Sunday, October 20, 2013

জর্দানের বিস্ময়কর ইসলামিক নিদর্শন সাহাবী গাছ (ভিডিও সহ)

জর্দানের বিস্ময়কর ইসলামিক নিদর্শন সাহাবী গাছ



আজো বেঁচে আছে বিস্ময়কর ১৫০০ বছর আগের রাসুল (সঃ) এর সাক্ষাৎপ্রাপ্ত বেচে থাকা একমাত্র সাহাবী গাছ। ইংরেজিতে এ গাছকে বলা হয় The Blessed Tree. শুনতে অবাক লাগলেও কিন্তু বেঁচে আছে গাছটি।
পৃথিবীতে এত পুরনো কোনো গাছ এখনো বেঁচে আছে তা বিশ্বাসযোগ্য না হলেও কিন্তু সত্যি। সাহাবি গাছ এমনই একটি গাছ যে গাছটি অবিশ্বাস্যভাবে শত বর্গ কিলোমিটারজুড়ে মরুভূমিতে গত ১৫০০ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে। দেখতে খুবই সুন্দর গাছটি।
মরুভূমির রুক্ষ পরিবেশের কারণে জন্ম থেকেই গাছটি ছিল পাতাহীন শুকনো কিন্তু একসময় আল্লাহর হুকুমে গাছটি সবুজ পাতায় ভরে উঠে এবং আজ পর্যন্ত গাছটি সবুজ শ্যামল অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
অবিশ্বাস্য এই গাছটি জর্ডানের মরুভূমির অভ্যন্তরে সাফাঈ এলাকায় দণ্ডায়মান। জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ সর্বপ্রথম এই স্থানটিকে পবিত্র স্থান হিসেবে ঘোষণা দেন।
৫৮২ খ্রিস্টাব্দে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর বয়স তখন ১২ বছর, তিনি তার চাচা আবু তালিবের সঙ্গে বাণিজ্য উপলক্ষে মক্কা থেকে তৎকালীন শাম বা সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
যাত্রাপথে তারা সিরিয়ার অদূরে জর্ডানে এসে উপস্থিত হন। জর্ডানের সেই এলাকাটি ছিল শত শত মাইলব্যাপী বিস্তৃত উত্তপ্ত বালুকাময় এক মরুভূমি। মোহাম্মদ (সা.) এবং তার চাচা আবু তালিব মরুভূমি পাড়ি দেয়ার সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
তখন তারা একটু বিশ্রামের জায়গা খুঁজছিলেন। কিন্তু আশপাশে তারা কোনো বসার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চারদিকে যত দূর চোখ যায় কোনো বৃক্ষরাজির সন্ধান পাচ্ছিলেন না।
কিন্তু দূরে একটি মৃতপ্রায় গাছ দেখতে পেলেন তারা। উত্তপ্ত মরুভূমির মাঝে গাছটি ছিল লতাপাতাহীন শীর্ণ ও মৃতপ্রায়। উপায় না পেয়ে তারা মরুভূমির উত্তাপে শীর্ণ পাতাহীন সেই গাছটির তলায় বিশ্রাম নিতে বসেন।
উল্লেখ্য, রাসূল মোহাম্মদ (সা.) যখন পথ চলতেন তখন আল্লাহর নির্দেশে মেঘমালা তাকে ছায়া দিত এবং বৃক্ষরাজি তার দিকে হেলে পড়ে ছায়া দিত।


মোহাম্মদ (সা.) তার চাচাকে নিয়ে যখন গাছের তলায় বসেছিলেন তখন তাদের ছায়া দিতে আল্লাহর নির্দেশে মৃতপ্রায় গাছটি সজীব হয়ে উঠে এবং গাছটির সমস্ত ডালপালা সবুজ পাতায় ভরে যায়।
সেই গাছটিই বর্তমানে সাহাবি গাছ নামে পরিচিত। এ ঘটনা দূরে দাঁড়িয়ে জারজিস ওরফে বুহাইরা নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রি সবকিছু দেখছিলেন।


আবু তালিব মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে পাদ্রীর কাছে গেলে তিনি বলেন, আমি কোনোদিন এই গাছের নিচে কাউকে বসতে দেখিনি।
পাদ্রী বলেন, গাছটিও ছিল পাতাহীন কিন্তু আজ গাছটি পাতায় পরিপূর্ণ। এই ছেলেটির নাম কি? চাচা আবু তালিব উত্তর দিলেন মোহাম্মদ! পাদ্রী আবার জিজ্ঞাসা করলেন, বাবার নাম কি? আব্দুল্লাহ!, মাতার নাম? আমিনা!
বালক মোহাম্মাদকে (সা.) দেখে এবং তার পরিচয় শুনে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পাদ্রীর চিনতে আর বাকি রইল না যে, এই সেই বহু প্রতীক্ষিত শেষ নবী মোহাম্মদ। চাচা আবু তালিবকে ডেকে পাদ্রী বললেন, তোমার সঙ্গে বসা বালকটি সারা জগতের সর্দার, সারা বিশ্বের নেতা এবং এই জগতের শেষ নবী।
তিনি বলেন, আমি তার সম্পর্কে বাইবেলে পড়েছি এবং আমি ঘোষণা দিচ্ছি, এই বালকটিই শেষ নবী।
চাচা আবু তালিব ও মহানবী (সা.) যেই গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিয়েছিলেন সেই গাছটি ১৫০০ বছর আগ যে অবস্থায় ছিল আজো সেই অবস্থায় জর্ডানের মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে।
গাছটি সবুজ লতা-পাতায় ভরা এবং সতেজ ও সবুজ। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, গাছটি যেখানে অবস্থিত তেমন মরুদ্যানে কোনো গাছ বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। গাছটির আশপাশের কয়েকশ’ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে আর কোনো গাছ নেই।
গাছটির চারিদিকে দিগন্ত জোড়া শুধুই মরুভূমি আর মরুভূমি। উত্তপ্ত বালুকাময় মরুভূমির মাঝে গাছটি দাঁড়িয়ে থেকে আল্লাহর অসীম ক্ষমতার সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে মহানবী রাসূল মোহাম্মদের (সা.) স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রেখেছে, যা আল্লাহ তা’য়ালার কুদরতি ক্ষমতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন।

Watch This Video:


Thursday, October 17, 2013

আল্লাহ্‌র শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য আলাদা মিরাকল দরকার নেই, তার প্রতিটি সৃষ্টিই মিরাকল:

আল্লাহ্‌র শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য আলাদা মিরাকল দরকার নেই, তার প্রতিটি সৃষ্টিই মিরাকল: 
মাছের গায়ে আর গাছের ডালে আল্লাহ্‌র নাম দেখে যারা দুর্বল ঈমান পোক্ত করতে চান–এই পোস্ট তাদের জন্য নয়

