave them the ability to fly but Allah]. Verily, in this are clear proofs and signs for people who believe (in the Oneness of Allah)."
 েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: এই জগতে 'স্রষ্টা' কত অপার রহস্য ছড়িয়ে রেখেছেন তার সবটুকু আবিস্কার করা আসলেই মানুষের পক্ষে অসম্ভব। কি বিজ্ঞানময় আর সুনিপূন সেই স্রষ্টা!
পাখী নিয়ে গবেষণা করেই মানুষ বিমান আবিস্কার করেছিল। পাখী নিয়ে গবেষণা করলে হয়তো আরও অবেক রহস্য রেরিয়ে আসবে। কুরআনুল কারীম পাখী নিয়ে গবেষণা করতে বলেছে: ‍''তারা কি লক্ষ্য করে না (গবেষণা করে না) তাদের উর্ধ্বদেশে পাখীদের প্রতি, যা পাখা বিস্তার করে ও সংকুচিত করে? দয়াময় আল্লাহই তাদেরকে আকাশে স্থির রাখেন (পড়ে যায় না)। তিনি সর্ব বিষয়ে দ্রষ্টা''(সূরা মূলক: আয়াত- ১৯) লেখক বলেছেন: শুভেচ্ছা। আমার ব্লগে আপনার বিচরণ আনন্দময় হোক।প্রজ্ঞাময় স্রষ্টা আমাদের শ্রদ্ধাশীল জ্ঞান দান করুন, যাতে সৃষ্টিজগতের প্রতি আমাদের মমতা নিরন্তর বাড়ে। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সুখ শান্তিতে কাটুক জীবন।

নুভান বলেছেন: সত্যিই অসাধারন। পাখিদের এই উড্ডয়নকে পর্যাবেক্ষন করে গণিতের এক নতুন শাখার উৎপত্তি হয়েছে যার নাম PSO (Particle Swarm Optimization). ক্ল্যাসিক্যাল গানিতিক সমীকরণ সমাধানের পদ্ধতির চেয়ে এটা অনেক বেশী কার্যকর, এমন কি নিউরাল নেটওয়ার্ক এর চেয়েও, কারন এর প্রয়োগ খুব সহজ। রিসার্চ পেপারের কিছু লাইন তুলে দিলামঃ
"The birds may fly in different ways to search in the area. In the asynchronous scheme, the first bird flies a certain distance and in a certain direction based on his own experience and the known location of the best position found so far. When he is done flying, if his location is closer to the bread than the previous globally optimal position, he communicates this information to the second bird. (Otherwise, the global optimal location remains the same.) The second bird then uses this information to update his speed and position, and so on. Since in this method of searching an area the birds all update their speeds and directions at different times, it will be called asynchronous....A different method is obtained if all birds stop after flying in the same time interval, and communicate each other to get the current global best position. Once this communication is completed, the birds can update their directions and speeds based on their own history and the globally best information available, and fly again. This scheme will be called synchronous, as all of the birds update their information at the same time." রেফঃ Application of a Novel Parallel Particle Swarm Optimization tothe Design of Electromagnetic Absorbers Suomin Cui* and Daniel S. Weile     লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, নুভান ভাই, চমৎকার তথ্য দিলেন। 