মাছের গায়ে আর গাছের ডালে আল্লাহ্‌র নাম দেখে যারা দুর্বল ঈমান পোক্ত করতে চান–এই পোস্ট তাদের জন্য নয়তবে এই পোস্ট নাস্তিকদের জন্যও নয়। বরং এই পোস্ট ধর্মের নামে ভণ্ডামির বিরুদ্ধে প্রকৃত ধর্ম-বিশ্বাসীদের জন্য। আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব ও ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য কিছু ভণ্ড ধর্ম-ব্যবসায়ী ভূয়া ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক ঘটনার ছবি প্রচার করে একদিকে যেমন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তেমনি অন্যদিকে নাস্তিক ও বিধর্মীদের কাছে ইসলাম ধর্মকে হাস্যাস্পদ করছে। আবার কিছু ধর্ম-বিদ্বেষীও ধর্মকে হেয় করার জন্য এসব ছবি ব্যবহার করে। এই পোস্টে সেসব ‘ভূয়া’ মিরাকলের ‘আসল’ কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।
সবচেয়ে বিখ্যাত ‘মিরাকল’টি দিয়েই শুরু করি। অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঘরে ঘরে নীচের ছবিটি বাঁধানো অবস্থায় শোভা পাচ্ছে:

এটি নাকি জার্মানির একটি খামারের ছবি–এর গাছগুলি আল্লাহ্‌র কুদরতে এমনভাবে আকৃতি নিয়েছে, যাতে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ কথাটি পরিষ্কার ফুটে উঠেছে! এটি দেখে নাকি অনেক জার্মান নাগরিক মুসলমানও হয়েছে। তারপর ‘বে-দ্বীন’ জার্মান সরকার নাকি জায়গাটি বেড়া দিয়ে আড়াল করে দিয়েছে–আল্লাহ্‌র এই কুদরত দেখে আর কেউ যাতে মুসলমান হতে না পারে।
অথচ আসল ঘটনা হল, এটি মোটেই বাস্তব কোন দৃশ্য নয়, বরং ডাঃ সাঈদ আল-খুদারি নামে এক মিশরীয় ব্যক্তির হাতে আঁকা তৈলচিত্র! একই ব্যক্তির ‘আঁকা’ মানুষের শ্বাসনালীর নীচের ছবিটিকেও দেখুন কীভাবে এর পরের ছবিতে আল্লাহ্‌র কুদরতের নিদর্শন হিসেবে চালানো হয়েছে:

পরবর্তীতে অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী মিশরীয় ব্যক্তি আসল ঘটনা উন্মোচন করে ই-মেইল পাঠালে একটি ইসলামী ওয়েবসাইট গাছের ও ফুসফুসের ছবি দুটি সরিয়ে নেয়। উক্ত ই-মেইলটি দেখতে পাবেন এখানে: http://www.themodernreligion.com/miracles.html#email
এবার দেখুন নীচের ছবিতে ক্যাকটাস গাছকে কীভাবে ‘আল্লাহু’ লেখা মিরাকল হিসেবে দাবি করা হয়েছে:
বক-ধার্মিকগণ নীচের গাছটিতেও ‘আল্লাহু’ লেখা খুঁজে পেয়েছে:

আরও দেখুন অস্ট্রেলিয়ার এক বনে রুকুর ভঙ্গিতে থাকা গাছের ছবি:

রুকুতে থাকা গাছের ভিডিওটি দেখতে পাবেন নীচের ইউটিউব লিংকে: http://www.youtube.com/watch?v=LYdw1iM1yI0
উপরে গাছের ছবিগুলি যদি আল্লাহ্‌র কুদরতই হয়, তবে নীচে দেখানো গাছের ছবিগুলির ব্যাখ্যা কী:
১। মানুষের মুখের আকৃতির গাছ:

২। হাতির আকৃতির গাছ (কোন হিন্দু যদি এটি দেখে গণেশ বলে দাবি করে, তবে আপনি কী বলবেন!):

৩। ব্যালে নর্তকীর ভঙ্গীতে গাছ:

৪। আরেকটি মানুষের আকৃতির গাছ:

৫। সিঙ্গাপুরের হনুমান গাছ (যা দেখে হিন্দুরা হনুমানদেবের কীর্তি ভেবে ভক্তিভরে পূজা শুরু করেছে!):

থাইল্যান্ডের কথিত ‘নারীপল’ বা ‘নারীফল’ গাছের ছবিটি কারো কারো কাছে অশ্লীল মনে হতে পারে বলে এখানে দিলাম না। চাইলে এই লিংকে গিয়ে দেখে আসতে পারেন: http://mrugeshmodi.blogspot.com/2010/09/nareepol-tree-amazing-woman-tree.html
বরং সাগরের বুকে মানুষের তৈরি কৃত্রিম ‘খেজুর গাছ’ আকৃতির দ্বীপকে আমার বিজ্ঞানের ‘মিরাকল’ মনে হয়। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কত জ্ঞানই না দিয়েছেন! নীচে দেখুন দুবাইয়ের ‘আল-নাখীল’ দ্বীপ:

এবার দেখুন মেঘের গায়ে ‘আল্লাহু’ লেখা:

অথচ আপনি চাইলে আকাশের মেঘের গায়ে হাতি, ঘোড়া, গাছ, ইত্যাদি অনেক কিছু কল্পনা করতে পারেন। এরকম ‘মিরাকল’ দেখতে চান? তাহলে নীচে দেখুন:
১। গাড়ি আকৃতির মেঘ (এটি দেখে জাপানের টয়োটা কোম্পানি যদি নিজেদের স্বর্গীয় বলে দাবি করে, তবে আমি এর জন্য দায়ী না!):

২। হাতি আকৃতির মেঘ:

৩। আরেকটি হাতি-মেঘ (হিন্দুদের দেবতা গণেশের মিরাকল?):

নীচে ‘গনেশ’ আকৃতির একটি ফুলও দেখুন তাহলে:

এবার দেখুন প্রাণির গায়ে ‘আল্লাহু’ ও ‘মুহাম্মদ’ লেখা ছবি:

উপরের প্রাণীর ছবিগুলি যদি আল্লাহ্‌র কুদরত হয়, তবে নীচের ছবিগুলি কার কুদরত?
১। গরুর গায়ে হিন্দুদের ওম লেখা:

২। গরুর গায়ে খ্রীস্টানদের ক্রশ আঁকা:

কেউ কেউ নীচের ছবিতে পাহাড়ের গায়ে অলৌকিক ‘আল্লাহু’ লেখা দেখতে পায়:

এখন পাহাড়ের গায়ে ‘ওম’ লেখা নীচের ছবিটি দেখে কী বলবেন?:

এখন দেখুন এক পাকিস্তানি নাকি চাপাতিতে ‘আল্লাহু’ লেখা বলে দাবি করেছে:

তাহলে নীচের ‘ওম’ পরোটা দেখে সে কী বলবে?:

আবার নীচের ছবিটাতে সাগরের মাঝে পাথরের দ্বীপটি নাকি ‘সেজদারত’:

তাহলে নীচের ছবির ভালোবাসার প্রতীক ‘হার্ট’ আকৃতির দ্বীপটা দেখে যদি কেউ দাবি করে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ইসলাম-সম্মত, তবে তাকে কী বলবেন?:

সুতরাং এসব ছবির বেশির ভাগই প্রকৃতির খেয়াল, কাকতালীয়, দৃষ্টিবিভ্রম কিংবা দুষ্ট লোকের কারসাজির উদাহরণ মাত্র। অথচ আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব ও ইসলামের মহিমা প্রমাণের উদ্দেশ্যে এরকম হাজার হাজার ভূয়া ‘মিরাকল’ প্রচার করছে ইন্টারনেটের বহু ইসলামী ওয়েব-সাইট।
তাই এসব ছবি দিয়ে যারা আল্লাহ্‌র অলৌকিকত্ব প্রমাণ করতে চায়, তারা আসলে নিজেরা বিভ্রান্ত, অন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানকেও বিভ্রান্ত করে এবং একই সাথে ইসলাম ধর্মকে হাস্যাস্পদ বা হেয় করে। আল্লাহ্‌র শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য আলাদা মিরাকল দরকার নেই, তার প্রতিটি সৃষ্টিই মিরাকল।
আল্লাহ্‌ আমাদের সকলকে প্রকৃত জ্ঞানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দিন।



Related Links:
আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির কিছু নিদর্শন

মহাবিশ্বের বিদ্যমান অসংখ্য নিদর্শন আল্লাহকে চিনতে ও খুজে পেতে সহায়তা করে । 

আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির কিছু নিদর্শন - একটি খুতবার ভিডিও 


Please browse these website for more information about  sign of creation: 

http://www.signsofcreation.com
http://www.evidencesofcreation.com

 

http://isignbd.blogspot.com/2013/07/the-miracles-of-quran-bangla.html


আব-ই-জমজম: আল্লাহর এক বিস্ময়কর ও রহস্যময় নিদর্শন

আব-ই-জমজম: আল্লাহর এক বিস্ময়কর ও রহস্যময় নিদর্শন



জমজম কূপের ইতিহাস:
মহান আল্লাহতায়ালা বিশ্বের সব বস্তুই সৃষ্টি করেছেন মানবকল্যাণে। আর বিশ্বের সব সৃষ্টি মানুষের জন্য নিয়ামতস্বরূপ। তার মধ্যে পানি একটি বিশেষ নিয়ামত। এই পানি ব্যতীত মানুষ এক মুহূর্তও চলতে পারে না। জমজম কূপের পানি পৃথিবীর সব পানির চেয়ে আলাদা। আর এ পানি স্বয়ং আল্লাহতায়ালার দেয়া স্বর্গীয় রহমতপূর্ণ। আজ থেকে প্রায় চার-সাড়ে চার হাজার বছর আগে, মধ্যপ্রাচ্যের পবিত্র ভূমি মক্কানগরী, যেখানে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জন্মস্থান, সেখানে মহাবরকতময় স্বর্গীয় পানি জমজম কূপের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই পানি পৃথিবীর অন্যসব পানি থেকে ব্যতিক্রমধর্মী। জমজম কূপের উৎপত্তির সঙ্গে হজরত হাজেরা (আ.) এর স্মৃতিজড়িত। মহান আল্লাহতায়ালার হুকুমে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার বড় স্ত্রী বিবি হাজেরা ও তার নবজাতক সন্তান হজরত ইসমাইলসহ (আ.) পবিত্র মক্কানগরে লুপ্ত কাবার কাছে নির্বাসন দেয়ার জন্য আদিষ্ট হন।
তিনি আল্লাহর আদেশে স্ত্রী ও সন্তানকে কিছু পানি ও খেজুরসহ সেখানে রেখে যান। যাওয়ার সময় ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন, 'হে আল্লাহ! তুমি একে শান্তিময় নগরে পরিণত কর এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখ।' সুরা ইব্রাহীম। অপর আয়াতে বলা হয়েছে, 'হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার সম্মানিত ঘরের কাছে এক অনাবাদি উপত্যকায় আমার এক বংশধরকে বসত করতে রেখে গেলাম। হে আমাদের প্রভু! তারা যেন সালাত কায়েম করে। তুমি কতিপয় লোকের মন তাদের প্রতি আকৃষ্ট করে দাও। তাদের জীবিকারূপে কিছু ফলমূল দাও। আশা করা যায়, তারা তোমার শোকর গোজার করবে। সুরা ইব্রাহীম। ইব্রাহীম (আ.) মা ও শিশু সন্তানের জন্য যে খাদ্য ও পানীয় রেখে গিয়েছিলেন, তা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। ফলে মা ও শিশু সন্তান ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়েন।
মা হাজেরা (আ.) এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে কোথাও খাদ্য সংগ্রহ করতে না পেরে, নিকটস্থ সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের চূড়ায় উঠে চারদিকে দৃষ্টিপাত করতে লাগলেন কোথাও কোনো জনমানবের কাফেলা দেখা যায় কি না। এভাবে তিনি আশায়-নিরাশায় উভয় পাহাড়ে পরপর সাতবার ওঠানামা করতে থাকেন। তার পুত্রস্নেহের এই দৃশ্যটি আল্লাহর কাছে খুবই পছন্দনীয় হয়েছে বিধায় আল্লাহতায়ালা এই স্মৃতিটি চিরদিনের জন্য হাজিদের দ্বারা অমস্নান ও স্মরণীয় করে দেন। আর হজের এই কাজটি ওয়াজিব হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। মা হাজেরা উভয় পাহাড়ে সাতবার দৌড়াদৌড়ি করে নিরুপায় হয়ে সন্তানের কাছে ফিরে এসে দেখতে পেলেন যে, ইসমাইলের পাদদেশে পানি। বিবি হাজেরা তাড়াতাড়ি দৌড়ে গেলেন শিশুপুত্রের কাছে। হ্যাঁ ঠিকই পানি। শিশুপুত্রের খেলাচ্ছলে পায়ের গোড়ালির আঘাতে আঘাতে প্রস্তর চুইয়ে পানি আসছে। আল্লাহপাকের শুকরিয়া আদায় করে পানি যাতে গড়িয়ে যেতে না পারে তাই আশপাশ থেকে প্রস্তর ও বালু এনে চারপাশে বৃত্তাকারে পানি যতদূর গড়িয়েছে ততটুকু বাঁধ দিয়ে আটকালেন এবং পানিকে জমজম অর্থাৎ থামথাম বললেন। অমনি আল্লাহপাকের নির্দেশে পানি স্থির হয়ে রইলো। বর্ণিত আছে যে, সেদিন যদি তিনি পানিকে এভাবে বাধা প্রদান না করতেন, তবে এ পানিতেই সারাবিশ্ব তলিয়ে যেত। জমজম কূপের উৎপত্তির দিন থেকে মক্কা নগরীতে জনবসতির সূচনা হয়। ধীরে ধীরে তা মহানগরীতে পরিণত হয়। এর পানি বিশ্বের সর্বোত্তম এবং বিশেষ বরকতময়। 