Source: http://www.somewhereinblog.net 


Watch this Video

Geese Fly in V Formation Why? 
Comments: ksaALWAFi:  There is God made that

মুসলিম রোগী দেখতে দেখতে ইসলাম গ্রহণ


সম্প্রতি মার্কিন শিশু ও নারী বিশেষজ্ঞ ডা. ইউএস অরিভিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নিজের ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গে ডা. অরিভিয়া বলেন, আমি আমেরিকার একটি হাসপাতালে নারী ও শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করি। একদিন হাসপাতালে এক আরব মুসলিম নারী এলেন বাচ্চা প্রসবের জন্য। প্রসবের পূর্বমুহূর্তে তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। প্রসব মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে তাকে জানালাম, আমি বাসায় যাচ্ছি, আর আপনার বাচ্চা প্রসবের দায়িত্ব অর্পণ করে যাচ্ছি অন্য এক ডাক্তারের হাতে। মহিলা হঠাত্ কাঁদতে লাগলেন, দ্বিধা ও শঙ্কায় চিত্কার জুড়ে দিলেন, ‘না না, আমি কোনো পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য চাই না। আমি তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এ অবস্থায় তার স্বামী আমাকে জানালেন, সে চাইছে তার কাছে যেন কোনো পুরুষের আগমন না ঘটে। কারণ সে সাবালক হওয়া থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত তার আপন বাপ, ভাই ও মামা প্রভৃতি মাহরাম পুরুষ ছাড়া অন্য কেউ তার চেহারা দেখেনি। আমি হেসে উঠলাম, তারপর চরম বিস্ময় নিয়ে তাকে বললাম, অথচ আমি কিনা এমন এক নারী আমেরিকান হেন কোনো পুরুষ নেই, যা তার চেহারা দেখিনি। অতঃপর আমি তার আবেদনে সাড়া দিলাম।

বাচ্চা প্রসবের পরদিন আমি তাকে সাহস ও সান্ত্বনা দিতে এলাম। পাশে বসে তাকে জানালাম, প্রসব-উত্তর সময়ে দাম্পত্যমিলন অব্যাহত রাখার দরুন আমেরিকায় অনেক মহিলা অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ এবং সন্তান প্রসবঘটিত জ্বরে ভোগেন। অতএব আপনি এ সম্পর্ক স্থাপন থেকে কমপক্ষে ৪০ দিন বিরত রাখবেন। এ ৪০ দিন পুষ্টকর খাদ্য গ্রহণ ও শারীরিক পরিশ্রম থেকে দূরে থাকার গুরুত্বও তুলে ধরলাম তার সামনে। এটা করলাম আমি সর্বশেষ ডাক্তারি গবেষণার ফলাফলের নিরিখে।
অথচ আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে তিনি জানালেন, ইসলাম এ কথা বলে দিয়েছে। প্রসব-উত্তর ৪০ দিন পবিত্র হওয়া অবধি ইসলাম স্ত্রী মিলন নিষিদ্ধ করেছে। তেমনি এ সময় তাকে নামাজ ও রোজা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে।
এ কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বিস্ময়ে বিমূঢ় হলাম। তাহলে আমাদের এত গবেষণা আর এত পরিশ্রমের পর কেবল আমরা ইসলামের শিক্ষা পর্যন্ত পৌঁঁছলাম! আরেকদিন এক শিশু বিশেষজ্ঞ এলেন নবজাতককে দেখতে। তিনি শিশুর মায়ের উদ্দেশে বললেন, বাচ্চাকে যদি ডান কাতে শোয়ান তবে তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে করে তার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে। শিশুর বাবা তখন বলে উঠলেন, আমরা সবাই সর্বদাই ডান পাশ হয়ে ঘুমাই। এটা আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। এ কথা শুনে আমি বিস্ময়ে থ হয়ে গেলাম! এই জ্ঞান লাভ করতে আমাদের জীবনটাই পার করলাম আর সে কি-না তার ধর্ম থেকেই এ শিক্ষা পেয়ে এসেছে! ফলে আমি এ ধর্ম সম্পর্কে জানার সিদ্ধান্ত নিলাম। ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনার জন্য আমি এক মাসের ছুটি নিলাম এবং আমেরিকার অন্য শহরে চলে গেলাম, যেখানে একটি ইসলামিক সেন্টার আছে। সেখানে আমি অধিকাংশ সময় নানা জিজ্ঞাসা আর প্রশ্নোত্তরের মধ্যে কাটালাম। আরব ও আমেরিকার অনেক মুসলমানের সঙ্গে ওঠাবসা করলাম। আলহামদুলিল্লাহ এর কয়েক মাসের মাথায় আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলাম।

Friday, June 7, 2013

ফরাসি নও মুসলিম লায়লা হোসাইন (ভিডিওসহ)