জমজম কূপ সম্মন্ধে কিছু জানা-অজানা তথ্য:

 ১) আল্লাহ তা'লার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর থেকে… এর স্বাদেরও কোন পরিবর্তন হয় নাই আজ পর্যন্ত কোন এলগি বা শ্যাওলা জন্মায় নাই কোনরকম জীবাণুরও সংক্রমন হয় নাই পৃথিবীর বিভিন্ন হাই টেক ল্যাবোরেটরিতে এর মান ও গুণাগুণ পরীক্ষা করা হয় এবং তাতে কোনরকম সমস্যা পাওয়া যায় নাই আজ পর্যন্ত

২) ভারী মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনাকালের ন্যায়। আর পানি উঠানো বন্ধের পর মাত্র ১১ মিনিটে আবার পানির লেভেল উঠে আসে ১৩ ফুটে! এখন একটা স্বাভাবিক গাণিতিক হিসাবে যাওয়া যাক। প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় উত্তোলিত পানির হিসাব দাড়ায়- ৮০০০*৬০*৬০*২৪= ৬৯১.২ মিলিয়ন লিটার! যা পূরণ হয়ে যায় মাত্র ১১ মিনিটে অথচ তা তোলা হয়েছিল ২৪ ঘণ্টায়!! সুবহানআল্লাহ 

৩) দুটো আশ্চর্য ব্যাপার এখানে যে- জমজম কূপের এত দ্রুত পূর্ণ হয়ে যাওয়া বা কুপে পানি প্রবাহের এত তীব্র গতি আবার অন্যদিকে সেই তীব্র গতির পানিপ্রবাহ একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় এসে বন্ধ হয়ে যাওয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সৃষ্টি অসাধারন এবং চমৎকার তাঁর নিয়ন্ত্রণ।

৪) এই কূপের পানি সৃষ্টির পর থেকে একই রকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মউসুমে ব্যবহার ক'য়েক গুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।

৫)  সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।

৬) এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানির থেকে বেশী, এজন্য এই পানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এই পানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।

) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমান বেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।

৮) এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

৯) সব থেকে বড় নিদর্শন হলো এই কূপের কোন সংযোগ নেই, কারণ আসে পাশে নেই কোন জলাধার বা নদী বা সমুদ্র, সম্পূর্ণ মরুভূমি, আর বৃষ্টি… তা তো নেই বললেই চলে! আলহামদুলিল্লাহ, এটাই আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন আমাদের জন্য

►রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে যেই নিয়তে পান করবে, তার সেই নিয়ত পূরণ হবে। যদি তুমি এই পানি রোগমুক্তির জন্য পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করবেন। যদি তুমি পিপাসা মেটানোর জন্য পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমার পিপাসা দূর করবেন। যদি তুমি ক্ষুধা দূর করার উদ্দেশ্যে তা পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমার ক্ষুধা দূর করে তৃপ্তি দান করবেন। এটি জিবরাইল (আ.)-এর পায়ের গোড়ালির আঘাতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পানীয় হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ ও আল-আজরাকি)

►জম জমের পানি দাড়িয়ে এবং তিন শ্বাসে পান করা সুন্নাহ। পান করার সময় নিম্নের দোয়াটি পাঠ করা-
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا, وَرِزْقًا وَاسِعًا, وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ.
(حديث ضعيف/ رواه الدارقطنى وعبد الرزاق والحاكم عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا مَوْقُوْفًا)

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকা ইলমান নাফি'আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া, ওয়াশিফা'আন মিন কুল্লি দা।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট কল্যাণকর জ্ঞান, প্রশস্থ রিযিক এবং যাবতীয় রোহ থেকে আরোগ্য কামনা করিতেছি। (দারা কুতনী, আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম, বর্ণনায় ইবেনে আব্বাস)

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জমজমের পানি
- গবেষক তারিক হোসাইন, রিয়াদ এবং মইনুদ্দিন আহমেদ 
বাংলা লিখেছেন

আব-ই-জমজম কূপ আল্লাহর সৃষ্ট এক বিস্ময়কর নিদর্শন। ১৯৭১ সালে একজন মিশরীয় ডাক্তার ইউরোপীয়ান গণমাধ্যমে লিখে ছিলেন, জমজমের পানি পানের উপযোগী নয়। কাবার অবস্থান ছিল সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে নিচে এবং মক্কার মাঝখানে। তাই শহরের সকল নোংরা পানি এই কূপে এসে জমা হয়। এই খবরটি সৌভাগ্যক্রমে বাদশাহ্ ফয়সলের দৃষ্টি গোচর হয় এবং তিন চরম রাগান্বিত হন। তিনি কৃষি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণায়কে দ্রুত নির্দেশ দিলেন এর তদন্ত করতে। মন্ত্রণালয় জেদ্দার পাওয়ার এন্ড ডিজএলাইজেশন প্লান্টকে নির্দেশ দিল এই কাজটি করতে। তখন আমি (লেখক) সেই প্রতিষ্ঠানে ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমি এই কাজটি করতে আগ্রহ দেখালাম। প্রথমে আমি কূপটির আয়তন সম্পর্কে ধারণা নিতে শুরু করলাম। আমি আমার সহকারীকে গোসল করিয়ে পবিত্র করে কূপে নামালাম। সহকর্মীর উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। কূপের পানি তার কাধ পর্যন্ত ছিল। কূপটির আয়তন ১৮ ফুট বাই ১৪ ফুট। সে কূপের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে খুজে কোথাও কোন অর্ন্তনালী বা পাইপলাইন পেল না। আমার মাথায় অন্য একটি বুদ্ধি খেলল। আমি একটি উচ্চ মতা সম্পন্ন পাম্প বসিয়ে দ্রুত কূপের পানি সেচতে থাকলাম। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে পানির লেভেলে কোন পরিবর্তন ঘটল না। এটা ছিল একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোথা থেকে পানি কূপে আসছে তা বের করা যেত। আমি এই পদ্ধতি পুনরায় প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি সহকারীকে এবার কূপে নামিয়ে তাকে সূক্ষ্ম ভাবে পর্যবেনের নির্দেশ দিয়ে পাম্প চালু করলাম। এবার একটি অবাক করা ঘটনা ঘটল। সে হঠাৎ তার হাত তুলে চিৎকার করে বলে উঠল, “আলহামদুলিল্লাহ! আমি পেয়েছি। আমার পায়ের নিচে বালি নাচছে।” তারপর সে কূপের চারদিকে হাটতে শুরু করল এবং দেখল সব স্থানে একই ঘটনা ঘটছে। আসলে কূপের সব স্থান থেকে একই গতিতে পানি এসে সমতা বজায় রাখছিল। আমার এই পর্যবেণ শেষে আমি পানির নমুনা পরীার জন্য ইউরোপীয়ান ল্যবরেটরীতে পাঠালাম। আমি মক্কার অন্যান্য কূপগুলো সম্পর্কে খবর নিলাম। দেখলাম সেগুলো সচরাচর শুকনো থাকে। ইউরোপীয়ান ল্যাবেরটরীজ তাদের পরীা শেষে রিপোর্টে জানালো সাধারন পানির তুলনায় জমজমের পানিতে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সল্টের পরিমাণ বেশী। যা হাজীদের কান্তি দূর হওয়ার জন্য একটি কারণ হতে পারে। ল্যাবেরটরীজ এই পানিকে পানের উপযোগী বলে আখ্যায়িত করে। বাদশাহ্ ফয়সল একথা শোনার পর অনেক খুশি হলেন এবং পূর্বের রিপোর্টটির একটি প্রতিবাদ ইউরোপীয়ান গণমাধ্যমে পাঠালেন। উল্লেখ্য, ছোট এই কূপটি লক্ষ লক্ষ মানুষের পানির চাহিদা মিটিয়ে আসছে। একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল এখান থেকে আধুনিক পাম্পের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ৮ হাজার লিটার পানি উত্তোলন করা যায় এবং ২৪ ঘন্টা পর ১১ মিনিটের জন্য বিরতী দেয়া হলে পানির লেভেল আবার সমান হয়ে যায়। জমজম কূপের পানির স্তর কখনো কমে না। এতে কখনো শ্যাওলা বা আগাছা জন্মে না।  সূত্র- http://alislaah4.tripod.com/moreadvices2/id21.htm

See Video please(ভিডিওটি দেখুন):

Zam Zam Water - Mini Documentary 

 

Related other links:

Japanese Scientist's research on Zam Zam

Zamzam: A living miracle 

 



Tuesday, October 15, 2013

Miracle of Kaaba - Golden Ratio in Islam: a mathematical proof

Miracle of Kaaba - Golden Ratio in Islam: a mathematical proof




1.618: Number of Golden Ratio is a mystery of Kaaba and an evidence God’s infinite truth with in the holy Quran. The golden ratio, also known as the divine proportion, golden mean, phi constant or golden section, is a ratio of two numbers (in distance, weight, proportion, etc), which is usually encountered when taking distances in geometric figures and biological systems. It is an instrument of measurement and growth efficiency. It is evident in the universe as well as our own bodies. Unbelievably, the closer a ratio to this number in an object or a system of objects, the more beautiful it is manifested in the human eye. For more information please browse this link: The measure of beauty created in nature: The golden ratio

You will see scientific proofs of unbelievable mysteries that have remained hidden in the Holy City of Mecca for thousand of years with your own eyes. Mecca is willed as direction of kowtow, convention place for billions of Muslims and as the holy center of Islam. Those Muslims, who can afford, are prescribed to arrive go on a journey through Kaaba, Muzdelife and Arafat and to convene in the sacred city.


Phi Constant- 1.618, superior design number of mathematics. The Creator has always used the very same number in numerous events in the universe; in our heart pulses, the aspect ratio of DNA spiral, in the special design of the universe called dodecehadron, in the leaf array rules of plants called phylotaxy, in the snow flake crystals, in the spiral structure of numerous galaxies. The Creator used the same number; the number of golden ratio which is 1.618


It is determined that this ratio has been used for the design of various reputable architectural structures, even including Pyramids in Egypt. Famous astronomer Kepler defined this number as a great treasury. Numerous famous painters, engineers and architects, like Leonardo Da Vinci, have been using this ratio in their works of art for hundreds of years.


As a result of his 25 years long study, aesthetician Dr. Steven Markout proves that each of human faces and bodies, created pursuant to this ratio, are completely beautiful. If the relative ratio is 1.618 for the components of any structure, then this form will be convenient to Golden Ratio, the perfect design.


So, where is the Golden Ratio Point of the World?


The proportion of distance between Mecca and North Pole to the distance between Mecca and South Pole is exactly 1.618 which is the golden mean. Moreover, the proportion of the distance between South Pole and Mecca to the distance between both poles is again 1.618.


The miracle has not been completed yet; The Golden Ratio Point of the World is in Mecca city according to map of latitude and longitude which is the common determinant of mankind for location.


The proportion of eastern distance to the western distance of Meccas solstice line is again 1.618. Moreover, as shown in the Figure, the proportion of the distance from Mecca to the solstice line from the west side and perimeter of world at that latitude is also surprisingly equal to the golden ratio, 1.618. The Golden Ratio Point of the World is always within the city borders of Mecca, within the Holy Region that includes Kaaba according to all mapping systems despite minor kilometrical variations in their estimations.

At home, you can precisely measure the distance between any two points of World by means of Google Worlds ruler feature. If you wish, you can easily verify the correctness of the given ratios by calculating latitudes and longitudes or even by using a simple calculator. In drawings, you initially see how to locate start and finish points on Mecca city and North Pole. With respect to positive longitude and latitude values and by taking drift angle to the land, but not to the sea, the single Golden Ratio Point of the World is Mecca.


Phi matrix program is an American program used for displaying golden ratio of pictures and drawings. If we assume the longitude and latitude map of the World as an everlasting painting which has an endless depth, and open it in this program, we will find out that the Golden Ratio Point of the World is the City of Mecca.


Miracles go on
Golden Ratio Miracle in the Verse, Mecca of Qur'an.
Allah has appointed a measure for all things.(Qur’an, 65: 3)
Everything has its measure with Him.] (Qur’an, 13: 8)


The examples of the golden ratio exist in our own bodies and in all living things in nature, are just a few of the proofs that God has created all things with a measure.


There is one unique verse in Qur'an that includes Mecca word and an expression that mentions clear evidences within the city which will grant faith to humanity. The relation between the City of Mecca and the Golden Ratio is clearly engraved in Ali Imran Surah’s (section of Koran) 96th verse. The total number of all letters of this verse is 47. Calculating the golden ratio of total letters, we find out that the word of Mecca is implied; 47 / 1,618 = 29.0. There are 29 letters from the beginning of the verse till the word, Mecca just as in the world map. If only one single word or letter was missing, this ratio could never been constituted. Without pushing the limits, we have conducted the very same process that we conducted on world map and witnessed the glorious coherence of number of letters that reveals the relation of Mecca and Golden Ratio.


All these evidences show that; The Creator of the World and mathematics is the same One and Single God, the indefinable and great force that has created Kaaba, holy region and Qur'an.  He reminds whole humanity that he has granted signs to all humanity on the basis of his foreknowledge about the future and the common languages of humans.


Discoveries regarding the relation between Golden Ratio, Mecca, Kaaba and Qur'an have been increasing day by day. In the figure, it is indicated that measurements by golden ratio compass that is also known as Leonardo compass, prove that Mecca city is located on the Golden Ratio Point of Arabia while Kaaba is located on the Golden Ratio of Mecca City. According to probability calculations, all these proofs can not be incidental.