ফরাসি নও-মুসলিম লায়লা হোসাইনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কাহিনী তুলে ধরব। পূর্ণাঙ্গ ও সর্বশেষ ঐশী ধর্মইসলামের আলোকিত বিধি-বিধান, বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং নানা প্রথা যুগ যুগ ধরে সত্য-সন্ধানী বহু অমুসলিম চিন্তাশীল মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। যেমন, জ্ঞান-চর্চার ওপর ইসলামের ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ অনেক অমুসলিম গবেষককে অভিভূত করেছে। ইসলামী হিজাব বা শালীন পোশাক তথা পর্দার বিধানও আকৃষ্ট করে আসছে অমুসলিম নারী সমাজকে। ফরাসি নারী লায়লা হোসাইনও তাদের মধ্যে অন্যতম।
পাশ্চাত্যের বঞ্চিত ও প্রতারিত নারী সমাজ ইসলামী শালীন পোশাকের মধ্যে প্রশান্তি, নিরাপত্তা ও পবিত্রতা খুঁজে পাচ্ছেন। পাশ্চাত্যের অনেক নারীই সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, তারা এই পশ্চিমা ভূবনে মুসলিম মহিলাদের হিজাব দেখেই ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়েছেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তারা বলেছেন, আমরা হিজাবের মধ্যে সত্যিকারের সুখ, প্রশান্তি ও নিরাপত্তা অনুভব করছি। ইসলামী হিজাবের এই প্রভাবের কারণে পশ্চিমা সরকারগুলো নানা অজুহাতে হিজাব পরিহিতা নারীদের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করছে। এ ছাড়াও এসব সরকার পর্দানশীন নারীদেরকে একঘরে করার ও দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে
ফরাসি নও-মুসলিম লায়লা হোসাইন ছিলেন একজন ইহুদি। ” আহলুল বাইত” টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, হিজাবের সৌন্দর্য দেখেই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং বেছে নিয়েছেন পরিপূর্ণ হিজাব। লায়লা হোসাইন বলেছেন, ” মুসলমানদের সম্পর্কে সব সময়ই এক ধরণের বীতশ্রদ্ধা ছিল আমার মধ্যে। আমি এভাবেই বড় হয়েছি। কিন্তু আমি সব সময়ই হিজাব পরা মুসলিম নারীদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম। তাদের পবিত্রতা ও বিনম্রতা আমাকে মুগ্ধ করত। আমার দৃষ্টিতে তাদের রয়েছে এক ধরণের নিজস্ব সৌন্দর্য। আমি ইহুদি সমাজের সদস্য হওয়ায় ইসলামী হিজাব রপ্ত বা আয়ত্ত্ব করা আমার জন্য কঠিন কাজ ছিল না। কিন্তু ঈমান বা বিশ্বাস সম্পর্কে মানুষের ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। তারা (অর্থাৎ ইহুদিরা) মুসলিম মহিলাদের চেয়ে ইহুদি মহিলাদেরকেই বেশি শ্রদ্ধা করত।”
ইসলামের অন্য অনেক সৌন্দর্য গবেষণার মাধ্যমে স্পষ্ট হয় লায়লা হোসাইনের কাছে। পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধিতে তাকে সহায়তা করেছে। তিনি বলেছেন, ” কোরআন ছিল আমার প্রথম অনুপ্রেরণা। যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ আমি পেয়েছি তা থেকে বুঝতে পেরেছি যে, ইসলাম সত্য ও খাঁটি ধর্ম। কারণ, এ ধর্ম সব নবী-রাসূলকেই শ্রদ্ধা করে। আর আমার দৃষ্টিতেও এটা খুবই যৌক্তিক। ধীরে ধীরে আমার কাছে এটা স্পষ্ট হয় যে ইসলামের শুধু বাহ্যিক দিক নয়, আছে অভ্যন্তরীণ দিকও। তাই ভেতর থেকেও ইসলামকে রক্ষা করতে হবে।”
ইসলামে মানুষের আত্মা ও দেহ- উভয়ই গুরুত্ব পেয়েছে। প্রকৃত মুসলমান হওয়ার জন্য ইসলামী বিশ্বাসের শুধু মৌখিক স্বীকৃতি ও বাহ্যিক আচার-আচরণ বা ইবাদতই যথেষ্ট নয়। মন বা হৃদয়ের গভীরে ইসলাম কতটা স্থান করে নিয়েছে-লায়লা হোসাইনের মতে তাও গুরুত্বপূর্ণ।
পশ্চিমা সরকারগুলো ইসলাম সম্পর্কে সঠিক চিত্র তুলে না ধরায় নও-মুসলিমরা অনেক সমস্যার শিকার হন। কিন্তু ইসলামের সৌন্দর্য ও বাস্তবতা নওমুসলিমদের কাছে এতই হৃদয়গ্রাহী যে সব ধরনের কঠোরতা, ক্লেশ ও বাধা-বিঘ্ন সহ্য করা তাদের জন্য সহজ হয়ে পড়ে।