Source: http://www.ummah.com


Wath this Video: 

Saturday, September 28, 2013

মক্কা মদীনার ইসলামিক নিদর্শনসমূহ

মক্কা মদীনার ইসলামিক নিদর্শনসমূহ

 -জাকির হোসাইন আজাদী




আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সৃষ্টির মধ্যে তাঁর প্রেরিত দূত নবী রসূলগণ জগতের শ্রেষ্ঠতম মানুষ। এই পৃথিবীতে তাঁরা যে সকল স্থানে আগমন করেছেন। পদচারণা করেছেন। দ্বীনের দাওযাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং বিভিন্ন মু'জিজা প্রদর্শন করেছেন সেই সকল স্থানগুলো বিশেষভাবে তাত্পর্যমণ্ডিত, ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত। যা দর্শন করলে ঈমানও মজবুত হয়। যাঁরা হজ্বে যাচ্ছেন তাঁরা ঐসব স্থান গুলোও দেখে আসার চেষ্টা করবেন যেমন—১। রাহমাতুল্লীল আলামীনের পবিত্র জন্মস্থান (ছওকুল্লাইল)। ২। হযরত খাদিজা (রা.)-এর ঘর। ৩। দারুল আরকাম বিন আবিল আরকাম। ৪। হযরত আলীর জন্মস্থান। ৫। জান্নাতুল মুয়াল্লাহ্ (কবরস্থান)। ৬। ওয়াদিয়ে ছারফ্ হযরত উম্মুল মুমেনীন মায়মুনা (রা.)-এর বিয়ে ও কবর। ৭। জাবালে নূর-এর গারে হেরা গুহা (কুরআন শরীফ নাযিলের পাহাড়)। ৮। জাবালে ছওর (হজরত রাসূলে করীম (স.) হিযরতের সময় যে পাহাড়ে ৩ দিন আত্মগোপন করেছিলেন।) ৯। মিনা (হযরত ইসমাইল আলাইহিচ্ছালামের কুরবানীর জায়গা)। ১০। মুযদালিফাহ্— (হযরত আদম ও হাওয়া (আ.)-দ্বয়ের পৃথিবীর প্রথম বাসর রাত বা ঘুমের জায়গা)। ১১। আরাফাহ—হজের ময়দান, যেখানে হযরত আদম ও হাওয়া (আ.)-এর পৃথিবীর প্রথম পরিচয় হয়েছিল। ১২। ওয়াদিয়ে মুহাসসার—বাদশাহ্ আবরাহার ধ্বংসস্থল। ১৩। ওয়াদীয়ে মুহাস্সাব—মিনা থেকে হরম শরীফে ফেরার পথে হুজুর (স.) এই জায়গায় অবতরণ করেন এবং মাগরিবের নামায আদায় করেন। এখানে একটি সুন্দর মসজিদ আছে। ১৪। হুদায়বিয়া—বর্তমান নাম (ছুমাইসীয়া, মক্কা থেকে ২১ কি.মি. দূর)। ১৫। ওয়াদিয়ে ফাতেমা—মক্কা বিজয়ের সময় মুসলিম বাহিনীর অবতরণস্থল। ১৬। হুনাইন— মক্কা বিজয়ের পর এখানে কাফেরদের সাথে যুদ্ধ হয়, আল্লাহ ফেরেশতা দিয়ে এই যুদ্ধে মুসলমানদেরকে সাহায্য করেন। ১৭। জেরানা, বড় ওমরার জায়গা রাসূলুল্লাহ (স.) হুনাইন যুদ্ধের পর এখান থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধেন, এটাই শ্রেষ্ঠ মিকাত। এখানে একটি মসজিদ আছে, যাকে মসজিদে রাসূল (স.) বলা হয়। ১৮। নাখলা—মক্কা থেকে ৪৫ কি.মি. দূরে মক্কা ও তায়েফের মাঝামাঝি এই উপত্যকা। এখানে খেজুর বাগান ছিল, এই অঞ্চলের নাম 'নাখলা'। এই জায়গাটি মিষ্টি পানির জন্য প্রসিদ্ধ। আল্লাহর নবীর জবানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত শুনে জ্বীন জাতির ইসলাম গ্রহণ করার ঘটনা এখানেই ঘটে বলে জায়গাটি ঐতিহাসিক। মক্কা শরীফের ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ মসজিদ :১। মসজিদে আবুবকর (রা.) এখানে হযরত আবুবকর (রা.)-এর বাড়ি ছিল। ২। মসজিদে খালেদ বিনওয়ালিদ। ৩। মসজিদে জ্বীন। ৪। মসজিদে বাইআহ্। ৫। মসজিদে খায়েফ। ৬। মসজিদে নামেরা। ৭। মসজিদ তাইঈম। মক্কার ঐতিহাসিক পাহাড়সমূহ :১। জবলে নূর। ২। জাবালে সওর। ৩। জাবালে আবু কোবাইস। ৪। জাবালে রহমত। কাবা শরীফ ও মক্কা শরীফের রহস্যপূর্ণ জায়গাসমূহ :১। আল্লাহর ঘরের ভেতরে, তবে সেখানে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করা সম্ভব নয় তাই হাতীমে (বাইতুল্লাহর পাশে গোলাকার দেয়াল ঘেরা কিছু উন্মুক্ত খালি জায়গা) নামায পড়ার সুযোগ আছে। ২। মুলতাজাম বা কা'বা ঘরের দরজা, ১৩৬৩ হিজরীতে বাদশা আব্দুল আজীজ আসেসৗদ একটি সুন্দর কাঠের দরজা লাগান, সেটি তৈরি করতে তিন বছর সময় লেগেছিল। বর্তমান দরজাটি বাদশা খালেদ লাগিয়েছেন। এতে ২৮৬ কি. গ্রা. খাঁটি স্বর্ণ লাগানো আছে, এতে আল্লাহর ও কুরআন শরীফের আয়াত— 'কুল ইয়া ইবাদিয়াল্লাজিনা আছরাফু আলা আনফুছিহীম, লাতাকনাতুমির রাহমাতিল্লাহ্, ইন্নাল্লাহা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা জামিয়া লেখা আছে। তাই এই আয়াত পড়ে এর উসিলা দিয়ে দোয়া করলে অবশ্যই দোয়া কবুল হয়। ৩। কাবা ঘরের পেছনের দেয়াল অর্থাত্ রোকনে ইয়ামানীর কাছে এখানো দোয়া কবুল ও নিষ্পাপ হওয়ার দলিল আছে। যেহেতু হুজুর (স.) হিযরতের পর এখানে দাঁড়িয়েই ১৬ মাস বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে নামায আদায় করেছেন এবং কেবলা পরিবর্তনের দোয়া করেছিলেন। ৪। হাতীম বা হিজরে ইসমাইল হিজরে ইসমাইলের অপর নাম হচ্ছে হাতীমে কা'বা। এই হাতীমে হযরত ইসমাইল (আ.) ও তাঁর মা হযরত হাজেরা (আ.)-এর কবর আছে বলে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিকগণের বর্ণনা পাওয়া যায়। হযরত ইসমাইল (আ.)-এর দোয়ার বরকতে এই বেহেশতি ঝরনা প্রবাহিত হচ্ছে। আল্লাহর ঘরের ভেতর নামায পড়ার ইচ্ছা করলে হাতীমে পড়ে নিলেই তা আদায় হয়ে যাবে। ৫। হাজরে আসওয়াদ, বাইতুল্লাহ শরীফের পূর্বকোণে ৩/৪ ফুট উঁচুতে দেয়ালের ভেতরে সংরক্ষণ করা সেই পাথর বেহেশতের সবচেয়ে মূল্যবান পাথর। রূহের জগতে এই পাথরের উপরে হাত রেখে হুজুর (স.)-এর রূহ মুবারক আমরা আল্লাহর বান্দা ও আল্লাহ আমাদের প্রভু এই প্রতিশ্রুতি পাঠ করিয়েছিলেন। হযরত আদম (আ.) পৃথিবীতে আসার সময় আল্লাহ পাক সেই পাথর তার সাথে দিয়ে দেন, পরবর্তীতে তিনি সেটা জাবালে আবু কোবাইছে রাখেন তখন সে পাথর বরফের মত সাদা ও সূর্যের মত আলোকিত ছিল। নূহ (আ.)-এর বন্যার সময় আল্লাহ পাক পুনরায় আসমানে উঠিয়ে নেন। হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর দ্বারা কা'বা ঘর তৈরির সময় আবার তা ফেরেশতার মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং ইব্রাহীম (আ.) সেই পাথরকে আল্লাহর ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে স্থাপন করেন। তাই এখান থেকেই তাওয়াফ শুরু হয়। হাদীস শরীফে আছে—হজরে আসওয়াদ প্রথম আবু কুবাইছ পাহাড়ে নাজিল হয়, সেখানে তা ৪০ বছর পর্যন্ত থাকে। তারপর তা হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর আগেই-ভিত্তির ওপর লাগানো হয়। অর্থাত্-মাকামে ইব্যাহীম ও হিজরাল আসওয়াদ এই পাথর দু'টিই বেহেশতের পাথর। হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আগেই হাজরে আসওয়াদ নাজিল হয়েছে। বন্যার সময় এটিকে আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল। তারপরই ইব্রাহীম (আ.) এর কাবা শরীফ নির্মাণের সময় জিব্রাইল (আ.) তা নিয়ে আসেন।

যতবড় কঠিন হূদয়ের অধিকারী মানুষ হোন না কেন, আল্লাহর অসংখ্য নবী ও রসূলের স্মৃতিবিজড়িত দর্শনীয় স্থানগুলিতে গেলে মন মানসিকতার আমূল পরিবর্তন সূচিত হয়। প্রায় প্রত্যেকেই বলে থাকেন, যখন স্বচক্ষে কাবা শরীফ দেখলাম। কাবায় প্রবেশ করলাম। নামাজ পড়লাম। ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকলাম। তখন থেকেই মনের মাঝে অহর্নিশ আল্লাহ প্রেম, রসূল প্রেমের ঝড় বইতে শুরু করলো। কোথায় পরিবার-পরিজন, কোথায় ব্যবসা বাণিজ্য, কোথায় বন্ধু-বান্ধব, দুনিয়ার কোনো কিছুই মনে থাকে না, ভালো লাগে না, হূদয়ে এসে ভিড় জমেনা। হূদয় কন্দরে, রন্ধ্রে-রন্ধ্রে, তন্ত্রীতে-তন্ত্রীতে, রক্তের প্রবাহে কেবল আল্লাহর মহব্বতের বেহেশতি আবহ প্রবাহিত হয়ে যায়। ঢেউ খেলে যায় রসূল প্রেমের উত্তাল তরঙ্গমালা। মুখে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত ও গুঞ্জরিত হয় আল্লাহর জপমালা। কাবা শরীফ, মাকামে ইব্রাহিম, কাবার হাতিম, হিজরে আসওয়াদ, জমজম কূপ জাবালে আবু কুবাইস, জাবালে নূর, জাবালে সওর, হযরত আবু বকর (রা.) এর বাড়ী, রসূলের জন্মস্থান, খাদিজা (রা.)-এর বাড়ী, জান্নাতুল মুয়াল্লা, ওয়াদিয়ে মুহাসসার, দারুল আরকাম, আরাফা ময়দান, মুজদালেফার প্রান্তর, মিনার ঐতিহাসিক প্রান্তর, তায়েফ ও সাফা-মারওয়া পাহাড় এ সমস্ত স্থানে যাওয়া ও দেখার পর প্রত্যেক হাজীর মন কেঁদে ওঠে, চোখ অশ্রুসিক্ত না হয়ে পারে না। আর মদীনা শরীফ যাওয়ার পর রসূলের রওজার কাছে গিয়ে হজ্ব পালনকারীগণ কেঁদে জারে জার হয়ে যান। কেননা এটা সেই স্থান যেখানে শায়িত রয়েছেন, আমাদের শাফায়াতের কাণ্ডারি যার সুপারিশ ছাড়া মুক্তির কোনো উপায় নাই। যিনি উম্মত হিসেবে আমাদের না চিনলে নিষ্কৃতির কোনো রাস্তা নেই। যিনি হাশরের ময়দানে অগণিত মানুষের মধ্য হতে তাঁর উম্মতদের বাছাই করবেন ও নিজ হাতে হাউজে কাওছারের পানি পান করাবেন এবং সঙ্গে করে বেহেশতে নিয়ে যাবেন। যেখানে রসূল (স.) এর রওজা হয়েছে ঐ স্থানে তাঁর সঙ্গে তাঁর দুইসহচর হয়রত আবু বকর ও হযরত ওমর (রা.) রয়েছেন তাদের কথাও স্মরণে আসে। কারণ ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে হযরত আবু বকরের অবদান অনস্বীকার্য। বাল্যকাল থেকে রসূল (স.) এর ইন্তেকাল পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে বিপদে আপদে যুদ্ধে সন্ধিতে সকল সময়, সকল স্থানে ছায়ার মত সাথে সাথে থেকেছেন। রসূল (স.) বলেছেন, আবু বকর আমার বাল্যকালের সাথী, হিজরতের সাথী জান্নাতেরও সাথী। আরো বলেছেন, দুনিয়ার সব মানুষের ঈমান যদি এক পাল্লায় দেয়া হয়, আর আবু বকরের ঈমান যদি আর এক পাল্লায় দেয়া হয় তাহলে আবুবকরের ঈমানের পাল্লা ভারী হয়ে যাবে। আর ওমর (রা.) ছিলেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব জাহেলিয়াতের যুগের মানুষেরা যার ভয়ে সর্বদা প্রকম্পিত ছিল। যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন, তখন প্রকাশ্য দিবালোকে ফিরে আসে ইসলাম। রসূল (স.) তাঁর জীবদ্দশায় বলে গেছেন, লা নাবিয়্যা মিম বাআদি, লাকানা ওমার, আমার পরে কোনো নবী নেই, যদি আল্লাহ কারো নবী বানাতেন তাহলে অবশ্যই ওমরকে আল্লাহ নবী বানিয়ে দিতেন। আর একজনের জায়গা খালি রয়েছে, যেখানে হযরত ঈসা (আ.) কে দাফন করা হবে। রসূল (স.) এর রওজা ও মিম্বর এর মাঝে একটি জায়গা রয়েছে। যার নাম রিয়াজুল জান্নাহ। অর্থাত্ বেহেশতের টুকরা। সেখানে নামাজ পড়া অনেক সৌভাগ্যের বিষয়। মসজিদে নববীতে ৮ দিনে মোট ৪০ ওয়াক্ত নামাজ পড়া বিশেষ মর্যাদার। কেননা মসজিদে নববীতে এক রাকাআত নামাজ পড়া ৫০ হাজার রাকাআত নামাজ পড়ার সমান। মসজীদে নববীর পার্শ্বেই রয়েছে জান্নাতুল বাকী কবরস্থান। যেখানে রসূল (স.) এর হাজার হাজার সাহাবীর কবর রয়েছে। তাছাড়া সেখানে রসূল (স.) এর প্রিয় কন্যা ফাতিমা (রা.), হযরত হাসান (রা.), জয়নুল আবেদীন, হযরত আয়শা (রা.)