লায়লা হোসাইন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ” হিজাব পরার মাধ্যমে আমি নিজেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছি-এই ভেবে আমার পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। কারণ, ফ্রান্সে হিজাব নিষিদ্ধ। স্কার্ফ বা ওড়না মাথায় দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যাওয়া এ দেশে নিষিদ্ধ, ফলে হিজাবধারীকে সামাজিক অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়। শুধু বিশেষ পোশাক পরার কারণে আমি আমার সামাজিক জীবনকে বিপদাপন্ন করেছি বলে আমার পরিবার মনে করত। এ অবস্থা মেনে নেয়া তাদের জন্য খুবই কষ্টকর ছিল। তারা মনে করত আমি আমার মুসলমান হওয়ার বিষয়টি হিজাবের মাধ্যমে প্রকাশ না করলেই ভাল হত। ইসলামের প্রতি আমার বিশ্বাস কেবল মনের মধ্যে লালন করলেই তা যথেষ্ট হত বলে তারা মনে করত। কিন্তু আমার কাছে বিষয়টি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পবিত্র কোরআনে ও রাসূল (সা.)’র অনেক হাদিসে বা সুন্নাতে হিজাবের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মুসলিম পরিচয়ের জন্যেও যে তা জরুরি তা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছ কোরআন-হাদিসে। তাই হিজাব পরিত্যাগ করতে রাজি হইনি আমি। আমার কাছে হিজাব শুধু হাত ও মাথা ঢাকার বিষয় নয়, বরং এর চেয়েও বড় কিছু।”
ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে অনেক ইহুদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন। এ ধরনের ঘটনা দিনকে দিন বাড়ছে। কিন্তু বর্তমান যুগে প্রচলিত ইহুদি ধর্ম (যা আসলে আদি বা অকৃত্রিম ইহুদি ধর্ম নয়) অনুযায়ী এ ধর্ম ত্যাগ করা যায় না। ফলে নও-মুসলিম ইহুদিরা অনেক সমস্যার শিকার হচ্ছেন। তাসুয়ি ইহুদা লাভ নামের একজন ইহুদি পুরোহিত বলেছেন, ইহুদির মেয়েরা অন্য ধর্ম গ্রহণেরও পরও ইহুদি থেকে যায়। কারণ, ইহুদি ধর্ম অনুযায়ী, ইহুদি মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া ইহুদি অন্য ধর্ম গ্রহণ করার পরও ইহুদি থেকে যায়।
এ ছাড়াও বিশ্বের ইহুদিদের অভিভাবক হওয়ার দাবিদার দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনের বাইরে ইহুদিদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ঠেকানোর জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নিয়েছে। তা সত্ত্বেও ইসরাইলি দৈনিক মারিভ সম্প্রতি লিখেছে, “ইসরাইলের ভেতরেই প্রতি বছর শত শত ইহুদি নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ধর্মীয় পরিচয় পরিবর্তনের ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য ইসরাইলি বিচার-বিভাগের কাছে আবেদন জানাচ্ছে। ইসরাইলি ইহুদিদের মধ্যে এ ধরনের আবেদনের সংখ্যা ২০০৮ সালে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।”আবার অনেক ইহুদি ধর্ম পরিবর্তন সংক্রান্ত এ ধরনের আবেদন করছেন না, কিংবা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে গেলে যেসব সীমাবদ্ধতা ও হয়রানির শিকার হতে হবে তা এড়ানোর জন্য এ পবিত্র ধর্ম গ্রহণের কথা প্রকাশ করছেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ ও সহিংসতা এবং ইহুদিবাদীদের হাতে তাদের সম্পদ দখল ও লুণ্ঠনের ঘটনাগুলো অধিকৃত ফিলিস্তিনে আসা ইহুদিদেরকে বিকৃত হয়ে পড়া ইহুদি ধর্ম ত্যাগের অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
ইহুদিদের মধ্যে অন্য ধর্ম গ্রহণের প্রবণতা বাড়তে থাকায়, বিশেষ করে ইসলামের আকর্ষণ তাদের মাঝে বাড়তে থাকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল অ-ইহুদি বিয়ে করাকে ইহুদি যুব সমাজের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবেনিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।অ-ইহুদি স্বামী বা স্ত্রীর প্রভাবে ইহুদি যুব সমাজ নিজ ধর্ম ত্যাগ করছে বলেইইসরাইল তা ঠেকাতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইহুদিবাদী রাজনৈতিক নেতা আভরি আভরবাখ বলেছেন, প্রত্যেক ইহুদির নিজ ধর্ম ত্যাগের ঘটনা ইহুদি গ্রুপগুলোর জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ক্ষতি বয়ে আনছে। কিন্তু লায়লা হোসাইনের মতে, সত্য ধর্ম তার স্বচ্ছতা ও স্পষ্ট নানা শিক্ষার কারণেই মানুষের অন্তর জয় করছে এবং জীবন, ভালবাসা ও বিশ্বাসের প্রকৃত অর্থ তুলে ধরছে। পবিত্র কোরআনেআল্লাহ বলেছেন, “তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।”
ভিডিও দেখুন এখানে:

Thursday, June 6, 2013

সেরা ১০টি খুবই সুন্দর আর অপরাধমুক্ত মুসলিম দেশ ||


মহাবিশ্বের বিদ্যমান অসংখ্য নিদর্শন আল্লাহকে চিনতে ও খুজে পেতে সহায়তা করে ।

মহাবিশ্বের বিদ্যমান অসংখ্য নিদর্শন আল্লাহকে চিনতে ও খুজে পেতে সহায়তা করে । 

- শেখ সাদী

 

এই যে মহাবিশ্ব, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি যা আমাদের সোলার সিষ্টেমের আবাসস্হল এবং আমাদের পৃথিবী, তা অসংখ্য অলৈাকিক নিয়মের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে এবং সূক্ষ হিসাব দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে । এই সকল নিয়ম এবং ভারসাম্য ব্যবস্হা ডিজাইন করা হয়েছে এবং অলৈাকিকভাবে নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ আছে শুধুমাত্র মানুষের জন্য বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরী করার জন্য ।

আমাদের মহাবিশ্বকে নিয়ে গবেষণার ফলে এটা বুঝা যায় যে মহাবিশ্বের সাধারণ নিয়ম থেকে শুরু করে বস্তুর সূক্ষাতিসূক্ষ বৈশিষ্ট্যসমূহ, সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র নিয়ম থেকে সর্বোচ্চ অনুপাতের যে পরিমাপ তার সবই একেবারে সঠিক পরিমাণে রয়েছে । আমাদের আশ্চর্য্য হতে হয় যে , এই মাপের সঠিকতা শুধুমাত্র মানুষের অস্তিত্ব টিকে থাকার জন্যই উপযোগী নয় বরং মানুষের প্রবৃদ্ধি ও বিকাশ লাভের জন্যও সহায়ক ।

মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে মিল্কিওয়েতে পৃথিবীর অবস্হান, সূর্যের রশ্মির পরিমাণ (spectrum) থেকে শুরু করে পানির ঘনত্ব (viscosity) পর্যন্ত, পৃথিবী থেকে চাদের দূরত্বের পরিমাণ থেকে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের পরিমাণের অনুপাত ইত্যাদি অসংখ্য ফ্যাক্টর সমূহ সম্পূর্ণভাবে মানুষের বসবাসের উপযোগী । এমনকি কোনটার পরিমাণের সামান্য একটু এদিক সেদিক হলে পৃথিবী হয়ে যেত মানুষের বসবাসের সম্পূর্ণ অনুপযোগী ।মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না কত হাজার হাজার নিয়ামক এবং শর্তসমূহ একসাথে একত্রিত হয়ে অলৈাকিকভাবে মানুষের বসবাসের জন্য পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে ।

আসল কথা হলো - হাজার হাজার অলৈাকিক নিয়ামক এর কথা বাদ দিলেও প্রতিটা নিয়ামক বা শর্ত-ই যেন এক একটা আশ্চার্য্য বিষয় । যা আল্লাহর অসীম জ্ঞানের পরিচয় বহন করে । মহাবিশ্বের প্রতিটা অংশ-ই যেন এক একটা আশ্চর্য্য বিষয় - যা স্রষ্টার অপরিসীম জ্ঞান, ক্ষমতা এবং প্রজ্ঞার পরিচয় প্রকাশ করে ।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, এসব নিয়ামক বা শর্ত সমূহের খুবই সূক্ষ পরিমাণ এদিক সেদিক হলে মহাবিশ্ব এবং পৃথিবী আর মানুষের বাসযোগ্য হতো না । প্রত্যেকটা বিষয়-ই আছে একেবারে পারফেক্ট পর্যায়ে । 

নাসার মহাকাশবিদ প্রফেসর John O'Keefe বলেছেন, ' আমরা, মহাকাশ বিদ্যার আলোকে দেখতে গেলে অত্যন্ত যত্নের সাথে তৈরী করা এক সৃষ্টি । যদি মহাবিশ্ব একেবারে যথার্থভাবে তৈরী করা না হতো, আমরা কখন-ই অস্তিত্ববান হতাম না । এটা আমার ধারণা যে পারিপার্শ্বিক অবস্হাই তা নির্দেশ করে যে মহাবিশ্ব মানুষের বসবাসের জন্যই তৈরীকৃত আবাসস্হল ।'

ব্রিটিশ গণিতবিদ প্রফেসর Roger Penrose বলেছেন, 'আমি বরং বলব এই মহাবিশ্বের তৈরীর পিছনে কোন উদ্দেশ্য আছে । এটা কোন ভাবেই বাই চান্স তৈরী হয় নি ।'

বর্তমান পর্যন্ত সংগৃহিত সকল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এটা অনুধাবন করা যায় যে, এই মহাবিশ্ব আকস্মিকভাবে, কোন পরিকল্পণা ছাড়া হঠাৎ করে এমনি এমনি তৈরী হওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয় । মহাবিশ্বের শুরু থেকে বর্তমান মহূর্তের সময় পর্যন্ত যখন আপনি এই লেখাটি পড়ছেন, তার সবই সর্বজ্ঞানী এবং সর্বশক্তিমান স্রষ্টা তার জ্ঞান দিয়ে তৈরী করেছেন ।


Astrophysicist Alan Sandage, winner of the Crawford prize in astronomy, explains the situation as follows: I find it quite improbable that such order came out of chaos. There has to be some organizing principle. God to me is a mystery but is the explanation for the miracle of existence… '

Astrophysicist Alan Sandage, winner of the Crawford prize in astronomy বলেন যে, আমি এটা অসম্ভব বলেই মনে করি যে এই নিয়ম শৃংখলা কোন পরিকল্পনা ছাড়াই হয়েছে । এর পিছনে অবশ্যই কোন সুসংবদ্ধ নিয়ম কাজ করছে । স্রষ্টা আমার নিকট রহস্যের মত কিন্তু অলৈাকিক অস্তিত্বের ইহাই একমাত্র ব্যাখ্যা ..'