সহ সকল উম্মুল মুমেনীনগণ (কেবলমাত্র খাদিজা (রা.) ছাড়া) হযরত আবু হরায়রা (রা.), হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (রা.), আবু আইয়ুব আনসারী (রা.)সহ প্রায় ৩০ হাজার সাহাবীর কবর এখানে রয়েছে। রসূল (স.) তাঁর ইন্তেকালের আগে এই জান্নাতুল বাকীতে গিয়ে বিদায়ী ছালাম জানিয়ে বলেছিলেন, আসসালামু আলাইকুম ইয়া দারু কউমি মু'মিনীন। তার পর মসজিদে কেবলাতাইন বা দুই কেবলার মসজিদ। রসূল (স.) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার পর ১৭ মাস ধরে মসজিদে আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামাজ পড়েন। সেই সময় প্রায় প্রায় তিনি আকাশের দিকে তাকাতেন এই আশা নিয়ে যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যদি হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত কাবাঘরকে কেবলা নির্ধারণ করে দিতেন তাহলে খুবই ভালো হতো। আল্লাহ পাক রসূল (স.) এর মনের আকুতি বোঝেন, তাঁর চোখের ভাষা উপলব্ধি করেন। অবশেষে একদিন আসরের নামাজে দুই রাকায়াত পড়ার শেষে আয়াত নাজিল করে মসজিদে হারামকে কাবা হিসেবে পুনরায় ফিরিয়ে দেন। যে আয়াতে বলা হয়েছে, 'ফাওয়াল্লি অজহাকা শাতরল মসজিদিল হারাম' অর্থাত্ হে নবী (স.), আপনি আপনার চেহারা এখুনি মসজিদে হারামের দিকে ফেরান তখন বাকী দুই রাকাআত মসজিদে হারামের দিকে ফিরেই পড়েন। এটাও দর্শনীয় একটি স্থান। তারপর মসজিদে জুমআ। রসূল (স.) হিজরতের পর মদীনায় আসার সময় এই স্থানে জুমআ ফরজ হয়। মক্কার ১৩ বছরের নবুয়াতি জীবনে এই জুমআ ফরজ ছিল না। যখন ফরজ ঘোষণা হলো রসূল (স.) সেখানেই জুমআ পড়লেন। এই স্থানে সুন্দর মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। তারপর মসজিদে কুব্বা যা ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম মসজিদ। আল্লাহ কুরআনে বলেন, ইন্না আওয়ালু উসসিসা আলাত তাকওয়া হুয়া মসজিদু কুব্বা। অর্থাত্ তাকওয়ার ভিত্তিতে প্রথম নির্মিত মসজিদই হলো কুব্বা। রসূল (স.) যখন হিজরতে বের হয়েছিলেন। এই কুব্বার মানুষেরাই তাকে প্রথম স্বাগত জানিয়েছিলেন। তারা প্রতিদিন একটি উঁচু টিলার ওপর বসে মরুভূমির দিকে তাকিয়ে থাকতেন। আর রাত হলে ঘরে ফিরতেন। একদিন তারা ঘরে ফেরার পর দুর থেকে রসূলের হিজরতের কাফেলা দেখে একজন ইহুদী কুব্বার লোকদের বলেছিলেন, হে কুব্বাবাসি, তোমরা প্রতিদিন যার জন্য অধীর আগ্রহে মরুপানে অপলক দৃষ্টি দিয়ে অপেক্ষা করো, তিনি আসছেন। ঐ দেখো, তাঁর কাফেলা দেখা যায়। তখন কুববায় জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁরা আল্লাহর প্রিয় নবী, প্রিয় রসূল (স.) কে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। নবীজী (স.) সেখানে তিনদিন অবস্থান করেছিলেন। সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এটা অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। তারপর বদরের প্রান্তরটি সময় থাকলে যাওয়া উচিত্। যেখানে ইসলামের প্রথম ভাগ্য নির্ধারণী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। আল্লাহ সুবহানাহ ওয়ালা সেখানে এক হাজার ফেরেশতা সৈনিক দিয়ে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন করেন। এরপর ওহুদের প্রান্তরে গিয়ে সেই ঘটনার উপলব্ধি করা। যেখানে রসূল (স.) এর রক্ত ঝরেছে। দাঁত মোবারক শহীদ হয়েছে। চাচা আমীর হামজা শহীদ হয়েছেন। ৭০ জন সাহাবী শহীদ হয়েছেন। এসব স্থানগুলি দর্শন করে আসতে পারলে যতদিন বেঁচে থাকবেন, শয়তান ধোকা দিয়ে সহজেই বিপথগামী করতে পারবে না। আল্লাহ সকল হজ্বযাত্রীকে এসমস্ত দর্শনীয় স্থানগুলি দেখে আসার তাওফীক দান করুন, আমীন। 

ই-মেইল :mzhazadi @ yahoo.Com
Source: http://www.ittefaq.com.bd


Releted Link:

জাযীরাতুল আরব বা সৌদি আরব:ইসলামী ঐতিহ্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন - সম্প্রসাণের কাজ করতে গিয়ে সুকৌশলে ইসলামী ঐতিহ্যের নিদর্শন সমূহ ধ্বংশ করা হচ্ছে

 


 Bee






এক অসাধারণ #না’তসহ দরূদ - বালাগাল উলা বি-কামালিহি: ইতিহাস, অনুবাদ ও তাৎপর্য