যেমন মহাবিশ্ব সৃষ্টির সূচনায় যে মহা বিস্ফোরণের মাধ্যমে তার সূচনা হয়েছে তার গতি যদি এক ভগ্নাংশ পরিমাণ ধীর হতো বা এক ভগ্নাংশ পরিমাণ বেশি হতো তাহলে এই মহাবিশ্ব এরূপ অবস্হায় আসতোনা ।

Paul Davies, a renowned Professor of Mathematics and
Physics at Australia’s Adelaide University, made a series of calculations in order to answer this question. The results he obtained were astonishing.

According to Davies, had the expansion rate following the Big Bang been different by one in a billion billions (1/1018), the universe could not have formed! Another
way of stating this figure is: “0,000000000000000001.” Any divergence of such a tiny scale would have meant no universe at all.

কুরআন শরীফের পাতায় পাতায় আল্লাহ মানুষকে এসব অলৈাকি অবস্হা সমূহের কিছুটা ইঙ্গিত দিয়ে তার নিদর্শন সমূহের বর্ণনা দিয়েছেন । তিনি বলেছেন এসব নিদর্শন সমূহ দেখে বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী মানুষ স্রষ্টার অস্তিত্ব খুজে পায় ।

"নিঃসন্দেহে মহাবিশ্ব ও পৃথিবীর সৃষ্টির মধ্যে, আর রাত্রি ও দিবসের বিবর্তনে, আর জাহাজ - যা সাগরের মধ্যে চলাচল করে যার দ্বারা মানুষ মূনাফা করে, আর আকাশ থেকে বৃষ্টির মধ্যে, তারপর তার দ্বারা মৃত মাটিকে প্রাণ সন্চার করেন আর তাতে ছড়িয়ে দেন হরেক রকমের জীব-জন্তু (তার মধ্যে), আর আকাশ ও পৃথিবীর মাঝে নিয়ন্ত্রিত বাতাস ও মেঘের গতিবেগে, বিশেষ নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান লোকের জন্য ।" (সূরা বাকারঃ ১৬৪)

এই দুনিয়ার জীবনে আল্লাহকে দেখা যাবেনা বা ওনার সাথে কথা বলা যাবেনা । তবে তিনি মানুষকে আল্লাহর সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন এবং অনেক কে ঐশীগ্রন্হ দান করেছেন । ইসলাম হলো আল্লাহ কর্তৃক সর্বশেষ অনুমোদিত ধর্ম , মহানবী (সাঃ) হলেন সর্বশেষ রাসূল এবং কুরআন হলো সর্বশেষ আসমানী কিতাব ।

'জ্ঞানী লোকেরা আল্লাহপাকের সৃষ্ট জগতের কলা কৈাশল সম্পর্কে চিন্তা ফিকির করিতে গিয়া বলিয়া থাকেন যে, হে আমাদের প্রতিপালক ! তুমি এইসব অনর্থক সৃষ্টি কর নাই । আমরা তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি, তুমি আমাদের জাহান্নামের অগ্নি হইতে রক্ষা কর । ' (কুরআন)

আসুন আমরা স্রস্টাকে ওনার নিদর্শন দেখে খুজে পাই এবং উনার প্রেরিত আসমানী কিতাব অনুসারে জীবন পরিচালনা করি । এতে করে ইহকাল ও পরকাল - দুই জীবনেই আমরা আল্লাহর রহমতের ছায়াতলে থাকতে পারব ।

সূত্রঃ Click This Link 

 

Source: http://www.somewhereinblog.net

এক অসাধারণ #না’তসহ দরূদ - বালাগাল উলা বি-কামালিহি: ইতিহাস, অনুবাদ ও তাৎপর্য